মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jaed Ali (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
5টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
১২ নং লাইন:
 
=== বিস্তার ও বিবর্তন ===
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের আভিযানের সাথে সাথে মসজিদ আরব উপদ্বীপের সীমা ছাড়িয়ে বিস্তারলাভ করতে থাকে। [[৬৪০]] খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে [[মিসর|মিসরে]] অনেক মুসলমানের সমাগম ঘটে। তখন এই দেশে এতো মসজিদ নির্মিত হয় যে, রাজধানী [[কায়রো|কায়রোকে]] ডাকা হত ''হাজার মিনারের শহর'' বলে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://travel.independent.co.uk/africa/article253491.ece |শিরোনাম=Cairo, Egypt |সংগ্রহের-তারিখ=September 22, 2007 |প্রকাশক=The Independent | অবস্থান=London | প্রথমাংশ=Robin | শেষাংশ=Barton | তারিখ=February 19, 2001 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070528185809/http://travel.independent.co.uk/africa/article253491.ece |আর্কাইভের-তারিখ=২৮ মে ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
মিশরীয় মসজিদগুলোতে সু্যোগ-সুবিধার ভিন্নতা ছিলো, যেমন, কিছু মসজিদে ছিলো মাদ্রাসার মতো স্কুল, আবার অন্য মসজিদগুলোতে হাসপাতাল কিংবা কবরস্থান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Budge's Egypt: A Classic 19th Century Travel Guide |শেষাংশ=Budge |প্রথমাংশ=E.A. Wallis |প্রকাশক=Courier Dover Publications |তারিখ=June 13, 2001 |পাতাসমূহ=123–128 |আইএসবিএন=0-486-41721-2}}</ref>
১৯ নং লাইন:
 
[[চিত্র:Chinese-style minaret of the Great Mosque.jpg|left|thumb|[[চীন|চীনের]] জি-এন মসজিদের মিনারে চীনা স্থাপত্যিক নিদর্শন]]
[[চীন|চীনে]] অষ্টম শতাব্দিতে প্রথম জি-আন মসজিদটি নির্মিত হয়। সচরাচর মসজিদগুলোর আদল যেমন হয়, জি-আন মসজিদটি তার ব্যতিক্রম। এতে অনেক সনাতন চীনা স্থাপত্যিক ঐতিহ্য পরিস্ফুটিত হয়েছে। এর সবুজ ছাদের জন্য সহজেই অন্যান্য ইমারত থেকে একে আলাদাভাবে চেনা যায়। চীনের পশ্চিমের মসজিদগুলোতে আনেক প্রথাগত উপকরণের ব্যবহার হয় যা বিশ্বের আর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এই মসজিদগুলোতে মিনার এবং গম্বুজের বহুল উপস্থিতি রয়েছে, অন্যদিকে পূর্ব চীনের মসজিদগুলো দেখতে অনেকটা [[প্যাগোডা|প্যাগোডার]] মতো।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল= http://www.saudiaramcoworld.com/issue/198504/muslims.in.china-the.mosques.htm|সংগ্রহের-তারিখ=April 8, 2006|শেষাংশ=Cowen|প্রথমাংশ=Jill S.|তারিখ=July/August 1985|পাতাসমূহ=30–35|প্রকাশক=Saudi Aramco World|শিরোনাম=Muslims in China: The Mosque|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060322154300/http://www.saudiaramcoworld.com/issue/198504/muslims.in.china-the.mosques.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২২ মার্চ ২০০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
[[চিত্র:DSCN0338.JPG|left|left|thumb|জাভানিজ আদলে ওগিয়াকারতা জামে মসজিদ, [[ইন্দোনেশিয়া]]।]]
২৮ নং লাইন:
[[চিত্র:MosqueeKairouan 4.jpg|thumb|left|[[৬৭০]] খ্রিস্টাব্দে নির্মিত কাইরোয়ান জামে মসজিদ, কাইরোয়ান, [[তিউনেশিয়া]]। এটি পশ্চিমা মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ।]]
[[চিত্র:GD-FR-Paris-Mosquée012.JPG|right |thumb|220px| প্যারিস জামে মসজিদ, [[ফ্রান্স]]।]]
এগারো শতাব্দিতে, [[অটোম্যান সাম্রাজ্য|অটোম্যান সাম্রাজ্যের]] সময় তুরস্কের অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন সেখানে অনেক মসজিদের আবির্ভাব ঘটে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রথমদিকের বেশকিছু মসজিদ (যেমন: হায়া সফিয়া মসজিদ, ইস্তাম্বুল) তৈরি হয়, যা পূর্বে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের [[চার্চ]] বা [[ক্যাথেড্রাল]] ছিলো। অটোম্যানরা এই মসজিদগুলোতে তাদের নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করেন, যেমন: বিশাল কেন্দ্রীয় গম্ভুজ, একাধিক মিনার, খোলা সম্মুখভাগ, ইত্যাদি। তাদের মসজিদগুলোতে কারুকাজময় থাম, এর মাঝে সুপরিসর স্থান, উঁচু ছাদ এবং মিহরাবও দেখা যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল= http://www.ccds.charlotte.nc.us/History/MidEast/04/Jpitts/Jpitts.htm|সংগ্রহের-তারিখ=April 7, 2006|শিরোনাম=Mosques|প্রকাশক=Charlotte Country Day School|আর্কাইভের-ইউআরএল = httphttps://web.archive.org/web/20060507204557/http://www.ccds.charlotte.nc.us/History/MidEast/04/Jpitts/Jpitts.htm |আর্কাইভের-তারিখ = Mayমে 7, 2006২০০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=yesহ্যাঁ}}</ref> বর্তমান তুরস্কের অনেক মসজিদই অটোম্যানদের সেই স্থাপত্যশৈলীর ধারক।
 
