কর্ণ (মহাভারত): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬ নং লাইন:
== জন্ম, শিক্ষা ও অভিশাপ ==
 
কুন্তীভোজের রাজকুমারী [[কুন্তী]] যৌবনকালে দুর্বাসা মুনির কাছে আশীর্বাদরূপে পুত্রেষ্ঠী মন্ত্র লাভ করেন। কুমারী অবস্থায় একদিন [[কুন্তী]] কৌতূহলবশত মন্ত্রবলে সূর্যদেবতাকে আহ্বান করেন। সূর্য উপস্থিত হলে ভীত কুন্তী তাকে অজ্ঞানতাবশত এই কাজের কথা বলেন, কিন্তু, মন্ত্রের সম্মান রক্ষার্থে সূর্যদেব তার গর্ভসঞ্চার করতে বাধ্য হন এবং সূর্যের সাথে মিলনের ফলে তার গর্ভে কবচকুন্ডল পরিহিত কর্ণের জন্ম হয়। বিবাহের পূর্বে কর্ণের জন্ম হওয়ায় কুন্তী লোকনিন্দার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। সমাজে নিজের সম্মান রক্ষার তাগিদে তিনি শিশুপুত্রকে একটি বেতের পেটিকাতে শুইয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেন। ভীষ্মের রথের সারথী [[অধিরথ]] ও তার স্ত্রী রাধা দেবী তাঁকে উদ্ধার করেন। তারা কর্ণকে পুত্রস্নেহে পালন করতে থাকে এবং তাঁর নাম হয় বসু্ষেন। কর্ণকে 'রাধেয়' নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
 
বাল্যকাল থেকে কর্ণ ধনুর্বিদ্যায় আগ্রহী ছিলেন। তিনি কুরু রাজকুমারদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের কাছে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে গেলে, দ্রোণাচার্য তাঁকে সুতপুত্র বলে প্রত্যাখ্যান করেন। দ্রোণাচার্যের প্রত্যাখ্যানের পর কর্ণ দ্রোণাচার্যের গুরু পরশুরামের নিকট শিক্ষাগ্রহণের জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।<ref>[http://www.karna.org/body_story_behind_karna.html Website dedicated to the story of Karna]</ref> [[পরশুরাম]] যেহেতু শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের শিক্ষা দিতেন, তাই কর্ণ নিজেকে ব্রাহ্মণ হিসাবে পরিচয় দেন। অতঃপর [[পরশুরাম]] তাঁকে শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। তিনি কর্ণকে ব্রহ্মাস্ত্র,ব্রহ্মঃশীর অস্ত্র এবং ব্রহ্মান্ড অস্ত্রের ত্যাগ ও অস্ত্র সংবরণ করার পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। শিক্ষার শেষে পরশুরাম তাঁকে নিজের সমতুল্য যোদ্ধা ও ধনুর্বিদ বলে ঘোষণা করেন। একদিন পরশুরাম আশ্রমের কাছে এক জায়গায় কর্ণের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। এমন সময়ে একটি বিছা জাতীয় কীট কর্ণের ঊরুতে দংশন করে। কিন্তু গুরুর নিদ্রাভঙ্গের হতে পারে ভেবে তিনি অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেও কর্ণ নিশ্চল রইলেন। রক্তের ধারা পরশুরামের গায়ে লাগলে তাঁর ঘুম ভেঙে যায় এবং তিনি সিদ্ধান্তে আসেন যে কর্ণ ব্রাহ্মণ নয়। অতপর কর্ণ নিজের প্রকৃত পরিচয় ব্যক্ত করতে বাধ্য হন। [[পরশুরাম]] তাঁর এই মিথ্যাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিশাপ দেন যে সংকটকালে দিব্যাস্ত্র ত্যাগের কৌশল তাঁর মাথায় আসবে না। কিন্তু তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে কর্ণের অধ্যাবসায়ে খুশি হয়ে [[পরশুরাম]] তাঁকে "ভার্গবাস্ত্র" নামক দৈবাস্ত্র ও "বিজয়" নামক ধনুক উপহার দেন।