রামমোহন রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
2409:4060:2193:6600:0:0:10A8:B0A1 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3318797 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৩১ নং লাইন:
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ [[ফারসি ভাষা|ফারসি ভাষায়]] লেখা (ভূমিকা অংশ আরবিতে) ''তুহফাতুল মুহাহহিদিন''। বইটিতে একেশ্বরবাদের সমর্থন আছে। এরপর [[একেশ্বরবাদ]] (বা [[ব্রাহ্মবাদ]]) প্রতিষ্ঠা করার জন্য বেদান্ত-সূত্র ও তার সমর্থক [[উপনিষদ]]গুলি বাংলার অনুবাদ করে প্রচার করতে থাকেন। [[১৮১৫]] থেকে [[১৮১৯]] খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রকাশিত হয় ''বেদান্তগ্রন্থ'', ''বেদান্তসার'', ''কেনোপনিষদ'', ''ঈশোপনিষদ'', ''কঠোপনিষদ'', ''মাণ্ডূক্যোপনিষদ'' ও ''মুণ্ডকোপনিষদ''। রক্ষণশীল ব্যক্তিরা ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর লেখার প্রতিবাদ দেখাতে লাগলেন। এই সব প্রতিবাদ কটূক্তিপূর্ণ এবং বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। রামমোহনও প্রতিবাদের প্রতিবাদ করলেন যুক্তি দিয়ে ও ভদ্রভাষায়। প্রতিবাদ-কর্তারা অবিলম্বে থেমে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদ-কর্তাদের মধ্যে প্রথম ও প্রধান ছিলেন [[মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার]], এঁর গ্রন্থের নাম 'বেদান্তচন্দ্রিকা'। বেদান্তচন্দ্রিকা'র প্রতিবাদে রামমোহন ''ভট্টাচার্যের সহিত বিচার'' লিখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। 'বেদান্ত গ্রন্থ' প্রকাশের সঙ্গে তিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ একেশ্বর উপাসনার পথ দেখালেন আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করে। এই আত্মীয় সভাকেই পরে তিনি [[ব্রাহ্মসমাজ]] নাম ও রূপ দেন। সাহেবদের বাংলা শেখানোর জন্য তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে ব্যাকরণ রচনা করেন। <ref>দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়[http://ssrn.com/abstract=2403686 রামমোহনের গৌড়ীয় ব্যাকরণ Rammohan Roy's Goudiya/Bangla Grammar].</ref>
 
== সতীদাহ ও রামমোহন রায় ==
বেদান্ত-উপনিষদগুলি বের করবার সময়ই তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতিবিগর্হিত প্রমাণ করে পুস্তিকা লিখলেন 'প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ'। প্রতিবাদে পুস্তিকা বের হল 'বিধায়ক নিষেধকের সম্বাদ'। তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুস্তিকা বের হয়। এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবুও গোঁড়ারা চেষ্টা করতে লাগল যাতে পার্লামেন্টে বিষয়টি পুনর্বিবেচিত হয়। এই চেষ্টায় বাধা দেওয়ার জন্য রামমোহন বিলেত যেতে প্রস্তুত হলেন। এব্যাপারে তাকে আর্থিক সহায়তা দান করেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
সতীদাহ প্রথার মত মর্মান্তিক পাশবিক নীতি রামমোহনের অন্তরাত্মাকে বারবার বিচলিত করেছিল।তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।তিনি তাঁর সংবাদ কৌমুদি নামক পত্রিকায় সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন।তিনি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই প্রথার নিবারন করতে সরকারকে অনুরোধ জানান।রামমোহনের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতায় গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯সালে সরকারিভাবে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।
 
== ব্রাহ্মসমাজ ও রামমোহন রায় ==