[[ইউরোপ|ইউরোপের]] বিভিন্ন স্থানে মসজিদের বিস্তার ধীরে ধীরে হয়। তবে বিগত শতাব্দিতে অনেক মসুলমানদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে মসজিদের দ্রুত প্রসার ঘটে। ইউরোপের প্রধান শহরগুলোতে (যেমন: [[রোম]], [[লন্ডন]], [[মউনিখ]]) গতানুগতিক গম্ভুজ আর মিনারবিশিষ্ট অনেক মসজিদই তাদের স্থান করে নিয়েছে। শহর অঞ্চলের এই সুবিশাল মসজিদগুলো এখানকার বিপুলসংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের সামাজিক কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে পরিগণিত। তবে যেসব মফস্বল কিংবা গ্রামাঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি, সেখানেও অনেক মসজিদের দেখা মিলে। [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] ওয়কিংয়ে অবস্থিত এধরণের প্রথম মসজিদটি হল শাহ জাহান মসজিদ।
৪১ নং লাইন:
== ধর্মীয় কার্যাবলী ==
=== প্রার্থণা ===
ইসলামের দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসব ([[ঈদুল ফিতর]] এবং [[ঈদুল আজহা]]) দিনে মসজিদগুলোতে সকাল বেলায় বিশেষ নামাজ পড়া হয়। এই ঈদের নামাজে বহু মুসল্লির সমাবেশ হয় এবং বড় মসজিদ্গুলো এই ঈদের জামাতের আয়োজন করে। এর জন্য কিছু মসজিদ বড় সমাবেশ কেন্দ্র কিংবা সধারন জনগনের জন্য সহজগম্য এমন ইমারত ভাড়া করে নেয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের মসজিদগুলো সাধারণত বড় মাঠে বা শহরের প্রধান প্রাঙ্গনে ঈদের নামাজের আয়োজন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.usc.edu/dept/MSA/fundamentals/pillars/prayer/Eid-Prayers_1.html |সংগ্রহের-তারিখ=April 8, 2006 |শিরোনাম='Id Prayers (Salatul 'Idain) |প্রকাশক=University of Southern California |কর্ম=Compendium of Muslim Texts |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20051223214532/http://www.usc.edu/dept/MSA/fundamentals/pillars/prayer/Eid-Prayers_1.html |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== রমজান পর্ব ===
ইসলামের পবিত্র মাস [[রমজান|রমজানে]] মুসলমানেরা দিনের বেলায় [[রোজা]] রাখে। তাই অনেক মসজিদে সূর্যাস্তের পর [[মাগরিব]] নামাজের শেষে [[ইফতার|ইফতারের]] আয়োজন থাকে। এই ইফতারের খাদ্য সাধারণত এলাকার জনসাধারণ নিয়ে আসে এবং একত্রে বসেই খাওয়া দাওয়া হয়। রমজানে দান-খয়রাত করা আনেক ফজিলতপূর্ণ বলে অনেকেই মসজিদে অর্থ দান করে এবং তা দিয়ে গরীব দুঃস্থদের জন্য [[সেহেরী]] ও ইফতারের আয়োজন হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.usc.edu/dept/MSA/fundamentals/pillars/fasting/tajuddin/fast_51.html| সংগ্রহের-তারিখ=April 17, 2006| শিরোনাম=Charity| প্রকাশক=University of Southern California |কর্ম=Compendium of Muslim Texts|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060205112728/http://www.usc.edu/dept/MSA/fundamentals/pillars/fasting/tajuddin/fast_51.html|আর্কাইভের-তারিখ=৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
রমজান মাসে প্রতিরাতের [[এশা]]র নামাজের পর বিশেষ নামাজ ([[তারাবিহ]] নামাজ) পড়া হয়। এই নামজে ঘন্টাখানেক সময় নেয়। সাধারণত যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ [[কুরআন |আল কোরান]] মুখস্থ রাখেন (এদেরকে কোরানে হাফেজ বলে) তিনি ইমামতি করেন এবং প্রতিদিন ক্রমানুসারে কোরানের অংশবিশেষ তেলোয়াত (আবৃতি করা) করেন।<ref name="teach-islam">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Teach Yourself Islam |শেষাংশ=Maqsood |প্রথমাংশ=Ruqaiyyah Waris |আইএসবিএন=0-07-141963-2 |তারিখ=April 22, 2003 |সংস্করণ=2nd |প্রকাশক=McGraw-Hill |পাতাসমূহ=57–8, 72–5, 112–120 |অবস্থান=Chicago}}</ref> কখনো কখনো একাধিক ব্যক্তি উপরোক্ত কাজটি পালাক্রমে সম্পূর্ণ করেন।