পীরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
H.R Tonu (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
সংশোধন
৩ নং লাইন:
|নাম = পীরগঞ্জ
|অফিসিয়াল_নাম =
 
|চিত্র =
|চিত্রের_আকার =
২৫ ⟶ ২৪ নং লাইন:
|মোট_আয়তন = 353.3
|আয়তন_টীকা =
|জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://pirganj.thakurgaon.gov.bd/node/215895 | শিরোনাম= এক নজরে পীরগঞ্জ উপজেলা|লেখক= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |তারিখ= জুন, ২০১৪ |ওয়েবসাইট= |প্রকাশক= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |সংগ্রহের-তারিখ= ২৪ মার্চ ২০১৫}}</ref>
|মোট_জনসংখ্যা = ২,৪৩,৫৩৫
|এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১
৩৭ ⟶ ৩৬ নং লাইন:
|পাদটীকা =
}}
'''পীরগঞ্জ উপজেলা''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[ঠাকুরগাঁও জেলা]]র একটি প্রশাসনিক এলাকা। পীরগঞ্জ প্রশাসনিকভাবে থানা হিসেবে গঠিত হয় ১৮৭০ সালে এবং ১৯৮৩ সালের ৭ই নভেম্বর এটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
 
== অবস্থান ==
৪৪ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
 
==নামকরণ==
পীরগঞ্জ উপজেলার নামকরণ এর কারণ ও সময়কাল নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত কোন ইতিহাস নাপাওয়া থাকলেওযায় না। তবে অধিকাংশের মতে এই জনপদে সুলতানি আমলে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং ইসলামী ধ্যান-ধারণার গোড়াপত্তন হয়েছিল পীর মাশায়েখ সমাজের সাধক পুরুষ হযরত পীর সিরাজউদ্দিন আউলিয়া সাহেবের হাত ধরে। সমসাময়িক অনেক পীর আউলিয়া পীরগঞ্জে ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম দুর্লভপুর গ্রামের পীর বাহারানা সৈয়দ, সাটিয়া গ্রামের পীর শাহজাহী, ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়া গ্রামের পীর দরবগাজী এবং পীরগঞ্জ সংলগ্ন গোগর গ্রামের বনপীর। পীর-মাশায়েখ ও আউলিয়াগণের পদচারণায় মুখরিত এই জনপদ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে শুরু করে। পীর আউলিয়াগণের এই অঞ্চল পরিচিতি পেতে থাকে পীরগঞ্জ নামে। তবে নামকরণের এই ভিত্তির বিষয়ে জনশ্রুতি ছাড়া সঠিক ইতিহাস এর সন্ধান পাওয়া যায়না। পীরগঞ্জ প্রশাসনিকভাবে থানা হিসেবে গঠিত হয় ১৮৭০ সালে এবং ১৯৮৩ সালের ৭ ই নভেম্বর এটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
 
==মুক্তিযুদ্ধ ==
==পীরগঞ্জ উপজেলার ইতিহাস ==
১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বাধীনতার দিক নিদের্শনামূলক ভাষণের পর ২৩ মার্চ সারা দেশের ন্যায় পীরগঞ্জেও পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হয় এবং বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নেতা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক বর্তমান পাইলট হাইস্কুল প্রাঙ্গণস্থ শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি' গানটি দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পী মজিবর রহমান ও মেহের এলাহী। অতঃপর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির উপর। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ গড়ে তোলে প্রতিরোধ। এরই ধারাবাহিকতায় পীরগঞ্জের আনসার সদস্য ইসাহাক আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ছুটে যায় দিনাজপুরের কুঠিবাড়ী ইপিআর ক্যাম্পে। সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেখানে পাক হানাদারদের গুলিতে নিহত হন পীরগঞ্জের বীরহলি গ্রামের ইসাহাক আলী। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পীরগঞ্জের প্রথম শহীদ। এরপর ১৭ই এপ্রিল পীরগঞ্জে প্রবেশ করে পাক হানাদার বাহিনী। জ্বালাও পোড়াও অভিযানের পর তত্কালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাঃ সুজাউদ্দীন আহম্মেদ, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, আব্দুল জব্বার, মোজাফর হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে জামালপুর ফার্মে গুলি ও বেয়নেট খুচিয়ে হত্যা করার পর লাশ ফেলে রেখে যায় পাক হানাদর বাহিনী। তারপর দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামে পীরগঞ্জের শহীদ সালাহউদ্দীনসহ দামাল ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যুদ্ধ করে ৩ ডিসেম্বর'৭১ পাক হানাদর বাহিনীর দখল থেকে পীরগঞ্জ মুক্ত করেন।
১৮৫৯ সালে পীরগঞ্জে একটি থানা স্থাপিত হয়। এরপর এটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।১৯৮৩ সালে পীরগঞ্জ থানা উপজেলায় উন্নীত হয়। হাজী মো: দানেশ এর নেতৃত্বে এ অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলন জোরদার হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। অবশেষে ৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
 
