রফিকউদ্দিন আহমদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) সংশোধন, নিরপেক্ষতা ও বিশ্বকোষীয় করা |
|||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| image =
|name= রফিকউদ্দিন আহমদ
|caption=
|birth_name= রফিকউদ্দিন আহমদ
|birth_date=
|birth_place= পারিল বলধারা, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ, বৃটিশ ভারত।
|death_date=
|death_place= ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা,পূর্ব পাকিস্তান।
|known_for= ভাষা শহীদ
১৩ ⟶ ১২ নং লাইন:
|institution = জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
}}
'''রফিকউদ্দিন আহমদ''' (৩০ অক্টোবর ১৯২৬ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ভাষা আন্দোলনকর্মী যিনি [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] রাষ্ট্রভাষা হিসেবে [[বাংলা]]কে স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] সৃষ্ট [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনে]] ১৯৫২ সালে নিহত হন।<ref>{{Cite news|url=http://www.thedailystar.net/news-detail-127143|title=Include language martyrs' biographies in school curriculum|date=2010-02-20|work=The Daily Star|access-date=2017-04-05|language=en}}</ref> বাংলাদেশে তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হয়।<ref name=":0"/><ref>{{Cite news|url=http://www.thedailystar.net/news-detail-269972|title=Cultural programmes to observe Ekushey|date=2013-02-22|work=The Daily Star|access-date=2017-04-05|language=en}}</ref>
== প্রারম্ভিক জীবন ==
রফিকউদ্দিন ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর [[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ]] জেলার সিংগাইর উপজেলার পারিল বলধারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতার নাম রাফিজা খাতুন। এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে রফিক ছিলেন বড় সন্তান।
১৯৪৯ সালে রফিক স্থানীয় বায়রা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে মানিকগঞ্জ [[দেবেন্দ্র কলেজ|দেবেন্দ্র কলেজের]] বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। তবে পড়ালেখে শেষ না করে তিনি ঢাকায় এসে পিতার মুদ্রণশিল্প ব্যবসায় যুক্ত হন। ঢাকায় তিনি পুনরায় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
== ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ==
রফিক ভাষা আন্দোলনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন এবং সক্রিয় একজন আন্দোলনকারী হিসেবে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম [[রাষ্ট্রভাষা]] করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে
▲বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম [[রাষ্ট্রভাষা]] করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে রফিক অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গনে পুলিশ গুলি চালালে সেই গুলি রফিকউদ্দিনের মাথায় লাগে। গুলিতে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার লাশ পড়ে ছিল। ছয় সাত জন ধরাধরি করে তার লাশ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। তাদের মাঝে ডাঃ মশাররফুর রহমান খান রফিকের গুলিতে ছিটকে পড়া মগজ হাতে করে নিয়ে যান। <ref>একুশের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস - আহমদ রফিক; পৃষ্ঠা: ৪১</ref>
== মৃত্যু পরবর্তী ==
ভাষা আন্দোলনে তার আত্মত্যাগের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকারে তাকে মরনোত্তর [[একুশে পদক]] প্রদান করে। এছাড়া তার গ্রামের নাম পরিবর্তন করে রফিকনগর করা হয় এবং ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে তার নামে ‘ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।<ref>{{Cite news|url=http://www.thedailystar.net/news-detail-236614|title=Library honouring Language Martyr Rafiq, observes 7th anniversary|date=2012-06-02|work=The Daily Star|access-date=2017-04-05|language=en}}</ref> তার স্মৃতির স্বরণে ‘চাঁদের মত চন্দ্রবিন্দু’ নামে একটি নাটক মন্তস্থ হয়।<ref>{{Cite news|url=http://www.thedailystar.net/news-detail-176016|title=Memoirs of a Martyr|date=2011-03-02|work=The Daily Star|access-date=2017-04-05|language=en}}</ref>
== তথ্যসূত্র ==
|