খ্রিস্টধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
St.teresa-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Zaheen-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
এতোই সহজকরণ যদি আপনার লক্ষ্য হয়, তবে simple English-এর মতো সহজ বাংলা উইকিপিডিয়া চালু করে সেখানে করুন। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় তো সমস্যা হচ্ছে না। বাহুল্য বর্জনীয়।
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
{{Christianity}}
'''খ্রিস্টধর্ম''' একটি [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] ধর্ম, যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের ধর্মপ্রচারক [[নাসরতের যিশু]]<nowiki/>র জীবন ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি "[[খ্রিস্ট (উপাধি)|খ্রিস্ট]]"<ref group="টীকা">মূল [[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]] Χριστός খ্রিস্‌তোস্‌ শব্দের অর্থ "(ঈশ্বরের) নির্বাচিত"। [[আরবি]] ও [[হিব্রু ভাষা]]র অনুকরণে বাংলা ভাষাতে কখনও কখনও যিশুখ্রিস্টকে "ঈসা মসীহ" নামেও ডাকা হয়। ঈসা অর্থ "যিশু" আর মসীহ অর্থ "নির্বাচিত, অভিষিক্ত"।</ref> অনুযায়ী এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থসমগ্রের নাম [[বাইবেল]]। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র ও মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের [[পুরাতন নিয়ম]] অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং [[নূতন নিয়ম]] অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=ক্রিশ্চিয়ানিটি: এ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন|শেষাংশ=লিন্ডা|প্রথমাংশ=উডহেড|তারিখ=২০০৪|কর্ম=|প্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|অবস্থান=অক্সফোর্ড|লিপির-শিরোনাম=en:Christianity: A Very Short Introduction|অনূদিত-শিরোনাম=খ্রিস্টধর্ম: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> খ্রিস্টধর্ম একটি [[আব্রাহামীয় ধর্ম|অব্রাহামীয়]] ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ [[অব্রাহাম]] যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে।
 
'''খ্রিস্টধর্ম''' একটিহল [[নাসরতের যিশু]]<nowiki/>র জীবন ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] [[আব্রাহামীয় ধর্ম,|অব্রাহামীয়]] যাধর্ম। মধ্যপ্রাচ্যেরখ্রিস্টান ঐতিহাসিকবলে গালীলপরিচিত অঞ্চলেরএই ধর্মপ্রচারকধর্মের [[নাসরতেরঅনুসারীরা বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র ও মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন [[বাইবেল|বাইবেলে]]<nowiki/>র জীবন[[পুরাতন নিয়ম|পুরাতন শিক্ষারনিয়মে]] উপরপূর্বব্যক্ত ভিত্তিহয়েছিল করেএবং খ্রিস্টীয়[[নূতন ১মনিয়ম|নতুন শতকেনিয়মে]] উৎপত্তিপুনর্ব্যক্ত লাভ করে।হয়েছে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি "'[[খ্রিস্ট (উপাধি)|খ্রিস্ট]]"'<ref group="টীকা">মূল [[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]] Χριστός খ্রিস্‌তোস্‌ শব্দের অর্থ "(ঈশ্বরের) নির্বাচিত"। [[আরবি]] ও [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু ভাষার]] অনুকরণে বাংলা ভাষাতে কখনও কখনও যিশুখ্রিস্টকে "ঈসা মসীহ" নামেও ডাকা হয়। ঈসা অর্থ "যিশু" আর মসীহ অর্থ "নির্বাচিত, অভিষিক্ত"।</ref> অনুযায়ীথেকে এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থসমগ্রের নাম [[বাইবেল]]। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র ও মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের [[পুরাতন নিয়ম]] অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং [[নূতন নিয়ম]] অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=ক্রিশ্চিয়ানিটি: এ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন|শেষাংশ=লিন্ডা|প্রথমাংশ=উডহেড|তারিখ=২০০৪|কর্ম=|প্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|অবস্থান=অক্সফোর্ড|লিপির-শিরোনাম=en:Christianity: A Very Short Introduction|অনূদিত-শিরোনাম=খ্রিস্টধর্ম: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> খ্রিস্টধর্ম একটি [[আব্রাহামীয় ধর্ম|অব্রাহামীয়]] ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ [[অব্রাহাম]] যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে।
