বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র যাচাইপূর্বক সংশোধন, উইকিসিদ্ধকরণ
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
উইকিসংযোগ
১ নং লাইন:
[[চিত্র:1952 Bengali Language movement.jpg|thumb|250px|রাষ্ট্রভাষা হিসেবে [[বাংলা ভাষা|বাংলার]] অধিকার আদায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে [[ঢাকা|ঢাকায়]] আয়োজিত মিছিল]]
{{বাংলাদেশের সংস্কৃতি}}
'''বাংলা ভাষা আন্দোলন''' ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন [[পূর্ব বাংলা]]য় (বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষাকে]] ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তদানীন্তন [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|পাকিস্তান অধিরাজ্যের]] অন্যতম [[জাতীয় ভাষা|রাষ্ট্রভাষা]] হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।
 
১৯৪৭ সালে [[দ্বিজাতি তত্ত্ব|দ্বিজাতি তত্ত্বের]] ভিত্তিতে [[ব্রিটিশ ভারত]] [[ভারত বিভাজন|ভাগ]] হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও [[ভারত অধিরাজ্য]] নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দু’টি অংশ: [[পূর্ব বাংলা]] (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত [[পূর্ব পাকিস্তান]]) ও [[পশ্চিম পাকিস্তান]]। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে [[পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল|পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার]] ঘোষণা করে যে, [[উর্দু ভাষা|উর্দুই]] হবে পাকিস্তানের একমাত্র [[রাষ্ট্রভাষা]]। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যতঃ পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ [[১৪৪ ধারা]] জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।