উজবেকিস্তান (মার্কিন: / ʊzbɛkɪstæn, -stɑːn /, ইউকে: / ʊzˌbɛkɪstɑːn, -stæn /; উজবেক: Ўзбекистон / উজবেক উচ্চারণ [ozbekistɒn]; রাশিয়ান: Узбекистан [ʊzbkkstanstan]), আনুষ্ঠানিকভাবে উজবেকিস্তান প্রজাতন্ত্র (উজবেক: Ўзбекистон Республикаси / ওজবেকিস্তোন রেসপাবলিকাসি; রাশিয়ান: Республика Узбекистан), মধ্য এশিয়ার একটি ল্যান্ডলাকড দেশ। সার্বভৌম রাষ্ট্র একটি ধর্মনিরপেক্ষ, ঐক্যবদ্ধ সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র, ১২ টি প্রদেশ, একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র এবং একটি রাজধানী শহর গঠিত। উজবেকিস্তান সীমান্তে পাঁচটি ল্যান্ডলাকড দেশ রয়েছে: উত্তরে কাজাখস্তান; উত্তরপূর্ব কিরগিজস্তান; দক্ষিণপূর্ব তাজিকিস্তান; দক্ষিণ আফগানিস্তান; এবং দক্ষিণ পশ্চিমে তুর্কমেনিস্তান। লিচটেনস্টাইনের পাশাপাশি এটি বিশ্বের দুবার দ্বিগুণ ল্যান্ডলাকড দেশগুলির মধ্যে একটি (অর্থাত অন্যান্য ল্যান্ডলাকড দেশগুলির সাথে ভাগ করে নেওয়ার সীমানা)।
'''উজবেকিস্তান''' ([[উজবেক ভাষা|উজবেক ভাষায়]] O‘zbekiston ''উয্বেকিস্তন্'') মধ্য এশিয়ার একটি প্রজাতন্ত্র। এর পশ্চিম ও উত্তরে [[কাজাকিস্তান]], পূর্বে [[কিরগিজস্তান]], দক্ষিণ-পূর্বে [[তাজিকিস্তান]], এবং দক্ষিণে [[আফগানিস্তান]] ও [[তুর্কমেনিস্তান]]। উজবেকিস্তানের পশ্চিম অংশে দেশটির প্রায় ৩৭% এলাকা নিয়ে স্বায়ত্বশাসিত কোরাকালপোগ প্রজাতন্ত্র অবস্থিত। উজবেকিস্তানের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত [[তাশখন্দ]] দেশটির রাজধানী শহর এবং শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। উজবেকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ [[উজবেক জাতি|উজবেক জাতির]] লোক। [[উজবেক ভাষা]] এখানকার রাষ্ট্রীয় ভাষা।
এই ভূমিতেই জন্ম হয়েছিলো [[তৈমুর লং|দ্বিগ্বিজয়ী তৈমুর লঙ্গের]]
১৯২৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত উজবেকিস্তান [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] অধীন উজবেক সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯২ সালে সংবিধান সংশোধন করে এটিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও সোভিয়েত আমলে প্রচলিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন রূপ আজও দেশটির আর্থ-রাজনৈতিক কাঠামোয় রয়ে গেছে। যদিও সংবিধানে বহুদলীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি [[ইসলম ক্যারিমভ]] ([[উজবেক ভাষা|উজবেকে]] Islom Karimov ''ইস্লম্ ক্যারিমভ়্'') এক ধরনের স্বৈরশাসনের প্রবর্তন করেছেন, যাতে বিরোধী মতের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শিত হয় না। করিমভ বাজার সংস্কারের ব্যাপারেও ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন। ফলে এখনও অর্থনীতির অনেক ক্ষেত্রে সরকারের শক্ত নিয়ন্ত্রণ আছে।
