শরীয়তপুর জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন
৭ নং লাইন:
|ডাকনাম =
|চিত্র_মানচিত্র = BD Shariatpur District locator map.svg
 
|মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = right
|স্থানাঙ্ক ={{স্থানাঙ্ক|23.12|N|90.21|E|region:BD|display=inline,title}}
৩৫ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
 
'''শরিয়তপুর জেলা''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] মধ্যাঞ্চলের [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।<ref>http://www.shariatpur.gov.bd/node/510808</ref>
 
== ইতিহাস ==
 
পলাশীর যুদ্ধে লর্ড ক্লাইভ সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করার পর ১৭৬৫ সালে এ জেলা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সৃষ্ট প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। শরীয়তপুর সহ ফরিদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে ঢাকা নিয়াবত গঠন করা হয়। ঢাকা নিয়াবত একজন নায়েব সুবাদার বা নাইব নাজিম ঢাকাকে কেন্দ্রস্থল হিসেবে গঠন করে শাসন পরিচালনা করেন।
 
শরীয়তপুর জেলা পূর্বে বৃহত্তর বিক্রমপুর এর অংশ ছিল। ১৮৬৯ সালে প্রশাসনের সুবিধার্থে ইহাকে বাকেরগঞ্জ জেলার অংশ করা হয়। কিন্তু এ অঞ্চলের জনগণের আন্দোলনের মুখে ১৮৭৩ সালেই এ অঞ্চলকে মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্গত করে ফরিদপুর জেলার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
 
ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সময় ১৯০৫ সালে বাংলাকে দু‘টো ভাগে বিভক্ত করা হয়। এ বিভক্ত বাংলার ইতিহাসে সুদুর প্রসারী ফল বিস্তার লাভ করে।
 
এর পর ক্রমে ক্রমে শরীয়তপুরের অঞ্চল সহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সুত্রপাত হয়। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয় রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই এ জেলায় সক্রিয় ছিলেন। এমনকি ১৯১০ হতে ১৯৩৫ সালের দিকে এ অঞ্চলের বহু বিপ্লবী সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে ভারতের স্বাধীনতার জন্য অংশ নেন। লোনসিংএ জন্মগ্রহণকারী বিপ্লবী পুলিনবিহারী দাস এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
 
১৯৪৭ সালর ১৪ ই আগষ্ট হতে ১৯৭১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলা সহ এ প্রদেশ ছিল পাকিস্তানেরই একটি অংশ।
 
শাসনিক সুবিধার্থে মাদারীপুরের বৃহৎ পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক মহকুমা গঠনের প্রয়াস ১৯১২ সাল হতেই নেয়া হয়েছিল। এর পরে পাকিস্তান সৃষ্টিও বাংলাদেশের অভ্যুদয় নতুন প্রশাসনিক দৃষ্টি ভঙ্গি গঠন করতে সহায়তা করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মাদারীপুরের পূর্বঞ্চল নিয়ে একটি নতুন মহকুমা গঠিত হবে। বিষয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে এর নাম করণ হয় শরীয়তপুর এবং এর সদর দপ্তরের জন্য পালং থানা অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়। ১৯৭৭ সালের ১০ ই আগষ্ট রেডিওতে সরকার কর্তৃক মহকুমা গঠনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর এ মহকুমার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপদেষ্টা জনাব আবদুল মোমেন খান। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব আমিনুর রহমান। এর পর রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের ফলে শরীয়তপুর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। ৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম। বর্তমান শরীয়তপুর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।
 
== ভূগোল ও জলবায়ু ==
শরিয়তপুর জেলার আয়তন ১১৮১.৫৩ বর্গকিলোমিটার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
| ইউআরএল =http://enbn.banglapedia.org/index.php?title=Shariatpur_Districtশরিয়তপুর_জেলা
| শিরোনাম =Banglapediaবাংলাপিডিয়া
| শেষাংশ =
| প্রথমাংশ =
| তারিখ =12 February 2017
| ওয়েবসাইট =http://enbn.banglapedia.org
| প্রকাশক =
| সংগ্রহের-তারিখ =
| উক্তি = }}</ref> এই জেলার উত্তরে [[মুন্সীগঞ্জ জেলা]], দক্ষিণে [[বরিশাল জেলা]], পুর্বে [[চাঁদপুর জেলা]] এবং পশ্চিমে [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুর জেলা]]। গড় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গড় বৃষ্টিপাত ২১০৫ মি মি।
এটি মূলত চর এলাকা।
{| class="wikitable"
|-
! ক্রমিক নং!! বিষয়!! একক !! মান
|-
| ১ || আয়তন || বর্গ কি.মি || ১১৮১
|-
| ২|| উপজেলা || সংখ্যা || ৬
|-
| ৩|| থানা || সংখ্যা || ৭
|-
| ৪ || পৌরসভা ||সংখ্যা|| ৫
|-
| ৫ || ইউনিয়ন || সংখ্যা || ৬৬
|-
| ৬ || ওয়ার্ড ||সংখ্যা|| ৪৫
|-
| ৭ || মৌজা/মহল্লা|| সংখ্যা || ৬১৬
|-
| ৮ || গ্রাম || সংখ্যা || ১২৪৩
|-
| ৯ || সংসদীয় আসন|| সংখ্যা || ৩
|-
| ১০ || মোট জনসংখ্যা (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)|| লাখ || ১০·৮
|-
| ১১ || জনসংখ্যার ঘনত্ব || প্রতি বঃকিঃ || ৯১৪
|-
|১২ || বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন ঘর || % || ১০
|-
| ১৩ || প্রাথমিক স্কুল || সংখ্যা || ৭৭২
|-
| ১৪ || মাধ্যমিক স্কুল || সংখ্যা || ৮৩
|-
| ১৫ || মাদ্রাসা || সংখ্যা || ৪২
|-
| ১৬ || কলেজ|| সংখ্যা || ১৬
|-
| ১৭ || মাথাপিছু আয় || টাকা || ১২৯৩৬
|-
| ১৮ || স্বাক্ষরতার হার (১৫+ বছর) || % || ৪১
|-
| ১৯ || হাসপাতালের শয্যাপ্রতি জনসংখ্যা (সরকারী) || জন/শজ্জ্যা || ৪৮৭৫
|-
| ২০ || < ৫ বছর শিশু মৃত্যুর হার || প্রতি হাজারে|| ৫
|}
 
