অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khadem Ashraful Alam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Khadem Ashraful Alam (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ, বিষয়বস্তু যোগ
৬ নং লাইন:
 
অক্সফোর্ড ডিক্সেনারি অনুযায়ী, অঞ্চল হচ্ছে এমন একটি এলাকা, বিশেষ করে একটি দেশের বা পৃথিবীর অংশবিশেষ যার রয়েছে শনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্য, কিন্তু সবসময় নির্দিষ্ট সীমানা না-ও থাকতে পারে।
 
<br />
 
=== সংজ্ঞা ===
৫৬ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
{{উৎসহীন|date=October 2009}}
সামরিক ক্ষেত্রে অঞ্চল হলো [[আর্মি গ্রুপ]] হতে বৃহৎ এবং [[থিয়েটার (যুদ্ধ)|আর্মি থিয়েটার]] হতে ক্ষুদ্রতর সামরিক [[ফরমেশন|ফরমেশনের]] সংক্ষেপ। এই ফরমেশনের পূর্ণ নাম হলো সামরিক অঞ্চল। একটি সামরিক অঞ্চল সাধারণত দুই থেকে পাঁচটি আর্মি গ্রুপ নিয়ে গঠিত। সামরিক অঞ্চলের আয়তন বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ১ থেকে ৩ মিলিয়ন সৈন্যের সমন্নয়ে এটি গঠিত হয়। দুই বা ততোধিক সামরিক অঞ্চল দ্বারা একটি সামরিক থিয়েটার গঠিত হতে পারে। একটি সামরিক অঞ্চলের অধিনায়কত্ব করেন প্রধানত একজন পূর্ণাঙ্গ [[জেনারেল]] (ইউএস- চার তারা), একজন [[ফিল্ড মার্শাল]] বা [[জেনারেল অফ দ্য আর্মি]] (ইউএস- পাঁচ তারা), [[জেনারেলিসিমো]] (সোভিয়েত ইউনিয়ন) বা [[জেনারেল অফ দ্য আর্মিস]] (ইউএস-ছয় তারা) বা ছয় তারা জেনারেলের সমমর্যাদার একজন জেনারেল অফিসার (যেসকল রাষ্ট্রে এই মর্যাদার জেনারেল আছেন তাদের ক্ষেত্রে)। এই ফরমেশনের বিশাল আয়তনের জন্য এর ব্যবহার দূর্লভ। সামরিক অঞ্চলের কিছু উদাহরণ হলো [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] কালিন ইউরোপের পূর্ব. পশ্চিম ও দক্ষিণ (প্রধানত ইতালি) রনাঙ্গণ। এই ফরমেশনের (দেখুন [[সামরিক সংগঠন]] ও [[এপিপি-৬এ]])সামরিক মানচিত্র প্রতীক হলো ছয়টি "X"।
 
{{আর্মি ইউনিট}}
<br />
 
== অঞ্চলের শ্রেণিবিভাগ ==
 
==== Classification of Region ====
আমাদের পৃথিবীকে ভালোভাবে বোঝার বা জানার প্রয়োজনে অঞ্চল তৈরি করা হয়। কথিত অঞ্চলের বিদ্যমান পরিবেশ ও সংস্কৃতির মধ্যে আমাদের জীবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সীমারেখা সাহায্য করে থাকে।
 
একটি অঞ্চলকে অপর একটি অঞ্চল থেকে কতিপয় নির্দেষ্ট ও স্বাতন্ত্রসূচক বৈশিষ্ট্য দ্বারা পৃথকভাবে শনাক্ত করা হয়। একটি অঞ্চলের সীমানা কতিপয় নির্বাচিত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। অঞ্চলগুলো আকার-আকৃতিতে পৃথক এবং সেগুলো স্থানীয় বা বিশ্বব্যাপী হতে পারে; পরস্পরকে আবৃত করতে পারে, বা পৃথক থাকতে পারে; সমগ্র পৃথিবীকে ভাগ করতে পারে, অথবা এর মধ্যে নির্বাচিত অংশে আলোকপাত করতে পারে।
 
অঞ্চলকে প্রধান তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা- প্রথাগত (formal), কার্মিক (functional) ও উপলব্ধিগত বা উপভাষা (perceptual/vernacular)।
 