== প্রশাসনিক এলাকা ==
১৮৫৯ সালে পীরগঞ্জে একটি থানা স্থাপিত হওয়ার পর এটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । অতঃপর সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের আমলে ৭/১১/১৯৮৩ তারিখে পীরগঞ্জ থানা উপজেলায় উন্নীত হয়। এছাড়াও, পীরগঞ্জের চতুর্পাশ্বের ৭ টি মৌজা যথাঃ রঘুনাথপুর, মিত্রবাটি, জগথা, পালিগাঁও, ভাকুরা, ভেলাতৈর ও গুয়াগাঁও নিয়ে গঠিত হয় পীরগঞ্জ পৌরসভা ১৯৮৯ সালে। এ পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়ন যথা - ভোমরাদহ, কোষারাণীগঞ্জ , খনগাঁও , বেগুনবাড়ী, সৈয়দপুর, পীরগঞ্জ, হাজীপুর, দৌলতপুর, সেনগাাঁও, জাবরহাট, বৈরচুনা নিয়ে গঠিত হয় পীরগঞ্জ উপজেলা । পরবর্তী কালে বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হয় ।
* মৌজা: ১৭৩ টি;
* গ্রাম: ১৭৩ টি;
* পৌরসভা: ১ টি (পীরগঞ্জ পৌরসভা)
* ইউনিয়নঃ এই উপজেলা ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সেগুলো হচ্ছে- ভোমরাদহ, কোষারাণীগঞ্জ, খনগাঁও, সৈয়দপুর, পীরগঞ্জ, হাজীপুর, দৌলতপুর, সেনগাঁও, জাবর হাট ও বৈরচুনা ইউনিয়ন।
 
বর্তমান পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রামের সংখ্যা ১৬৮। আয়তন ৩৫৩.৩ বর্গ কিলোমিটার।
== ভাষা ও সংস্কৃতি ==
বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত পীরগঞ্জ উপজেলাতেও আঞ্চলিক ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা এলাকার মানুষের ভাব বিনিময়ের অকৃত্রিম মাধ্যম। আঞ্চলিক বাংলা ভাষার পাশাপাশি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত সমাজে শুদ্ধ বাংলা চর্চাও রয়েছে।
 
পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় রয়েছে সাধু ভাষার ক্রিয়াপদের একত্র উচ্চারণ কৌশল, উর্দু, হিন্দি, অসমিয়, উড়িয়া, নেপালী শব্দের সরাসরি বা কিছুটা বিকৃত উচ্চারণ। ফলে পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা থেকে ভিন্নতা পেয়েছে। এই উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসীর বসবাস।
 
