মাচু পিচু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:পেরু অপসারণ; বিষয়শ্রেণী:পেরুর দর্শনীয় স্থান যোগ |
অ সম্প্রসারণ |
||
১৫ নং লাইন:
'''মাচু পিকচু''' ([[কেচুয়া ভাষা|কেচুয়া]]: Machu Pikchu ''মাচু পিক্চু'' অর্থাৎ "পুরানো চূড়া") বা '''মাচু পিচু''' ([[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয়]]: Machu Picchu ''মাচু পিচু'') [[ক্রিস্টোফার কলম্বাস|কলম্বাসের]] [[আমেরিকা]] আবিষ্কারের আগের সময়কার একটি [[ইনকা সভ্যতা|ইনকা]] শহর, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ২৪০০ মিটার (৭,৮৭৫ ফিট)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url= http://whc.unesco.org/pg.cfm?cid=31&id_site=274 |title=Historic Sanctuary of Machu Picchu — UNESCO World Heritage Centre|date=2006 |accessdaymonth= 9 December |accessyear=2006 |publisher=[[UNESCO]]}}</ref>। এটি [[পেরু|পেরুর]] [[উরুবাম্বা উপত্যকা|উরুবাম্বা উপত্যকার]] (Valle de Urubamba) ওপরে একটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত। মাচু পিচুই সম্ভবতঃ [[ইনকা সভ্যতা|ইনকা সভ্যতার]] সবচেয়ে পরিচিত নিদর্শণ, যাকে প্রায়শঃ ''ইনকাদের হারানো শহর'' বলা হয়। এটি [[১৪৫০]] সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন [[স্পেন]] দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ বছর অজ্ঞাত থাকার পর [[১৯১১]] সালে [[হাইরাম বিঙাম]] ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Hiram Bingham) নামে এক [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন]] ঐতিহাসিক এটিকে আবার সমগ্র বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এটিকে [[১৯৮১]] সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং [[ইউনেস্কো]] [[১৯৮৩]] সালে এটিকে তাদের [[ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান|বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায়]] অন্তর্ভুক্ত করে। এটি বর্তমান বিশ্বের [[বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়|সাতটি নতুন বিস্ময়েরও]] একটি।
মাচু পিচু ঐতিহ্যবাহী ইনকা বাস্তুকলার এক অনুপম নিদর্শণ। পালিশ করা পাথর দ্বারা নির্মিত এই শহরের প্রধান স্থাপনাগুলো হচ্ছে ''ইন্তিউয়াতানা'' (কেচুয়া: Intiwatana ''সূর্য স্তুপ''), ''সূর্য মন্দির'' ও ''তিন জানালা ঘর'' ইত্যাদি। পুরাকীর্তিবিদদের কাছে মাচু পিচুর ''পবিত্র অঞ্চল'' হিসেবে পরিচিত অংশে এ স্থাপনাগুলো অবস্থিত। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে হাইরাম বিঙাম মাচু পিচু থেকে যে সব পুরাকীর্তি নিয়ে গিয়েছিলেন সেসব ফেরত দেবার জন্য [[২০০৭]] সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেরু সরকার ও [[ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়|ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত পর্যটক সমাগমের ফলে এই প্রাচীন শহরের অস্তিত্ব নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন; উল্লেখ্য, [[২০০৩]] সালে এখানে আগত পর্যটকের সংখ্যা ৪০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়।
== ইতিহাস ==
৬৪ নং লাইন:
প্রথম অভিযানের সার্থকতার পরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ন্যাশনাল জিওগ্র্যাফির যৌথ অর্থায়নে ১৯১২ সালে বিঙাম পুনরায় পেরুতে অভিযান চালান। মূলত প্রথম অভিযানের ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করাই ছিল এই অভিযানের উদ্দেশ্য। কিন্তু নতুন আর কোন ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন বিঙাম পরবর্তীকালে খুঁজে পাননি।
১৯৫৬ সালের ৬ জুন, ওয়াশিংটনে তাঁর নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় অসমসাহসী এই অভিযাত্রীর।
=== কৃষিকাজ ===
[[চিত্র:Machu_Picchu_(3833992683).jpg|থাম্ব|Terraces used for farming at Machu Picchu]]
মাচু পিচুর বেশিরভাগ কৃষিকাজই করা হয় মানুষ নির্মিত সিড়িরূপ জমিতে। এগুলো দারুন ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যার পরিচায়ক যেখানে পানি নিষ্কাষন সুবিধাসহ মাটির উর্বরতা রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ের মাটি ক্ষয় রোধ এবং ভেঙ্গে পড়া রোধের বিষয়গুলো বিবেচনা করে বানানো হয়েছে। তবুও এটি পুরোপুরি সঠিক ছিল না গবেষনায় দেখা গেছে মাচু পিচু তৈরির সময় এখানে মাটি ধস হয়। সিড়ির মত তৈরী জমিতে কোন কোন জায়গায় ধস হয়েছিল যা আজও দেখা যায়, কিন্তু পরে ইনকারা এটি ঠিক করে চারপাশে নির্মান কাজ করে।<ref name=":2">{{Cite journal|last=Brown|first=Jeff L.|date=January 2001|title=Rediscovering the lost city|url=https://search-proquest-com.libproxy.mst.edu/docview/228471133?pq-origsite=summon&accountid=14594|journal=Civil Engineering; New York|volume=71|pages=32–39|via=}}</ref>
১৪৫০ এ.ডি হতে হিসেব করে দেখা গেছে যে উক্ত স্থানে প্রতি বছর প্রায় {{cvt|1800|mm}} বৃষ্টি হত, যা শস্যের উৎপাদনের জন্য যা পর্যাপ্ত তার থেকেও বেশি ছিল। তাদের জমিতে পানি সেচের দরকার পড়ত না। এগুলোতে এত বেশি পানি পাওয়া যেত যে বাড়তি পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা করতে হয় এগুলোর জন্য। ৯০ দশকে খনন এবং মাটি পরীক্ষা করেন কেনেথ রাইট তাতে দেখা যায় সোপানগুলো স্তরবিশিষ্ট একেবারে নিচের স্তর হল বড় পাথর আর নুড়ির।<ref name=":2" /> তার উপরের স্তরে রয়েছে বালি এবং নুড়ির স্তর একেবারে উপরের স্তরে রয়েছে উর্বর মাটির স্তর। উপরের স্তরের এই মাটি উপত্যকা হতে আনা হয়েছে কারন পাহাড়ের চূড়ার দিকের মাটি এত উর্বর নয়।<ref name=":0" />
চাষের জমির পরিমান ছিল মাত্র {{cvt|12|acre|ha|disp=flip}} এবং মাটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেখানে আলু এবং শস্য উৎপাদিত হত যা ৭৫০শের অধিক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত নয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে তারা যা খেত তার অধিকাংশই আশেপাশের উপত্যকা বা আরো দূর থেকে আনা হত।<ref name=":3" />
== অবস্থান ==
|