== প্রশাসনিক এলাকাসমূহ ==
১২৫ ⟶ ৯৪ নং লাইন:
|-
|}
 
== ইতিহাস ==
 
পলাশীর যুদ্ধে লর্ড ক্লাইভ সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করার পর ১৭৬৫ সালে এ জেলা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সৃষ্ট প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। শরীয়তপুর সহ ফরিদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে ঢাকা নিয়াবত গঠন করা হয়। ঢাকা নিয়াবত একজন নায়েব সুবাদার বা নাইব নাজিম ঢাকাকে কেন্দ্রস্থল হিসেবে গঠন করে শাসন পরিচালনা করেন।
 
শরীয়তপুর জেলা পূর্বে বৃহত্তর বিক্রমপুর এর অংশ ছিল। ১৮৬৯ সালে প্রশাসনের সুবিধার্থে ইহাকে বাকেরগঞ্জ জেলার অংশ করা হয়। কিন্তু এ অঞ্চলের জনগণের আন্দোলনের মুখে ১৮৭৩ সালেই এ অঞ্চলকে মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্গত করে ফরিদপুর জেলার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
 
ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সময় ১৯০৫ সালে বাংলাকে দু‘টো ভাগে বিভক্ত করা হয়। এ বিভক্ত বাংলার ইতিহাসে সুদুর প্রসারী ফল বিস্তার লাভ করে।
 
এর পর ক্রমে ক্রমে শরীয়তপুরের অঞ্চল সহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সুত্রপাত হয়। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয় রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই এ জেলায় সক্রিয় ছিলেন। এমনকি ১৯১০ হতে ১৯৩৫ সালের দিকে এ অঞ্চলের বহু বিপ্লবী সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে ভারতের স্বাধীনতার জন্য অংশ নেন। লোনসিংএ জন্মগ্রহণকারী বিপ্লবী পুলিনবিহারী দাস এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
 
১৯৪৭ সালর ১৪ ই আগষ্ট হতে ১৯৭১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলা সহ এ প্রদেশ ছিল পাকিস্তানেরই একটি অংশ।
 
শাসনিক সুবিধার্থে মাদারীপুরের বৃহৎ পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক মহকুমা গঠনের প্রয়াস ১৯১২ সাল হতেই নেয়া হয়েছিল। এর পরে পাকিস্তান সৃষ্টিও বাংলাদেশের অভ্যুদয় নতুন প্রশাসনিক দৃষ্টি ভঙ্গি গঠন করতে সহায়তা করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মাদারীপুরের পূর্বঞ্চল নিয়ে একটি নতুন মহকুমা গঠিত হবে। বিষয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে এর নাম করণ হয় শরীয়তপুর এবং এর সদর দপ্তরের জন্য পালং থানা অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়। ১৯৭৭ সালের ১০ ই আগষ্ট রেডিওতে সরকার কর্তৃক মহকুমা গঠনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর এ মহকুমার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপদেষ্টা জনাব আবদুল মোমেন খান। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব আমিনুর রহমান। এর পর রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের ফলে শরীয়তপুর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। ৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম। বর্তমান শরীয়তপুর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।
 
== বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ==
১৫১ ⟶ ১০৬ নং লাইন:
* [[পুলিন বিহারী দাশ]] (১৮৭৭-১৯৪৯) ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিখ্যাত বিপ্লবী এবং [[ঢাকা অনুশীলন সমিতি|ঢাকা অনুশীলন সমিতির]] প্রতিষ্ঠাতা।
* [[রাজবল্লভ সেন]] - বিক্রমপুর রাজা
* [[কর্নেল (অব:) শওকত আলী]] - মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংসদ সদস্য এবং ডেপুটি স্পীকার
* [[নাহিম রাজ্জাক]] এমপি, শরীয়তপুর ৩ (ভেদরগঞ্জ,ডামুড্যা ও গোশাইরহাট), সাবেক আহবায়ক ইয়াং বাংলা।
* [[একেএম এনামুল হক শামীম]] সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
* [[নাহিম রাজ্জাক]] এমপি, শরীয়তপুর ৩ (ভেদরগঞ্জ,ডামুড্যা ও গোশাইরহাট), সাবেক আহবায়ক ইয়াং বাংলা।
* [[এইচ.এ. বিল্লাল হোসেন (বিল্লাল হাওলাদার)]] সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিঙ্গাপুর। সাবেক সহ সম্পাদক শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ।
লেখক ও সাংবাদিক।
* মাহবুব রেজা খান সাহিন (সাহিন রেজা খান) - প্রখ্যাত ছাত্রনেতা ও যুবনেতা, ছাত্রলীগের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নেতা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সদস্য, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতা। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি একজন কবি ও লেখক।
* রেদোয়ান মাসুদ - কবি,সাংবাদিক
* [[রাম ঠাকুর]] - ধর্ম প্রচারক
* [[সিরাজুল হক হাওলাদার]] মুক্তিযোদ্ধা
 
== অর্থনীতি ==