== শিক্ষা ==
উপজেলার পাড়িয়া, মল্লিকপুর, করনাই, বড়বাড়ি, দস্তমপুর, বৈরচুনা, চক-বাসুদেবপুরসহ আরও বেশকিছু জায়গায় আদিবাসি সাঁওতালরা বসবাস করে। তারা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এখানে কিছু সংখ্যক ওঁড়াও, মুন্ডা ও মুসোহর আদিবাসী রয়েছে। তারা তাদের নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে।
(ক) পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তার করে আসছে ১৯৬৩ সাল থেকে। সমপ্রতি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ অর্থনীতি এবং ডি এন কলেজ রাষ্টবিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করায় শিক্ষা ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সুচনা হয়েছে। আগামী বছর হতে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে বাংলা, ইংরেজি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। এছাড়াও উপজেলায় রয়েছে বেসরকারি কলেজ ১১টি ও কারিগরি কলেজ ৮টি। কলেজ পর্যায়ে অনার্স কোর্সে ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা বর্তমানে ১২৬ জন এবং ডিগ্রি পাস কোর্সে ৩ হাজার ৭৩৯ জন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্র ২ হাজার ৮০০ এবং ছাত্রী ২ হাজার ৩০০ মিলে মোট ৫ হাজার ১০০ জন।
 
(খ) উপজেলায় সরকারি গার্লস হাই স্কুল ১টি ও বেসরকারি হাইস্কুল ৮৩টি। মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র ৯ হাজার ৮৪৫ এবং ছাত্রী ৯ হাজার ৩৪৪ মিলে মোট শিক্ষার্থী ১৯ হাজার ১৮৯ জন। সিনিয়র মাদ্রাসা ৪টি, দাখিল মাদ্রাসা ২২টি ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১০টি।
আবহমানকাল ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানে এই অঞ্চলে অর্পূব এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি বিরাজ করছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলের মত এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যেও আচার-ব্যবহার, অভ্যাস, রীতিনীতি, চলাফেরা, ধ্যান-ধারনায় ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
 
(গ) উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৫টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছাত্র ১৮ হাজার ৭৭১ ও ছাত্রী ১৭ হাজার ৮৯৯ মিলে মোট ৩৬ হাজার ৬৭০ জন। মোট ৭৪৪ জন শিক্ষক নিরন্তন শিক্ষাদান ব্রত পালন করে চলেছেন কোমলমতি শিশুদের জ্ঞান বিকাশে।
 
== স্বাস্থ্য ==
* উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র : ১ টি
* উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ১ টি
* ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ৭ টি
* কমিউনিটি ক্লিনিক : ২২ টি
* প্রাইভেট ক্লিনিক : ৩ টি
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
৬৯ ⟶ ৭৩ নং লাইন:
১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ছিল ১,৮৩,২৯২ জন।
 
== অর্থনীতি ==
== শিক্ষা ==
===শিল্প===
ক) প্রাইমারী স্কুল : ১৭৭ টি
পীরগঞ্জ উপজেলায় শিল্প কারখানা বলতে অলিম্পিয়া নামে একটিমাত্র অটো রাইসমিল। এছাড়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী রনি অটোরাইস নামে একটি অটোরাইস মিল নির্মাণ করছেন। এছাড়াও উপজেলায় ২৮১টি চাল ও আটাকল রয়েছে, যেখানে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ও ফড়িয়া ব্যাপারী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। এছাড়াও স'মিল রয়েছে ২৪টি।
 
===কৃষি===
খ) এনজিও কর্তৃক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র : ১ টি
পীরগঞ্জ উপজেলার ভুমি বেলে, বেলে দোআঁশ ও এটেল দোআঁশ প্রকৃতির। এটেল দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ নিচু জমিতে ইরি বোরো আমন এবং বেলে ও বেলে দোআঁশ-উঁচু জমিতে গম, ভুটা এবং শীত-গ্রীষ্মের শাক-সবজি, তৈলবীজ জাতীয় ফসল উত্পাদন হয় প্রচুর। পীরগঞ্জ উপজেলা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৫২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় এবং বার্ষিক ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার মিঃমিঃ অর্থাত্ সুষম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ উপজেলায় বন্যা হয় না বললেই চলে। ভূমি, মৃত্তিকা, বৃষ্টিপাত, জলবায়ুর গতি-প্রকৃতির ভিত্তিতে দেশের কৃষি পরিবেশিক অঞ্চলকে যে ৩০টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে পুরাতন হিমালয় পাদভূমি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পীরগঞ্জ উপজেলাসহ সমগ্র ঠাকুরগাঁও জেলা।
 
