ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ash wki (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের''' চর্চা [[ভারত|ভারতে]] [[বৈদিক যুগ]] হতেই চলে আসছে। প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো এই চর্চা মূলতঃ মন্দিরে পরিবেশিত [[স্তোত্র]] হতেই সৃষ্টি হয়েছে। [[সামবেদ|সামবেদে]] সঙ্গীতকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বিষয় হিসেবে আলোচনা করা হয়েছে।
 
বর্তমানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রধান তিনটি ধারা বিদ্যমানঃ-বিদ্যমান:{{Sfn|সোরেল|নারায়ণ|১৯৮০|pp=৩–৪}}
* [[হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত|হিন্দুস্থানী সঙ্গীত]] বা [[হিন্দুস্তানী''হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত]]'' এবং
* [[কর্ণাটকীকর্ণাটক সঙ্গীত|কর্ণাটী সঙ্গীত]] ।
 
হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানীকর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীতের কিছু কাঠমোগত বৈশিষ্ট ও রীতি রয়েছে। উভয় ধরণের সঙ্গীতেই রয়েছে [[তাল]] নির্ভর মেলোডি মোড যা [[রাগ]] হিসেবে পরিচিত। [[রাগ]] সাতটি সুর সা রে গা মা পা ধা নি এবং ২২ টি শ্রুতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশনা হয় মূলতঃ দু'ভাবে, কন্ঠে ও বাদ্যযন্ত্রে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এককভাবে পরিবেশনকারী যন্ত্রসমূহ হচ্ছে [[সরোদ]], [[সেতার]], [[সুরবাহার]], [[বীণা]], [[সারেঙ্গী]], [[বাঁশী]], [[বেহালা]], [[সন্তুর]], [[তবলা]], [[মৃদঙ্গ]]। এছাড়াও সহায়ক যন্ত্রসমূহ হচ্ছে [[তানপুরা]], [[এস্রাজ]], [[পাখোয়াজ]] ইত্যাদি।
 
হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রচলন মূলতঃ উত্তর ভারতে এবং কর্ণাটকীকর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত মূলতঃ দক্ষিণ ভারতে দেখা যায়।
 
== হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী সঙ্গীত ==
হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা বৈদিক যুগ হতে চলে আসলেও কেবলমাত্র [[হিন্দু]] সঙ্গীতের ঐতিহ্যই এতে নিবদ্ধ থাকেনি। বৈদিক দর্শন, ভারতের দেশজ শব্দ সুর এবং [[পারস্য|পারস্যের]] সাঙ্গীতিক প্রভাবে ঋদ্ধ হয়েছে উত্তর ভারতের এই হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাব এসেছে মূলতঃ আফগান ও [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল]] সম্রাটদের মাধ্যমে।
 
হিন্দুস্তানীহিন্দুস্থানী সঙ্গীতের মূল প্রেরণা এসেছে হিন্দু ধর্মে [[নব রস]] হতে। রাগ আশ্রিত এই সাঙ্গীতিক প্রকাশ বর্তমান অব্দি অতি জনপ্রিয়তায় আসীন হয়ে আছে। সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহন অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত [[রাগ|রাগসমূহ]]পরিবেশন করা হয়। ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতব্দীতে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা সমমায়িক ধর্মীয়, লোকগীতি এবং নাট্যকলার সাঙ্গীতিক প্রকাশ হতে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। [[ধ্রুপদ]], [[ধামার]], [[খেয়াল]] হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রকাশভঙ্গী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে [[খেয়াল]]।
 
[[পন্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে]] (১৮৬০-১৯৩৬) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের [[রাগ]] সমূহকে দশটি [[ঠাট]] বা গ্রুপে ভাগ করেছেন। এর আগে এগুলো বিভাজিত ছিল [[রাগ]] (পুরুষ), রাগিণী (স্ত্রী) এবং পুত্রা (সন্তান) হিসেবে। কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সময় ও কাল নির্ভর রাগ রয়েছে প্রায় ৬,০০০ টি।
 
== কর্ণাটকীকর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ==
কর্ণাটকীকর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা কর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীত হচ্ছে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আদিতম রূপ। দক্ষিণ ভারতে উদ্ভূত কর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীত হচ্ছে পৃথিবীর প্রচীনতম সঙ্গীতসমূহের একটি। এটিতেও রাগ ও তালের প্রকাশ ঘটেছে ভিন্ন মাত্রায়। কর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীততে ৭২টি মেলোডিক কোড রয়েছে যেগুলোকে [[মেলাকারটা]] [[রাগ]] বলা হয়। এর সাথে সঙ্গত করবার জন্য রয়েছে ১০৮ ধরনের তাল।
 
[[পূরণধারা দাসকে]] (১৪৮০-১৫৬৪) কর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীতের পিতা বলা হয়। তিনি প্রায় ৪,৭৫,০০০ সঙ্গীত রচনা করেছেন যার বেশীর ভাগই হারিয়ে গেছে। তিনিই পরবর্তী যুগের কর্ণাটকীকর্ণাটী সঙ্গীতের রচয়িতাদের প্রেরণা ছিলেন।
 
== তথ্য উৎস ==
{{reflist}}
* [http://en.wikipedia.org/wiki/Indian_Classical_Music ইংরেজি উকিপিডিয়া ]
* [http://www.documen.tv/asset/Banaras_Music_film.html "Banaras, Music of the Ganges"] Documentary 52 minutes
 
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত]]