ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
3টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
১০৯ নং লাইন:
''[[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা]]'' অনুসারে [[দ্রাবিড় জাতি]] স্বাভাবিক কারণে সমুদ্রগামী হওয়ায় মানচিত্র নির্মাণ করত।<ref name=Sircar3>Sircar 330</ref> ''[[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা|এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকাতে (২০০৮)]]'', স্টিফেন অলিভার ফট ও জন এফ. গিলমার্টিন, জুনিয়ার ১৮শ শতাব্দীতে [[মহীশূর|মহীশূরে]]র বারুদ প্রযুক্তির বিশদ বর্ণনা করে বলেছেন:<ref name=r&ms>Encyclopædia Britannica (2008), ''rocket and missile system''.</ref>
 
মহীশূরের রাজাসুলতান হায়দার আলী, যুদ্ধ রকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেন: বিস্ফোরক বহনকারী পাত্র হিসাবে ধাতুর চোঙ ব্যবহার করেন। যদিও পেটানো নরম লোহার এই নলগুলির গুণগত মান অত্যন্ত সাধারণ ছিল, তবে আগের কাগজের চোঙের তুলনায় বিস্ফোরক শক্তি অনেক বেশি ছিল। ফলে এই অতিরিক্ত অভ্যন্তরীণ চাপ রকেটগুলিকে দ্রুততর গতিতে অধিক দূরত্বে নিক্ষেপ করতে সাহায্য করত। রকেটের চোঙটি চামড়ার ফিতা দিয়ে লম্বা বাঁশের লাঠিতে বাঁধা থাকত। সম্ভবত এক মাইলের তিন চতুর্থাংশ (এক কিলোমিটারেরও বেশি) পর্যন্ত রকেটের পাল্লা ছিল। যদিও পৃথকভাবে দেখলে এই রকেটগুলির লক্ষ্য খুব একটা স্থির ছিলনা, তবে অনেক সংখ্যক রকেটের যুগপত আক্রমণের সময় নিখুঁত লক্ষ্যের প্রয়োজন পড়ত না। এই রকেটগুলি বিশেষ করে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর ছিল। ব্যবহার করার দুটি পদ্ধতি ছিল, - হাতে ধরে সলতেয় অগ্নিসংযোগ করে হাওয়ায় নিক্ষেপ করে, অথবা, শক্ত, শুকনো মাটিতে শুইয়ে সলতেয় অগ্নিসংযোগের ফলে মাটিতে ঘষটে রকেটগুলি ধাবিত হত। হায়দার আলীর ছেলে, [[টিপু সুলতান]], রকেট অস্ত্র ব্যবহারের বিকাশ ও সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছিলেন ও রকেট পরিচালনকারী সেনার সংখ্যা ১,২০০ থেকে বাড়িয়ে ৫,০০০ করেন। ১৭৯২ এবং ১৭৯৯ সালের [[শ্রীরঙ্গপত্তন|শ্রীরঙ্গপত্তনে]]র যুদ্ধে এই রকেটগুলি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।
 
১৮শ শতাব্দীর শেষে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা অতীব দক্ষ হয়ে ওঠে।<ref name=Peabody1/> যেমন, টমাস ব্রোটনের বক্তব্য অনুযায়ী, [[যোধপুর]] মহারাজা তাঁর রাজধানী থেকে ৩২০ কি.মি. দূরে নাথাদেওরার মন্দিরে প্রত্যেক দিন তাজা ফুলের অর্ঘ্য পাঠাতেন, যা পরের দিন সূর্য্যোদয়ের সাথে সাথে ঠিক প্রথম [[ষড়দর্শন|দর্শনে]]র সময় পৌঁছে যেত।<ref name=Peabody1>Peabody, 71</ref> পরবর্তী পর্যায়ে [[ব্রিটিশ রাজ]] আসার সঙ্গে ডাক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ পরিবর্তন হয়।<ref name=Lowe/> ১৮৩৭ সালের ১৭তম পোস্ট অফিস আইন (''The Post Office Act XVII of 1837'') বলে [[ভারতের গভর্নর-জেনারেল]] [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র এলাকার যে কোনো স্থানে ডাক মাধ্যমে সংবাদ পাঠাতে পারতেন।<ref name=Lowe/> কিছু আধিকারিকের এই বিনামূল্যে ডাক ব্যবস্থা ব্যবহার করার সুবিধা, পরের দিকে বিতর্কের সৃষ্টি করে।<ref name=Lowe/> ১লা অক্টোবর ১৮৩৭ সালে ভারতীয় পোস্ট অফিস পরিষেবার সূচনা হয়।<ref name=Lowe>Lowe, 134</ref> কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্রিটিশেরা ভারতে এক সুবিশাল [[রেল পরিবহন]] ব্যবস্থা গড়ে তোলে।<ref>Seaman, 348</ref>