== ভাষা ==
গ) কিন্ডারগার্ডেন : ১৮ টি
বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত পীরগঞ্জ উপজেলাতেও আঞ্চলিক ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা এলাকার মানুষের ভাব বিনিময়ের অকৃত্রিম মাধ্যম। আঞ্চলিক বাংলা ভাষার পাশাপাশি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত সমাজে শুদ্ধ বাংলা চর্চাও রয়েছে।
 
পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় রয়েছে সাধু ভাষার ক্রিয়াপদের একত্র উচ্চারণ কৌশল, উর্দু, হিন্দি, অসমিয়, উড়িয়া, নেপালী শব্দের সরাসরি বা কিছুটা বিকৃত উচ্চারণ। ফলে পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা থেকে ভিন্নতা পেয়েছে। এই উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসীর বসবাস।
ঘ) নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২০ টি
 
উপজেলার পাড়িয়া, মল্লিকপুর, করনাই, বড়বাড়ি, দস্তমপুর, বৈরচুনা, চক-বাসুদেবপুরসহ আরও বেশকিছু জায়গায় আদিবাসি সাঁওতালরা বসবাস করে। তারা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এখানে কিছু সংখ্যক ওঁড়াও, মুন্ডা ও মুসোহর আদিবাসী রয়েছে। তারা তাদের নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে।
ঙ) মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৬৫ টি
 
আবহমানকাল ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানে এই অঞ্চলে অর্পূব এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি বিরাজ করছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলের মত এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যেও আচার-ব্যবহার, অভ্যাস, রীতিনীতি, চলাফেরা, ধ্যান-ধারনায় ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
চ) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ০৬ টি
 
