জেনেভা কনভেনশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
১৪ নং লাইন:
১৮৬৪ সালের ২২শে আগস্ট মোট বারোটি দেশ প্রথম চুক্তিটির দশটি অনুচ্ছেদ প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Roxburgh | প্রথমাংশ = Ronald | শিরোনাম = International Law: A Treatise | প্রকাশক = Longmans, Green and co. | অবস্থান = London | বছর = 1920 | ইউআরএল = http://books.google.com/books?id=G8NAAAAAIAAJ | পাতা = 707}} এই বারোটি দেশ ছিল [[সুইজারল্যান্ড]], [[ব্যাডেন]], [[বেলজিয়াম]], [[ডেনমার্ক]], [[ফ্রান্স]], [[হেস]], [[হল্যান্ড]], [[ইতালি]], [[পর্তুগাল]], [[প্রুশিয়া]], [[স্পেন]], এবং [[উর্টেমবার্গ]].</ref> এ প্রচারিভাযানে মার্কিন রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা ক্লারা বার্টন যথেষ্ট প্রভাব রাখেন । অবশেষে ১৮৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্র এর অনুমোদন দেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Burton | প্রথমাংশ = David | শিরোনাম = Clara Barton: in the service of humanity | প্রকাশক = Greenwood Publishing Group | অবস্থান = London | বছর = 1995 | ইউআরএল = http://books.google.com/books?id=rJyTkPqIC-sC}}</ref>
 
''সমুদ্রস্থ যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও অসুস্থ সৈনিকদের সার্বিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে'' ১৯০৬ সালের ৬ই জুলাই-এ সম্পাদিত জেনেভা কনভেনশনে দ্বিতীয় চুক্তিটি গৃহীত হয় । এটিই দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন। এই চুক্তিটিতে সুনির্দিষ্টভাবে সমুদ্রপথে যুদ্ধরত সেনাবাহিনীকে নির্দেশ করা হয়েছে। <ref>[http://www.fco.gov.uk/resources/en/pdf/treaties/TS1/1907/15 Text of the 1906 convention (French)]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ১৯২৯ সালের ২৭শে জুলাইয়ে সম্পাদিত ''যুদ্ধবন্দিদের সাথে সু-আচরণ ও তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে'' তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনেও এটি বহাল রাখা হয় এবং কার্যকর হয় ১৯৩১ সালের ১৯শে জুন তারিখে।<ref>Text in ''League of Nations Treaty Series'', vol. 118, pp. 304-341.</ref> [[ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল|ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে]] যে [[যুদ্ধাপরাধ|যুদ্ধাপরাধের]] ঘটনা প্রকাশ পায় তার প্রতি তীব্র ক্ষোভ থেকে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী এক শান্তিকামি ও মানবহিতৈষী স্পৃহা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪৯ সালে একের পর এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে পূর্বের তিনটি জেনেভা কনভেনশনকে হালনাগাদকরণ ও সুনিশ্চিতকরণসহ ''যুদ্ধকালীন সময়ে বেসামরিক জনগণ রক্ষার্থে'' একটি নতুন ও বিশদ ''জেনেভা কনভেনশন'' যোগ করা হয়। এটাই ছিল চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন।
 
এই দলিলসমূহের বহু বিস্তারিত ব্যাপ্তিসত্ত্বেও সময়ের সাথে সাথে এর অসম্পূর্ণতা উপলব্ধি করা গেছে। বস্তুত [[স্নায়ুযুদ্ধ|স্নায়ুযুদ্ধের]] শুরু থেকেই যুদ্ধের ধরন বদলে গেছে, ফলে অনেকেই মনে করেন যে, ১৯৪৯-এর জেনেভা কনভেনশন প্রকৃতপক্ষে এক অধুনা-লুপ্ত বাস্তবতার জন্য প্রযোজ্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Kolb| প্রথমাংশ = Robert| শিরোনাম = Ius in bello| প্রকাশক = Helbing Lichtenhahn | অবস্থান = Basel | বছর = 2009 | code=[ISBN 978-2-8027-2848-1]}}</ref> একদিকে বেশিরভাগ সামরিক সংঘাত ছিল অভ্যন্তরীণ যা পরিণত হয়েছিল গৃহযুদ্ধে, আবার অপরপক্ষে বেশিরভাগ যুদ্ধ হয়ে উঠছিল ক্রমবর্ধমানভাবে অসম বা অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া সাম্প্রতিককালের যুদ্ধ ও সংঘাতগুলোতে বেসামরিক জনগণকে উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে, যার ফলে যুদ্ধকালীন সময়ে বেসামরিক সামগ্রী ও জনগণের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এ প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ১৮৯৯ এবং ১৯০৭-এর হেগ কনভেনশন হালনাগাদ করা হয়েছে এবং এ হালনাগাদকরণ ছিল অতীব প্রয়োজনীয়। এ সমস্ত ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে দুটি প্রটোকল গৃহীত হয় যা কিনা ১৯৪৯ সালের কনভেনশনকে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থাসহ আরও সম্প্রসারিত করেছে। ২০০৫ সালে সংক্ষিপ্ত তৃতীয় প্রটোকলটি যুক্ত হয় যা চিকিৎসা সেবার নিরাপত্তামূলক [[প্রতীক|প্রতীক চিহ্ণের]] জন্য [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেডক্রস]] ও [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেডক্রিসেন্ট]]-এর প্রতীকচিহ্ণের বিকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে '''রেডক্রিস্টাল'''। এই প্রতীকটি সেই সব দেশের জন্য প্রযোজ্য যারা রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের প্রতীকচিহ্ণকে আপত্তিকর মনে করে।