পীরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
H.R Tonu (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
H.R Tonu (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯০ নং লাইন:
 
==সাহিত্য ও সংস্কৃতি==
বৃটিশ আমলে ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়ার খাদেম মতিয়র রহমান নিয়মিত কবিতা লিখতেন। ভারতবর্ষ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত একটি ভ্রমণ কাহিনীও লিখেন তিনি। ষাটের দশকে বীরহলী গ্রামের খয়রাত আলী 'চৌর্য্য অপরাধ ও তার প্রতিকার' শিরোনামে একটি গবেষণামূলক পুস্তক প্রকাশ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন অমর ২১শে উপলক্ষে স্থানীয় ক্ষুদে লেখকদের লেখা সম্বলিত স্মরণিকা নিয়মিত প্রকাশ করত। স্বাধীনতা উত্তর কালে মহান ২১শে, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে এ ধরনের প্রকাশনা অব্যাহত আছে। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা 'স্মৃতি-৭১' গ্রন্থ প্রকাশ করেন তার সহধর্মিণী আনোয়ারা মোস্তফা এবং পীরগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের উপর ছাত্র ইউনিয়নের 'মুক্তিযুদ্ধ ও পীরগঞ্জ' নামে একটি পুস্তকও প্রকাশিত হয়, যেখানে অনেক অজানা তথ্য লিপিবদ্ধ আছে। সত্তরের দশকে পীরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে নিয়মিত প্রকাশিত হত 'দেয়াল পত্রিকা'। ১৯৯৫ ও ২০০৫ সালে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক বদরুল হুদা প্লাবনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাহিত্য সংকলন 'সমকাল'। সমপ্রতি পীরগঞ্জ পাঠচক্র নামে একটি সংগঠন গত ২ বছর ধরে প্রকাশ করে আসছে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বার্ষিক প্রকাশনা 'সাহিত্য পত্র'। <br />নাট্যাঙ্গনে ন্যাপ নেতা মরহুম ডাঃ রাজ্জাক, সাবেক এমপি মরহুম মকলেছুর রহমান, খোকা চৌধুরী, ময়না, বাদশা (সাবেক পরিচলাক পঃ পঃ), মরহুম মকসেদুল আলম, ইমদাদুল হক (সাবেক এমপি), বর্তমানসাবেক এমপি হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, স্বর্গীয় ডাঃ সতীশ চন্দ , নাজমাসহ আরও বেশকিছু নাট্যপ্রেমী নিয়মিত নাট্যচর্চা ও মঞ্চ অভিনয় করতেন। কালের বিবর্তনে ঝিমিয়ে পড়া নাট্যাঙ্গনে পত্রিকা হকার গৌতম দাস বাবলু'র অঙ্গীকার নাট্য নিকেতন আবির্ভূত হয়েছে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। <br />ষাটের দশকের শেষ দিকে পীরগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের চেতনায় ভাস্বর। এ সময় মরমী শিল্পী মরহুম রফিকুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উত্তরা শিল্পী সংসদের ব্যানারে মরহুম মকিম উদ্দীন (উপ-সচিব), মজিবর রহমান, সালেহা বেগম, আমেনা বেগম, জমির উদ্দীন, মরহুম মাস্টার কালাম, মেহের এলাহী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যানমেয়র গোলাম হোসেন, জগদীশ চন্দ দাস, মোত্তালেব (ডিজিএম রাকাব), আবুল হোসেন, নাজমা বেগম, দুলালী, হাসিনা, তসলিমসহ এক ঝাঁক তরুণ তরুণী মাতিয়ে রেখেছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সত্তর ও আশির দশকেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু এর পর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এবং শিল্পী রফিকুল ও কালামের মৃত্যুতে এ ধারা ঝিমিয়ে পড়লেও হালে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, সাবেক পৌর মেয়র রাজিউর রহমান রাজু ও উপজেলা প্রশাসন বিশেষত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদেরঅফিসারের ঐকান্তিক পৃষ্ঠপোষকতায় সমকাল সংস্কৃতিক গোষ্ঠী, গীতবীথি সংগীত নিকেতন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, অন্তরঙ্গ শিল্পী গোষ্ঠী, ফয়সালের নৃত্যের তালে তালে একাডেমী, মহসীনের নিত্য গোষ্ঠী, ইএসডিও'র আদিবাসী শিল্পী পরিষদ সাংস্কৃতিক অঙ্গন মাতিয়ে রেখেছে।
 
==নদীসমূহ==