'''প্রথাগত বা নিয়মানুগ বা আনুষ্ঠানিক অঞ্চল''' (formal region) : ভৌগোলিক দিক থেকে প্রথাগত বা নিয়মানুগ অঞ্চল হচ্ছে এমন একটি ভৌগোলিক এলাকা যার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে। যেমন, শহর, জেলা, অঙ্গরাজ্য ও দেশের জন্য সীমানা দ্বারা প্রথাগত অঞ্চল গঠিত হয়। এ অঞ্চলগুলোকে প্রায়শ সাধারণ জ্ঞান হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এগুলোর সীমানা স্থানীয় বা জাতীয় সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়। একটি অঞ্চলের রূপ দানের জন্য বিভিন্ন মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়।  প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্বের কতিপয় মানদণ্ড, যেমন- রাজনৈতিক অধিভুক্তি, জাতীয়তা, সংস্কৃতি, সাধারণ ভাষা, ধর্ম, ভৌগোলিক অবয়ব ইত্যাদি অঞ্চল সৃজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
প্রথাগত বা নিয়মানুগ অঞ্চলের সংজ্ঞায় এমন এলাকার কথা বলা হয়েছে যা সরকারীভাবে নির্ধারিত। একটি প্রথাগত অঞ্চলে একটি শহর, জেলা, রাজ্য বা যেকোনো ধরনের ভৌগোলিক এলাকা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ ধরনের অঞ্চল পরিষ্কারভাবে সীমানা দ্বারা নির্ধারিত এবং জনসাধারণের বোধগম্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 
নি¤েœাক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য থেকে এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রথাগত অঞ্চল গঠিত হয় :
 
১. সর্বজনীন ভাষা,
 
২. ধর্ম
 
৩. জাতীয়তা
 
৪. রাজনৈুতিক অধিভুক্তি
 
৫. সংস্কৃতি ও
 
৬. ভৌগোলিক অবয়ব (জলবায়ু, উদ্ভিজ্জ, উচ্চতা, ভ‚প্রকৃতি ইত্যাদি)।
 
এক বা একাধিক সনাক্তকরণযোগ্য অবয়ব ব্যবহার করে একটি অঞ্চলকে অন্য অঞ্চল থেকে পৃথক করা যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় ব্যবহার করে সৃষ্ট অঞ্চলগুলোর সীমানা তৈরি করা যায়। কোনো ভৌগোলিক অঞ্চল নির্ধারণের সময় যখন প্রাসঙ্গিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে জনগণের আয় বা ভাষা উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন অঞ্চলটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যও গুরুত্বপূর্ণ চলক হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। নদনদী, পর্বতমালা, উপত্যকা এবং হ্রদগুলোর মতো প্রাকৃতিক সীমানা প্রায়শ কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের সীমানা নির্দেশ করে থাকে।
 
প্রথাগত অঞ্চল বৈশিষ্ট্যসূচকভাবে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেগুলো একে চারপাশের এলাকা থেকে পৃথক করে থাকে। স্থানীয় মানুষের সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য ভাষা, আয়, ধর্ম ছাড়াও প্রথাগত অঞ্চল ভ‚প্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিজ্জ প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত থাকার কারণে দ্বীপগুলোর রয়েছে প্রাকৃতিক সীমারেখা।
 
প্রথাগত অঞ্চল প্রকৃতির দিক থেকে গতিশীল হতে পারে, বলা যেতে পারে এগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, বিশ্বায়ন, বা বাস্তুতন্ত্রের প্রাকৃতিক স্থানান্তরের কারণে পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে যেতে পারে।
 
মানদণ্ড নির্বাচনের ওপর একটি প্রথাগত বা আনুষ্ঠানিক অঞ্চল নির্ধারণ সহজ বা কঠিন হতে পারে। যখন একটি ভৌগোলিক অঞ্চল ভূভাগের স্থির অবয়বের বদলে অধিক পরিবর্তনশীল মানবীয় উপাদানের (যেমন- ভাষা) ওপর নির্ভর করে, সেখানে অঞ্চল নির্ধারণ কঠিন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি অঞ্চলের প্রতিবেশীদের মধ্যে ৫০% ইংরেজিতে কথা বলে, এ জনসংখ্যা সারা বছরই একই ধরনের না-ও থাকতে পারে, বরং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়ে কম-বেশি হতে পারে। তবু, নীতিগতভাবে, প্রতিটি প্রথাগত অঞ্চল কতিপয় গণনাযোগ্য চলকের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।
 
'''কার্মিক বা প্রায়োগিক বা ক্রিয়ামূলক অঞ্চল''' (Functional regions) : কার্মিক অঞ্চল হচ্ছে এমন একটি অঞ্চল যা অন্যান্য এলাকা থেকে নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসারে ভিন্নতর। অন্য কথায়, এটি এমন একটি এলাকা যা প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমসত্ববিশিষ্ট, যেমন- ক্রান্তীয় অঞ্চল, মেরু অঞ্চল, মেরু অঞ্চল ইত্যাদি। এখানে জলবায়ুকে মানদণ্ড ধরে দুটি এলাকা পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায়। কার্মিক অঞ্চল প্রায়শ নুড বা গ্রন্থি নামে পরিচিত একটি কেন্দ্রীয় বিন্দুর চারদিকে গড়ে ওঠে। উদাহরণ হিসেবে একটি সপিং সেন্টার চারদিকে প্রতিবেশিদের দ্বারা ঘেরাও থাকে, অথবা উপশহরগুলো একটি শহরকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে থাকে। কার্মিক অঞ্চলের ধারণা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার যে সংযোগ ও প্রবাহ সৃষ্টি হয়, সেগুলো পরীক্ষানিরীক্ষার পথ প্রদর্শন করে থাকে।
 
