আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
অবিশ্বকোষীয় ও নিরপেক্ষ নয় এমন সব কিছু বাতিল
১৪ নং লাইন:
| স্বাক্ষর = Signature of Abdullah Abu Sayeed.png
}}
'''আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ''' (জন্মঃ ২৫ জুলাই, ১৯৩৯) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বহুমুখীএকজন প্রতিভারশিক্ষাবিদ, অধিকারীসাহিত্যিক প্রাতস্মরণীয় সমাজসংস্কারক। তিনি মূলতষাটের শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি ষাট দশকেরদশকে একজন প্রতিশ্রুতিময় [[কবি]] হিসেবে পরিচিত।পরিচিতি পান। সে সময় সমালোচক এবং সাহিত্য-সম্পাদক হিসাবেও তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন। কিন্তুতার ধীরেজীবনের ধীরেশ্রেষ্ঠ তাঁরকীর্তি সাহিত্য[[বিশ্বসাহিত্য প্রতিভারকেন্দ্র]] স্ফূরণযা স্তিমিতচল্লিশ হয়েবছর আসে।ধরে তবেবাংলাদেশে আত্মজীবনীসহ‘আলোকিত নানাবিধমানুষ’ লেখালেখিরতৈরির মধ্যকাজে দিয়েনিয়োজিত আজোরয়েছে।<ref>[http://www.prothomalo.com/archive/news_details_home.php?dt=2009-01-31&issue_id=1177&nid=MjE2Mjc= আলোকিতদের নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিরিশ বছরের পথচলা (দৈনিক প্রথম আলো)]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ২০০৪ সালে তিনি স্বীয়রোমেন লেখকম্যাগসেসে পরিচিতিপুরস্কার লাভ বহালকরেন। রেখেছেন।
 
তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি [[বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র]] যা চল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশে ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে।<ref>[http://www.prothomalo.com/archive/news_details_home.php?dt=2009-01-31&issue_id=1177&nid=MjE2Mjc= আলোকিতদের নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিরিশ বছরের পথচলা (দৈনিক প্রথম আলো)]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ২০০৪ এ তিনি রোমেন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠিনিকপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে ২০০৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] লাভ করেন। তাঁকেতাকে ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ বলে অভিহিত করা হয়।{{সত্যতা}} ১৯৭০-এর দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।{{সত্যতা}}
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
তিনি একজন অসাধারণ বক্তা। ১৯৭০ দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ [[১৯৩৯]] সালে [[কলকাতা|কলকাতার]] পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরতার পৈতৃক নিবাস [[বাগেরহাট|বাগেরহাট জেলার]] [[কচুয়া উপজেলা, বাগেরহাট|কচুয়া উপজেলার]] অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। তাঁরতার পিতা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। পিতার১৯৫৫ শিক্ষকসালে হিসেবেতিনি অসামান্য[[পাবনা সাফল্যজিলা স্কুল]] জনপ্রিয়তাথেকে শৈশবেইমাধ্যমিক, তাকে১৯৫৭ শিক্ষকতাসালে পেশারবাগেরহাটের প্রতি[[প্রফুল্লচন্দ্র আকৃষ্টকলেজ]] করে।থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়থেকে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
 
== জন্ম ==
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ [[১৯৩৯]] সালে [[কলকাতা|কলকাতার]] পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস [[বাগেরহাট|বাগেরহাট জেলার]] [[কচুয়া উপজেলা, বাগেরহাট|কচুয়া উপজেলার]] অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। তাঁর পিতা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। পিতার শিক্ষক হিসেবে অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয়তা শৈশবেই তাকে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট করে।
 
== শিক্ষাজীবন ==
* মাধ্যমিক - [[পাবনা জিলা স্কুল]](১৯৫৫)
* উচ্চমাধ্যমিক - [[প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ]],বাগেরহাট(১৯৫৭)
* স্নাতক - সম্মান (বাংলা), [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] (১৯৬০)
* স্নাতকোত্তর - এম.এ (বাংলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬১)।
 
