আবুল বরকত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নিরপেক্ষতা
১৪ নং লাইন:
|awards = [[একুশে পদক]] (২০০০)
}}
'''আবুল বরকত''' (১৬ জুন ১৯২৭ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ভাষা আন্দোলনকর্মী যিনি [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] রাষ্ট্রভাষা হিসেবে [[বাংলা]]কে স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] সৃষ্ট [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনে]] ১৯৫২ সালে নিহত হন। বাংলাদেশে তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
 
==প্রারম্ভিক জীবন==
'''আবুল বরকত (আবাই)''' ([[জন্ম]]: [[জুন ১৬|১৬ই জুন]], [[১৯২৭]] বাবলা গ্রাম, ভরতপুর, [[মুর্শিদাবাদ]]; [[মৃত্যু]]: [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১শে ফেব্রুয়ারি]], [[১৯৫২]]) মহান [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম শহীদ। তাঁর শহীদস্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনাবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার বলেই [[১৯৭১]] সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
বরকত ১৯২৭ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বৃটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর অঞ্চলের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শামসুদ্দিন ও মাতার নাম হাসিনা বেগম। বাবলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে তালিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে [[বহরমপুর]] [[কৃষ্ণনাথ কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে তার পরিবার ঢাকাতে চলে আসে। ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে চতুর্থ হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং একই বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।
 
== শিক্ষাজীবন ==
আবুল বরকতের পিতার নাম মরহুম শামসুদ্দিন, মাতার নাম হাসিনা বেগম। তাঁর জন্ম অবিভক্ত [[ভারত|ভারতবর্ষের]] মুর্শিদাবাদ (বর্তমানে ভারতের একটি জেলা) জেলার সালার থানার বাবলা গ্রামে। শহীদ বরকত সেখানকার় তালিবপুর হাইস্কুল( বর্তমানে তালিবপুর হাই স্কুল ( H.S) নামে পরিচিত)থেকে ১৯৪৫ সালে মেট্রিক এবং [[বহরমপুর]] [[কৃষ্ণনাথ কলেজ]] থেকে ১৯৪৭ সালে আই.এ পাস করেন। [[পাকিস্তান]] প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালে মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন এবং [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে চতুর্থ হয়ে বি.এ. অনার্স পাস করেন। অতঃপর স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হন।
 
== ভাষা আন্দোলন ==
বাংলাকে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] অন্যতম [[রাষ্ট্রভাষা]] করার দাবিতে ১৯৫২-র [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১শে ফেব্রুয়ারি]] [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার উপর [[পুলিশ]] গুলি চালালে হোস্টেলের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হন আবুল বরকত। [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] [[হাসপাতাল|হাসপাতালে]] জরুরি বিভাগে ভর্তি অবস্থায় রাত আটটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার মাতা হাসিনা বেগম ১৯৬৩ সালে [[কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার]] উদ্বোধন করেন।
 
== মৃত্যু পরবর্তী ==
[[চিত্র:Barkat Epitaph.jpg|right|thumb|ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে আবুল বরকতের কবর।]]
২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালের রাতে আবুল বরকতের আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে আজিমপুর গোরস্তানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে [[আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ)|আবদুস সালাম]], [[রফিক]], [[জব্বার]], [[শফিউর রহমান]] প্রমূখ শহীদদের অন্যতম তিনি।
 
== সম্মাননা ==