ফোবার্গ, মর্ফি এবং দ্য ব্লিজের মতে, ‘একটি নির্দিষ্ট সেট কর্মকাণ্ডের দ্বারা অথবা, এগুলোর মধ্যে উদ্ভুত মিশস্ক্রিয়া দ্বারা কার্মিক অঞ্চল নির্দিষ্ট করে দেখানো যায়।' সুতরাং, নিম্নোক্তগুলোকে কার্মিক অঞ্চল বিবেচনা করা যায় :
 
১. বৃষ্টিবহুল অরণ্য, যেখানে বৃক্ষ, পাখি ও স্তন্যপায়ী স¤প্রদায় বহু শতাব্দিব্যাপী অবিরতভাবে বসবাস করছে।
 
২.একটি কৃষিজীবী সম্প্রদায়কে কৃষিভিত্তিক জীবনযাপন এবং সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায়।
 
৩. একটি কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়, যেখানে একটি সংগঠিত জনসংখ্যা উৎপাদন বা সেবার সাধারণ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।
 
একটি কার্মিক বা প্রায়োগিক অঞ্চল একটি কেন্দ্রস্থল বা কেন্দ্রবিন্দুর চারদিক ঘিরে গড়ে ওঠে। চারপাশের এলাকা নির্ভর করে কেন্দ্রস্থলের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন, যেমন- বাণিজ্য পথ, রেডিও, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, ইনটানেট সংযোগ ও পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর। একটি কার্মিক অঞ্চলের শ্রেণিভুক্ত হওয়ার জন্য সমগ্র এলাকায় অবশ্যই একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড প্রচলিত থাকতে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সর্বাধিক সংঘটিত হবে অঞ্চলটির কেন্দ্রবিন্দুতে এবং এবং কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে কর্মকাণ্ডের প্রগাঢ়তা কমে আসতে থাকবে। কার্মিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু থেকে অবিরত ধারা এর চারপাশের অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এরূপ অবস্থায় নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট সমগ্র এলাকাটিই একটি ইউনিটের মতো আচরণ করবে।
 
কার্মিক অঞ্চলের সীমানা এলাকাটির অবকাঠামো এবং সেবার উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে সময় সময়ে পরিবর্তিত হয়। ভূগোলে পৃথিবীকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এসব অঞ্চলের রয়েছে কৃত্রিম সীমানা, যা সীমানার বাইরের অপেক্ষা ভিতরের অধিক প্রাধান্যবিশিষ্ট গুণাবলিকে পৃথক করার জন্য ব্যবহার করা হয়।   তিন ধরনের অঞ্চল রয়েছে, যথা- প্রথাগত বা নিয়মানুগ, কার্মিক বা প্রায়োগিক এবং ভ্যানাকিউলার বা উপলব্ধিগত। প্রথাগত অঞ্চলগুলোর অফিসিয়াল সীমানা রয়েছে, যেমন- দেশের, রাজ্যের, শহরের সীমানা। উপলব্ধিগত অঞ্চল বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক উপস্থাপন এবং যা মানুষের মতামতের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
 
'''উপলব্ধিগত/উপভাষা অঞ্চল''' (Perceptual/vernacular regions) : উপলব্ধিগত অঞ্চলকে কখনো কখনো উপভাষা অঞ্চলও বলা হয়। যদিও অনেক ভ‚গোলবিদ এ শব্দগুলোকে পরস্পরের পরিবর্তে ব্যবহার করেন না, বরং ভিন্ন ভিন্ন ধারণা নির্দেশের জন্য এগুলোকে ব্যবহার করে থাকেন। যেখানে একটি উপভাষা অঞ্চল কোনো এলাকার লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে, সেখানে উপলব্ধিগত অঞ্চল প্রায়শ একটি নির্দিষ্ট এলাকার লোকদের নিশ্চিত বিশ্বাস/অনুভ‚তি/মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
 
উপভাষা/উপলব্ধিগত অঞ্চল মনোভাব, উপলব্ধি এবং যোগাযোগের পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল, একারণে তারা প্রাকৃতিক ভৌগোলিক অবয়বভিত্তিক অঞ্চলের সাথে এর পরিবর্তন করতে অধিক পছন্দ করে থাকেন। ঢাকা উত্তরাঞ্চল, ঢাকা দক্ষিণাঞ্চল, পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য ইত্যাদি উপলব্ধিগত অঞ্চলের উদাহরণ।
<br />{{আর্মি ইউনিট}}
 
{{অসম্পূর্ণ}}