== কর্মজীবন ==
শিক্ষক হিসেবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেছেন। অধ্যাপক হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিংবদন্তিতুল্য। তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন ১৯৬১ সালে, [[মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ|মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে]] খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে।হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কিছুকাল [[সিলেট মহিলা কলেজ|সিলেট মহিলা কলেজে]] শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজে]] প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে [[সরকারি বিজ্ঞান কলেজ]])। এই কলেজে তিনি দু' বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজের]] তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রনে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তাঁর শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন। সে সময় ঢাকা কলেজ ছিল দেশসেরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল। অধ্যাপক আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক [[শওকত ওসমান]]৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা জীবন তিনি অত্যন্ত উপভোগ করতেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,<ref name="gujijan ১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জীবনী : উল্লেখযোগ্য স্মৃতি(৩য় অণুচ্ছেদ) |ইউআরএল=http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 |সংগ্রহের-তারিখ=১০ মে ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071216111448/http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> {{উক্তি|ছেলেবেলায়, স্কুল থেকে কলেজে উঠে, অর্থনীতির বইয়ে পড়েছিলাম কেন একজন শিল্পপতি, কন্ট্রাক্টর বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীর চেয়ে একজন শিক্ষকের বেতন কম৷ যুক্তি হিসেবে সেখানে বলা ছিল একজন শিক্ষকের জীবন কাটে মার্জিত, পরিশীলিত পরিবেশে, বৈদগ্ধময় ব্যক্তিদের সাহচর্যে, উচ্চতর জীবনচর্চার অবকাশময় আনন্দে৷ জীবনের সেই মর্যাদা, তৃপ্তি বা শান্তি ঐ ব্যবসায়ী বা নির্বাহীর জীবনে নেই৷ এই বাড়তি প্রাপ্তির মূল্য দিতে শিক্ষকের আয় তাদের তুলনায় হয় কম৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতায় ঐ তৃপ্তি আমার এত অপরিমেয় হয়েছিল যে কেবল বেতন কম হওয়া নয়, আমার জন্য হয়ত বেতন না-থাকাই উচিত হত৷ এই পাওয়া যে কতটা তা বুঝেছিলাম কিছুদিনের জন্য অন্য কলেজে গিয়ে৷}}
 
এরপর তিনি [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজের]] তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রনে সেখানে যোগদান করেন। আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক [[শওকত ওসমান]]৷
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকা কলেজে প্রাণবন্ত, সপ্রতিভ, উজ্জ্বল ছাত্রদের পড়ানোর তৃপ্তি, শিক্ষক-জীবনের অনির্বচনীয়তম আস্বাদ ছেড়ে তিনি যেতে চাননি ৷ তাঁর মতে,
{{উক্তি|বাংলা বিভাগে যোগদান করাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো ছাত্রদের ছেড়ে সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের পড়াতে যাওয়ার মত মনে হয়েছে৷}}
 
ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে। সাহিত্য পত্রিকা [[কণ্ঠস্বর]] সম্পাদনার মাধ্যমে সেকালের নবীন সাহিত্যযাত্রাকে তিনি নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সংহত ও বেগবান করে রেখেছিলেন এক দশক ধরে। এসময় কিছুকাল [[বাংলাদেশ টেলিভিশন|বাংলাদেশে টেলিভিশনে]] উপস্থাপনাও করেন।
অধ্যাপক আবু সায়ীদ কখনোই ক্লাসে রোলকল করতেন না। রোলকলকে তার কাছে মনে হতো সময়ের অপব্যয়৷ তাই বছরের পয়লা ক্লাসেই ঘোষণা করে দিতেন রোলকল না করার ৷ তিনি বলেন,<ref name="gujijan২">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জীবনী : উল্লেখযোগ্য স্মৃতি (২য় অণুচ্ছেদ |ইউআরএল=http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 |সংগ্রহের-তারিখ=১০ মে ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071216111448/http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
{{উক্তি|অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা৷}}
 
ক্লাশের সেরা ছাত্রটাকে পড়ানোর চেষ্টা করার চেয়ে তিনি পড়াতে চেষ্টা করতেন ক্লাশের সবচেয়ে বোকা ছাত্রটাকে৷ সারাক্ষণ তাকেই বোঝাবার চেষ্টা করতেন, কেননা তার বোঝা মানে ক্লাসের বাকি সবার বোঝা।
 
== ষাটের দশকের সাহিত্য আন্দোলন ==
{{মূল নিবন্ধ|কণ্ঠস্বর}}
ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে। সাহিত্য পত্রিকা [[কণ্ঠস্বর]] সম্পাদনার মাধ্যমে সেকালের নবীন সাহিত্যযাত্রাকে তিনি নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সংহত ও বেগবান করে রেখেছিলেন এক দশক ধরে।
 