== ভাষাসাহিত্য ও সংস্কৃতি ==
ছ) ডিগ্রী কলেজ : ৪ টি (১ টি সরকারি ও ৩ টি বে-সরকারি)
বৃটিশ আমলে ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়ার খাদেম মতিয়র রহমান নিয়মিত কবিতা লিখতেন। ভারতবর্ষ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত একটি ভ্রমণ কাহিনীও লিখেন তিনি। ষাটের দশকে বীরহলী গ্রামের খয়রাত আলী 'চৌর্য্য অপরাধ ও তার প্রতিকার' শিরোনামে একটি গবেষণামূলক পুস্তক প্রকাশ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন অমর ২১শে উপলক্ষে স্থানীয় ক্ষুদে লেখকদের লেখা সম্বলিত স্মরণিকা নিয়মিত প্রকাশ করত। স্বাধীনতা উত্তর কালে মহান ২১শে, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে এ ধরনের প্রকাশনা অব্যাহত আছে। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা 'স্মৃতি-৭১' গ্রন্থ প্রকাশ করেন তার সহধর্মিণী আনোয়ারা মোস্তফা এবং পীরগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের উপর ছাত্র ইউনিয়নের 'মুক্তিযুদ্ধ ও পীরগঞ্জ' নামে একটি পুস্তকও প্রকাশিত হয়, যেখানে অনেক অজানা তথ্য লিপিবদ্ধ আছে। সত্তরের দশকে পীরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে নিয়মিত প্রকাশিত হত 'দেয়াল পত্রিকা'। ১৯৯৫ ও ২০০৫ সালে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক বদরুল হুদা প্লাবনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাহিত্য সংকলন 'সমকাল'। সমপ্রতি পীরগঞ্জ পাঠচক্র নামে একটি সংগঠন গত ২ বছর ধরে প্রকাশ করে আসছে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বার্ষিক প্রকাশনা 'সাহিত্য পত্র'। <br />নাট্যাঙ্গনে ন্যাপ নেতা মরহুম ডাঃ রাজ্জাক, সাবেক এমপি মরহুম মকলেছুর রহমান, খোকা চৌধুরী, ময়না, বাদশা (সাবেক পরিচলাক পঃ পঃ), মরহুম মকসেদুল আলম, ইমদাদুল হক (সাবেক এমপি), বর্তমান এমপি হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, স্বর্গীয় ডাঃ সতীশ চন্দ , নাজমাসহ আরও বেশকিছু নাট্যপ্রেমী নিয়মিত নাট্যচর্চা ও মঞ্চ অভিনয় করতেন। কালের বিবর্তনে ঝিমিয়ে পড়া নাট্যাঙ্গনে পত্রিকা হকার গৌতম দাস বাবলু'র অঙ্গীকার নাট্য নিকেতন আবির্ভূত হয়েছে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। <br />ষাটের দশকের শেষ দিকে পীরগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের চেতনায় ভাস্বর। এ সময় মরমী শিল্পী মরহুম রফিকুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উত্তরা শিল্পী সংসদের ব্যানারে মরহুম মকিম উদ্দীন (উপ-সচিব), মজিবর রহমান, সালেহা বেগম, আমেনা বেগম, জমির উদ্দীন, মরহুম মাস্টার কালাম, মেহের এলাহী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, জগদীশ চন্দ দাস, মোত্তালেব (ডিজিএম রাকাব), আবুল হোসেন, নাজমা বেগম, দুলালী, হাসিনা, তসলিমসহ এক ঝাঁক তরুণ তরুণী মাতিয়ে রেখেছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সত্তর ও আশির দশকেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু এর পর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এবং শিল্পী রফিকুল ও কালামের মৃত্যুতে এ ধারা ঝিমিয়ে পড়লেও হালে জাতীয় সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, পৌর মেয়র রাজিউর রহমান রাজু ও উপজেলা প্রশাসন বিশেষত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদের ঐকান্তিক পৃষ্ঠপোষকতায় সমকাল সংস্কৃতিক গোষ্ঠী, গীতবীথি সংগীত নিকেতন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, অন্তরঙ্গ শিল্পী গোষ্ঠী, ফয়সালের নৃত্যের তালে তালে একাডেমী, মহসীনের নিত্য গোষ্ঠী, ইএসডিও'র আদিবাসী শিল্পী পরিষদ সাংস্কৃতিক অঙ্গন মাতিয়ে রেখেছে।
 
জ) মাদ্রাসা : এবতেদায়ী: ১০ টি
 
ঝ) কারিগরি বিদ্যালয় : ০৩ টি
 
ঞ) কারিগরি কলেজ : ০৯ টি
 
শিক্ষার হার : ৪৭.৮% <ref>(২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)</ref>
 
== অর্থনীতি ==
;হাটবাজার
* হাটবাজারের সংখ্যা: ১৯ টি।
 
==নদীসমূহ==
পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩ টি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে [[টাঙ্গন নদী]], [[কাহালাই নদী]] ও [[লাচ্ছি নদী]]।<ref name="নদীকোষ">ড. অশোক বিশ্বাস, ''বাংলাদেশের নদীকোষ'', গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৩৫, {{আইএসবিএন|978-984-8945-17-9}}।</ref><ref name="নদনদী">মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, ''বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি'', কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৬১৭, ISBN 984-70120-0436-4.</ref>
 
==ক্রীড়াঙ্গন==
শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও পিছিয়ে নেই পীরগঞ্জ। অন্যান্য খেলাধুলার সাথে মহিলা ফুটবলে অভাবনীয় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে পীরগঞ্জ মহিলা ফুটবল দল। উপজেলার কোষারানিগঞ্জ ইউনিয়নের রামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাদশারুলের একান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা মহিলা ফুটবল দলটি বেশ কয়েক বছর ধরে ঠাকুরগাঁও জেলা দল হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। এই দলের খেলোয়াড় মুনমুন ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে। এছাড়াও ঢাকার আবাহনী ক্লাবের হয়েও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি মহিলা ফুটবল দলের স্থায়ী সদস্য সে। এ দিকে জাফুরা, মনসা, মৌসুমী, হামিদা, বেবী, মনিকা, সন্ধ্যা, নিপা বিভিন্ন ফুটবল লীগ/টুর্নামেন্টে ঢাকার মহামেডান ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
 
