আল মাহমুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Geneditor (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ
২৭ নং লাইন:
}}
 
'''আল মাহমুদ''' (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)
'''মীরআধুনিক আবদুসবাংলা শুকুরসাহিত্যের আলঅন্যতম মাহমুদ'''প্রধান (১১কবি। জুলাইতাঁর ১৯৩৬পিতৃপ্রদত্ব নাম ১৫'''মীর ফেব্রুয়ারিআবদুস ২০১৯)শুকুর যিনি '''আল মাহমুদ''' নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ক‌বি আল মাহমু‌দ আইসিইউতে |ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1591306.bdnews |ওয়েবসাইট=bangla.bdnews24.com |প্রকাশক=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর |সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯}}</ref> তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।<ref name="poemhunter">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.poemhunter.com/al-mahmud/ | শিরোনাম=আল মাহমুদ (১১ জুলাই, ১৯৩৬ - ব্রাহ্মণবাড়ীয়া/বাংলাদেশ) | প্রকাশক=পয়েমহান্টার.কম | সংগ্রহের-তারিখ=১৭ জানুয়ারি ২০১৩ | লেখক=পয়েমহান্টার.কম}}</ref> বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] সম্মুখঅংশ সমরেওনিয়েছেন অংশপ্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে নিয়েছেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailynayadiganta.com/diganta-shahitto/330539/-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6|শিরোনাম=কবি আল মাহমুদ|ওয়েবসাইট=দৈনিক নয়া দিগন্ত|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-24}}</ref><ref name="dailystar2">{{Cite web|url=https://www.thedailystar.net/news-detail-45124|title=Poet Al Mahmud turns 73|date=2008-07-11|website=The Daily Star|language=en|access-date=2019-02-15}}</ref>তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা -পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিতসংবাদপত্র [[দৈনিক গণকণ্ঠ]] (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
 
১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক [[বাংলা ভাষা আন্দোলন]], জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কাব্য |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF |প্রকাশক=বাংলাপিডিয়া |সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯}}</ref> ''লোক লোকান্তর'' (১৯৬৩), ''কালের কলস'' (১৯৬৬), ''সোনালী কাবিন'' (১৯৭৩), ''মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো'' ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সোনালি কাবিন |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/we-are/article/41377/;in=3407 |ওয়েবসাইট=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |ভাষা=bn}}</ref> কবি আল মাহমুদ তাঁর অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই [[ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার]] মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃতপিতৃপ্রদত্ব নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/337293-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6|শিরোনাম=সোনালী কাবিনের কবি আল মাহমুদ|কর্ম=দৈনিক সংগ্রাম|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-24}}</ref> তার পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর।<ref name="এনটিভি"/> তার দাদার নাম আব্দুল ওহাব মোল্লা যিনি হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।
 
[[কুমিল্লা|কুমিল্লা জেলার]] দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের [[সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়|সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে]] পড়ালেখা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করে ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা শুরু করেন এবং একেরষাট পরদশকেই একস্বীকৃতি সাফল্যও পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেন।
 
== কর্মজীবন ==
সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আগেমন করেন। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত [[সাপ্তাহিক কাফেলায়কাফেলা]] পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি তিনি [[দৈনিক মিল্লাত]] পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলারকাফেলা পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
 
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধেভারত অংশগমন নেনকরেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধের পরে [[দৈনিক গণকণ্ঠ]] নামক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠা-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাবরণকারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এই কারাদণ্ড ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে যন্ত্রণাময় অধ্যায়। তবে এ সময় [[কুরআন]] পাঠ করেন এবং এই অধ্যয়ন তাঁর মনোজগতে মৌলিক পরিবর্তন সাধন করে। এরপর থেকে তাঁর কাব্যচেতনায় ইসলামি চেতনার আভাস দেখা করেন।দেয়।

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] তাকে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি|শিল্পকলা একাডেমীর]] গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।<ref name=":0" />
 
== সাহিত্যজীবন ==
১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত [[সিকান্দার আবু জাফর]] সম্পাদিত [[সমকাল]] পত্রিকা এবং কলকাতার [[নতুন সাহিত্য]], [[চতুষ্কোণ]], [[ময়ূখ]][[কৃত্তিবাস]] ও [[বুদ্ধদেব বসু]] সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম সুপরিচিতপরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর কালের কলস (১৯৬৬), সোনালি কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে উঠো (১৯৬৯১৯৭৬) কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।
 
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার শহরমুখীনগরকেন্দ্রিক প্রবণতার মধ্যেইপ্রেক্ষাপটে ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহকে তার কবিতায় অবলম্বন করেন। নারী ও প্রেমের বিষয়টি তার কবিতায় ব্যাপকভাবে এসেছে। উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হিসেবে নারীর যৌনতা, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগের লালসাকে তিনি শিল্পের অংশ হিসেবেই দেখিয়েছেন।<ref name="etv">{{ ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আল মাহমুদের কবিতায় নারী ও প্রেম |ইউআরএল= http://www.ekushey-tv.com/আল-মাহমুদের-কবিতায়-নারী-ও-প্রেম/21018 |প্রকাশক= [[একুশে টিভি]] |লেখক= দীপংকর দীপক |তারিখ= নভেম্বর ২৭, ২০১৭ |সংগ্রহের-তারিখ= জুলাই ২০, ২০১৮}}</ref> আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ তার অনন্য কীর্তি।
 
১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] লাভ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কবি আল মাহমুদ আইসিইউতে |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%87-105769 |প্রকাশক=ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯}}</ref> তার সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম [[সোনালি কাবিন]]। ১৯৯০১৯৭০-এর দশকদশকের থেকেশেষার্ধ তার কবিতায় বিশ্বস্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে; এর জন্য তিনি প্রগতিশীলদের সমালোচনার মুখোমুখি হন। ১৯৯৩ সালে বেরপ্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি“কবিকোলাহল।কোলাহল”। কোনো কোনো তাত্ত্বিকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিশ্বাসগ্রস্ততার কারণে তার বেশকিছু কবিতা লোকায়তিক সাহিত্যদর্শন দৃষ্টান্তবাদ দ্বারা অগ্রহণযোগ্য। তবে একথাও সত্য, কবিতায় দর্শন থাকে, কিন্তু দর্শন দ্বারা কবিতা নিয়ন্ত্রিত নয়, কবিতা আবেগের কারবার।
 
== উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ==
৫৭ ⟶ ৬০ নং লাইন:
* বখতিয়ারের ঘোড়া
* অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না
* Selected Poems - Al Mahmud In(1981) English
* দিনযাপন
* দ্বিতীয় ভাঙ্গন