== উপস্থাপক জীবন ==
[[বাংলাদেশ টেলিভিশন|বাংলাদেশে টেলিভিশনের]] সূচনালগ্ন থেকে মনস্বী, রুচিমান ও বিনোদন-সক্ষম ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভুত হন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। টেলিভিশনের বিনোদন এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় তিনি পথিকৃৎ ও অন্যতম সফল ব্যক্তিত্ব।
 
== বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ==
{{মূল নিবন্ধ|বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র}}
[[চিত্র:MZI-YH-AAS.jpg|right|thumb|260px|আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (বামে), ডঃ ইয়াসমীন হক এবং ডঃ [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] এর সাথে।]]
আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালে [[বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র]] প্রতিষ্ঠা করেন।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ব্যক্তিত্বের প্রায় সবগুলো দিক সমন্বিত হয়েছে তাঁর [[বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র|বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের]] সংগঠক সত্তায়। তিনি অনুভব করেছেন যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজন অসংখ্য উচ্চায়ত মানুষ। '''আলোকিত মানুষ চাই'''- সারা দেশে এই আন্দোলনের অগ্রযাত্রী হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে তিনি রয়েছেন সংগ্রামশীল। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে একটু একটু করে, অনেক দিনে। এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মুখে নানা উথথান পতনের মধ্য দিয়ে তাঁকে এগোতে হয়েছে।
 
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেরকেন্দ্র জন্ম ১৯৭৮ সালে। মূলতঃ দেশের আদর্শগত অবক্ষয় দেখে তা থেকে উত্তরণের জন্যে অধ্যাপক সায়ীদ এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এপ্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে সায়ীদ বলেন:
{{উক্তি|দেশের এই সার্বিক অবক্ষয় এবং সম্ভাবনাহীনতার ভেতর সীমিত সংখ্যায় হলেও যাতে শিক্ষিত ও উচ্চমূল্যবোধসম্পন্ন আত্মোৎসর্গিত এবং পরিপূর্ণ মানুষ বিকশিত হওয়ার পরিবেশ উপহার দেয়া যায়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। একজন মানুষ যাতে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অধ্যয়ন, মূল্যবোধের চর্চা এবং মানবসভ্যতার যা-কিছু শ্রেয় ও মহান তার ভেতর দিয়ে পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে- আমরা এখানে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। কাজেই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাণহীন, কৃত্রিম, গতানুগতিক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি সর্বাঙ্গীণ জীবন-পরিবেশ।}}
 
বাংলাদেশে পাঠাগারের অপ্রতুলতা অণুধাবন করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ১৯৯৮ সালে ''[[ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি]]'' কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথমদিকে তার তত্ত্বাবধানে মাত্র পঁচিশ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বিশ্বের মহান সাহিত্যকর্মগুলো পড়তে ও সেগুলোর উপর আলোচনা করা শুরু করে। ধীরে ধীরে এই [[পাঠচক্র|পাঠচক্রে]] স্কুল-কলেজ ও সাধারণ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই [[পাঠচক্র|পাঠচক্রগুলোতে]] বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পঠন এবং সেগুলোর ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়। বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৫০০টি শাখা দেশের মোট ৫৪টি জেলায় তাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করেছে এবং এর সাথে যুক্ত আছেন বহু স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।
 
বাংলাদেশে পাঠাগারের অপ্রতুলতা অণুধাবন করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ১৯৯৮ সালে ''[[ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি]]'' কার্যক্রম আরম্ভ করে। [[নরওয়ে|নরওয়েজিয়]] সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এই কার্যক্রমে বই-ভর্তি একটি বাস পাঠকের দুয়ারে গিয়ে হাজির হয়। প্রথমদিকে কার্যক্রমটি ঢাকায় আরম্ভ হলেও আজ তা বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিস্তৃত হয়েছে।
 
== সাহিত্য ==
তরুণআবু বয়সে তিনি কবিতা ও কল্পকাহিনী লিখতেন।সায়ীদ ১৯৬০-এর সালেরদশকে সাহিত্য আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। অধ্যাপক সায়ীদবেশ বহুকিছু [[প্রবন্ধ]], [[উপন্যাস]] ও [[কবিতা]] লিখেছেন।
 
=== প্রবন্ধ ===