== কৃতী ব্যক্তিত্ব ==
১২৪ ⟶ ১২৩ নং লাইন:
*'''কশিরুল আলম''', - রাজনীতিবিদ, বর্তমান পৌর মেয়র
*'''মরহুম রাজিউর রহমান রাজু''', -সাবেক পৌর মেয়র, রাজনীতিবিদ
<!-- <br />আলহাজ্ব মোবারক আলী চ্যারিটেবল ট্রাস্টঃ<br />ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে পীরগঞ্জে আলোড়ন সৃষ্টিকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান "আলহাজ্ব মোবারক আলী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট"। এটি ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে অন্যতম দাতব্য প্রতিষ্ঠান। পীরগঞ্জের কোষারানিগঞ্জ ইউনিয়নের এককালের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলীর লন্ডন প্রবাসী পুত্র মজিবর রহমানের উদ্যোগে নিতান্তই পারিবারিক পরিসরে প্রতিষ্ঠিত এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি পীরগঞ্জ ও আশপাশের উপজেলার গরীব-দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ও চিকিত্সা, হার্ট অপারেশন ও চিকিত্সা, গরীব -দুস্থ ছাত্রদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিগ্রস্ত এবং শীত কবলিত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানোসহ মানবতার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আলহাজ্ব মোবারক আলী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। মরহুম আলহাজ্ব মোবারক আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডাঃ মুনির উদ্দীন আহম্মেদ এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং মরহুমের সন্তানরা এই প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি। এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা আর্ত মানবতার সেবায় ব্যয় করছে। <br />পর্যটন দূত নওশীন ঃ <br />২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সাইকেল র্যালীতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তার পথ চলা শুরু। আর বৃহত্ পরিসরে "এডভেঞ্চার" এর সাথে যুক্ত হওয়া তার অভিলাষ। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বিরহলি গ্রামের আবুল হায়াতের কন্যা সিফাত ফাহমিদা নওশিনের কথা বলছি । ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আয়োজিত ৪২.১৯৫ কিলোমিটার বাংলা মেরাথনে মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার জয়, সাইকেল নিয়ে পাড়ি দেওয়া বান্দরবনের দুর্গম পথ, ২০১১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ সাইকেলে ভ্রমণ করেও নওশীনের পিপাসা মেটেনি। তাকে হাতছানি দেয় হিমালয় পাহাড়। পাহাড়ের ডাকে ছুটে যায় নওশীন হিমালয়ের চুলু পর্বতের পূর্ব শৃঙ্গে।<br />পর্যটকদের সংগঠন এনএসিবি'র ৬ সদস্যের টিমের একমাত্র মহিলা সদস্য হিসেবে ২০১১ সালের ১০ই নভেম্বর হিমালয়ের ২১ হাজার ৫৯৫ ফুট উঁচু চুলু-ইস্ট পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করে পীরগঞ্জের মেয়ে নওশীন। পর্বত অভিযান শেষে ফিরে এসে অর্জন করে "পর্যটন দূত" উপাধি। গত ২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে পর্বতারোহীদের সংগঠন 'নর্থ আলপাইন ক্লাব, বাংলাদেশ এর সম্বর্ধনা সভায় তত্কালীন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের নওশীনকে এ উপাধি প্রদান করেন। নওশীনের এ পর্বত অভিযানে তার অন্য সঙ্গীরা ছিলেন শেখ বদরুদিন ওমর, এম পারভেজ রশিদ, এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম, লিপটন সরকার ও দলনেতা তৌহিদ হোসেন। এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীমকে সাথে নিয়ে সমপ্রতি বাইসাইকেলে দেশের