সুন্দরবন দিবস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা (CSD নি৭)। (টুইং)
সংশোধন
১ নং লাইন:
'''সুন্দরবন দিবস''' ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত একটি বিদস।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুন্দরবন দিবস |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1080111/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8 |ওয়েবসাইট=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |ভাষা=bn |তারিখ=১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭}}</ref> সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়।
{{db-a7}}
'''১৪ ফেব্রুয়ারি,''' [[সুন্দরবন দিবস]] [[ভালবাসা দিবসে]] ভালবাসুন সুন্দরবনকে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবারও ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’-এই শ্লোগান নিয়ে আজ সুন্দরবন দিবস পালিত হচ্ছে।
 
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।<ref>{{ওয়েব এবারউদ্ধৃতি পালিত|শিরোনাম=আজ হচ্ছেসুন্দরবন ১৪তমদিবস সুন্দরবন|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/everyday/17631/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8 |ওয়েবসাইট=যুগান্তর |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |তারিখ=১৪ ফেব্রুয়ারি দিবস।২০১৮}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
বরাবরের মতো এবারেও সুন্দরবন দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে খুলনায়। দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপন]]
পাশ্চাত্যের ছোঁয়া লেগে ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসটি’ আমাদের দেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। দিবসটিতে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতি প্রেমিরা নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলাসমূহে স্থানীয় প্রেসক্লাব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, উন্নয়ন সংগঠন এবং নাগরিক কমিটির ব্যানারে নানা অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সুন্দরবন দিবসটি পালিত হবে।
 
খুলনায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন সংরক্ষণে ‘ভাবনা’ প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। এ প্রতিযোগিতায় খুলনা মহানগরীর ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ৫০০ সেরা ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সেরা ভাবনাগুলি পরবর্তীতে সুন্দরন সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
 
এ অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অনুষ্ঠানে সুন্দরবন বিষয়ক পটগান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে রূপান্তর থিয়েটার।
 
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির সম্পূরক উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।
 
প্রতিনিয়ত বনখেকোদের আগ্রাসনের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশ।
 
পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সমন্বিতভাবে ১৮-দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা বাস্তবায়নে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২০০১ সালে আহ্বান জানানো হয়।
 
১৮-দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, জাতীয় প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে বাঘ-হরিণসহ সুন্দরবনের সবধরনের প্রাণী হত্যা বন্ধসহ যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়া, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ-নবায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, তেল-গ্যাস আবিষ্কারের জন্য অনুসন্ধানী উদ্যোগ বন্ধ, আইনানুগ সম্পদ আহরণকারীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বন ও বন্যপ্রাণী আইনকে আরও যুগোপযোগী এবং প্রয়োজনে পৃথক বন আইন, বনের ভেতর ও পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর সংস্কার, বিশেষ করে গোরাই নদীশাসনের ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, সুন্দরবন এলাকায় চিংড়ি পোনা ধরার কারণে মাছসহ জলজ সম্পদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।-