সীমান্তবর্তী ৪০টি জেলা পরিভ্রমণ করেছে নওশীন। <br />সাংবাদিকতা ঃ প্রসঙ্গত দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পীরগঞ্জ উপজেলার কতিপয় কৃতী সন্তানের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। ষাটের ও সত্তরের দশকে দৈনিক আজাদে পীরগঞ্জের করনা গ্রামের মরহুম শাহাজান আলী সহকারী সম্পাদক ছিলেন এবং দৈনিক সংবাদে হাসান আলী 'চিফ সিটি এডিটর' ছিলেন। মরহুম হাসান আলীর সহধর্মিণী বেবী মওদুদ (বর্তমানে এমপি) দীর্ঘদিন ইত্তেফাকের মহিলা অঙ্গন সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এ ছাড়া শামসুল হক দুররানী এখন ঢাকার দৈনিক নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক। <br />ষাটের ও সত্তরের দশকে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র একতা'য় সংবাদ পরিবেশন করতেন কমরেড মনসুরুল আলম। তখন দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক দিনাজপুর পরিক্রমা পত্রিকায় 'পীরগঞ্জ পাবলিক ক্লাবের অভ্যেন্তরে' শীর্ষক খবরের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি এ প্রতিবেদক মোঃ মেহের এলাহীর। দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭৬ সালে। এ উপজেলার ভেলাতৈর গ্রামের আখতার হোসেন রাজা দৈনিক সংবাদ ও বিটিভি'র এবং জগথার জয়নাল আবেদীন বাবুল আরটিভি'র ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন । পীরগঞ্জ ডেট লাইনে প্রথম আলো'য় কাজী নুরুল ইসলাম , আমার দেশ -এ জেড এ বাবুল, নিউনেশন ও ইনকিলাবে মোঃ মোকাদ্দেশ হায়াত মিলন, যুগান্তরের বুলবুল আহমেদ, যায় যায় দিনে এন কে রানা, নিউজ টুডে'তে মোশারফ হোসেন , দৈনিক দিনকালে মোঃ আজিজুল হক, ভোরের কাগজে আজম রেহমান, বাংলাদেশ সময়ে গোলাম রব্বানী, দৈনিক জনতায় সাইদুল ইসলাম মানিক, ভোরের ডাকে বিষ্ণু পদ রায়, দৈনিক সংগ্রামে হাফিজুল ইসলাম, নওরোজ এ ফজলুল কবির ফকির ও গোলাম রব্বানী, রংপুরের যুগের আলো'য় এএইচ লিটন, দিনাজপুরের পত্রালাপে তারেক হোসেন সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছেন । এছাড়াও ফয়জুল ইসলাম, আশরাফ আলী বাদশা, আবুল হাসনাত, জিয়াউল্লা রিমু,দীপেন্দ নাথ রায়, আব্দুর রহমান, মামুনুর রশিদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, নুরুন নবী রানা, কামরুন নাহার আইভি, সমসের আলী, গীতি গমন, মিন্টু, মুনসুর প্রমুখ রংপুর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও হতে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে লেখালেখি করছেন বলে জানা যায়। <br />কৃতী সন্তানদের কয়েকজন যাঁরা পীরগঞ্জের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেনঃ <br />পীরগঞ্জ হাইস্কুলের হেড মাস্টার মরহুম খোরশেদ আলী আহমদ, মরহুম ইসাহাক আলী ও ইয়াকুব আলী মাস্টার, ডাঃ সুজা উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ (সকলে জগথা), ইউসুফ আলী মাস্টার, হামিদ বক্স পন্ডিত ও খাদেম মতিউর রহমান পঞ্চায়েত (সকলে ভেলাতৈড়), ডাঃ আব্দুল রাজ্জাক ও আব্দুল মালেক (উভয়ে ভাকুরা) মোবারক আলী চেয়ারম্যান (মালঞ্চা), কসিরউদ্দীন চেয়ারম্যান (মিত্রবাটি), মুনির উদ্দীন চেয়ারম্যান (নারায়ণপুর), খয়রাত আলী, আব্দুল বাসেদ, রিয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ ও ইদ্রিস আলী হেড মাস্টার (সকলে বীরহলী), সাবেক এমপি মকলেসুর রহমান ও জর্জিসুর রহমান (পালিগাও), আব্দুর রহমান (দলপতিপুর), মকসেদ আলী চেয়ারম্যান (উপদইল), ফজলুল করিম ভেন্ডার, সমসের আলী মহাজন, সফিউদ্দীন আহম্মেদ, (সকলে রঘুনাথপুর), রুস্তম আলী সাবরেজিস্ট্রারসহ অনেকে।
 
-->
== উল্লেখযোগ্য স্থান ==
* রাজভিটা - জাবরহাট ইউনিয়ন।
১৩২ ⟶ ১৩৩ নং লাইন:
* সাগুনী রাবার ড্যাম।
 
==প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন====
== স্বাস্থ্য ==
ক) রাজভিটাঃ একটি ইতিহাসসমৃদ্ধ প্রাচীন এলাকা পীরগঞ্জের জাবরহাট ইউনিয়নের হাটপাড়া গ্রামের টাঙ্গন নদীর তীর ঘেঁষে বিস্তীর্ণ উঁচু স্থানটি রাজভিটা নামে পরিচিত যা ইতিহাস অনুসন্ধানীদের আর্কষণীয় স্থান। এই স্থানে একটি প্রাচীন কষ্টিপাথরের শিলালিপিসহ পুরনো ইটের অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। আরও পাওয়া গেছে কালো পাথরের বড় বড় খন্ড। ২ ফুট ৬ ইঞ্চি ( ১ ফুট ৩ ইঞ্চি মাপের প্রাপ্ত শিলা লিপিটির ওজন আনুমানিক ১ মণ। এতে যে অক্ষর উত্কীর্ণ রয়েছে তা পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এতে যে, চিত্র উত্কীর্ণ আছে তা উট, শূকর ও ঘোড়ার বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিগণ এগুলো শের শাহ আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন বলে অনুমান করছেন। এ রাজভিটা ্প্রায় ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫০ মিটার প্রস্থ। রাজভিটা থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে শের শাহ্ আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক পূর্ণিয়া সড়ক থাকার কারণে অনেকেই রাজভিটাকে শের শাহ্ আমলের জমিদারীর নির্দশন বলে ধারণা করছেন। দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ড. এম এ গনি এই রাজভিটার উপরে গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
* উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র : ১ টি
 
* উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ১ টি
খ) ভিমটিয়া শীবমন্দির নাকি ইমামবাড়া ঃ <br />পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ২ কিঃ মিঃ পূর্বে ভিমটিয়া গ্রামে রয়েছে একটি প্রাচীন অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ। অট্টালিকাটি ৩/৪শ বছর পূর্বের বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান। উক্ত অট্টালিকার চূড়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণের দেয়াল ধসে পড়েছে। এখনও উত্তর ও পশ্চিমের দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। অট্টালিকার পাশের বাড়ীর নবতিপর বৃদ্ধ মনতাজ আলী ও আমির হোসেন এবং ইলিয়াস আলী জানান দক্ষিণের ভেঙ্গে পড়া দেয়ালে দরজা ছিল। উক্ত অট্টালিকার দরজায় ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে নক্শা আছে । অট্টালিকার উচ্চতা সরজমিন থেকে অনুমান ৪০ ফুট। ঠাকুরগাঁও পরিক্রমায় এই ধ্বংসাবশেষটিকে শীবমন্দির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ভীমটিয়া গ্রামের আলহাজ্ব ওমর ফারুখ জানান, তাদের গ্রামে কখনো হিন্দু বসতি ছিল না। পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ বদরুল হুদা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক ড. গনি'র উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, নির্মাণ শৈলীর বিচারে ভিমটিয়া গ্রামের ধ্বংসাবশেষটি শীব মন্দির নয়, ইমামবাড়া।
* ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ৭ টি
* কমিউনিটি ক্লিনিক : ২২ টি
* প্রাইভেট ক্লিনিক : ৩ টি
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMTVfMTNfM181N18xXzU2Mjc3
 
== বহিঃসংযোগ ==