অনুসারীর সংখ্যা অনুযায়ী খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম।<ref>{{cite news |title=Study: Christian population shifts from Europe |author=Zoll, Rachel |url=https://www.theguardian.com/world/feedarticle/10003271|newspaper=Associated Press |date=19 December 2011 |accessdate=25 February 2012}}</ref><ref name="PewDec2012">{{cite web|url=http://www.pewforum.org/2012/12/18/global-religious-landscape-exec/|title=The Global Religious Landscape|publisher=Pew Research Center|date=December 2012|accessdate=5 November 2018}}</ref> সারা বিশ্বে প্রায় ২৪০ কোটি খ্রিস্টধর্মের অনুসারী আছে,<ref name="World">33.39% of ~7.2&nbsp;billion world population (under the section 'People') {{cite web|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/xx.html|title=World|website=The World Factbook|publisher=CIA}}</ref><ref name="gordonconwell.edu">{{cite web|url=http://www.gordonconwell.edu/resources/documents/1IBMR2015.pdf|title=Christianity 2015: Religious Diversity and Personal Contact|publisher=gordonconwell.edu|date= January 2015 |accessdate=29 May 2015}}</ref><ref name="Global Christianity">{{cite web|author=ANALYSIS |url=http://www.pewforum.org/Christian/Global-Christianity-exec.aspx |title=Global Christianity |publisher=Pew Research Center |date=19 December 2011 |accessdate=17 August 2012}}</ref> যা বিশ্ব জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রে খ্রিস্টধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম।<ref name="Global Christianity"/> বর্তমান যুগে খ্রিস্টধর্ম বেশ কিছু শাখা বা মন্ডলীতে বিভক্ত। এদের মধ্যে চারটি প্রধান শাখা হল হল [[রোমান ক্যাথলিক মন্ডলী]] (১৩০ কোটি অনুসারী), [[প্রতিবাদী মন্ডলী]] (৯২ কোটি অনুসারী), [[পূর্বী প্রথানুবর্তী মন্ডলী]] (২৬ কোটি অনুসারী<ref name=BBC>{{cite news|last=Peter|first=Laurence|title=Orthodox Church split: Five reasons why it matters|url=https://www.bbc.com/news/world-europe-45877584|publisher=[[BBC]]|date=October 17, 2018|accessdate=October 17, 2018}}</ref>) এবং [[প্রাচ্যদেশীয় প্রথানুবর্তী মন্ডলী]] (৮ কোটি ৬০ লক্ষ অনুসারী)। এদের বাইরেও বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন মতের অনেক মন্ডলী রয়েছে।
 
অনুসারীর সংখ্যা অনুযায়ী খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তমসংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার ধর্ম।<ref>{{cite news |title=Study: Christian population shifts from Europe |author=Zoll, Rachel |url=https://www.theguardian.com/world/feedarticle/10003271|newspaper=Associated Press |date=19 December 2011 |accessdate=25 February 2012}}</ref><ref name="PewDec2012">{{cite web|url=http://www.pewforum.org/2012/12/18/global-religious-landscape-exec/|title=The Global Religious Landscape|publisher=Pew Research Center|date=December 2012|accessdate=5 November 2018}}</ref> সারা বিশ্বে প্রায় ২৪০ কোটি খ্রিস্টধর্মের অনুসারী আছে,<ref name="World">33.39% of ~7.2&nbsp;billion world population (under the section 'People') {{cite web|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/xx.html|title=World|website=The World Factbook|publisher=CIA}}</ref><ref name="gordonconwell.edu">{{cite web|url=http://www.gordonconwell.edu/resources/documents/1IBMR2015.pdf|title=Christianity 2015: Religious Diversity and Personal Contact|publisher=gordonconwell.edu|date= January 2015 |accessdate=29 May 2015}}</ref><ref name="Global Christianity">{{cite web|author=ANALYSIS |url=http://www.pewforum.org/Christian/Global-Christianity-exec.aspx |title=Global Christianity |publisher=Pew Research Center |date=19 December 2011 |accessdate=17 August 2012}}</ref> যা বিশ্ব জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রে খ্রিস্টধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম।<ref name="Global Christianity"/> বর্তমান যুগে খ্রিস্টধর্ম বেশ কিছু শাখা বা মন্ডলীতে বিভক্ত। এদের মধ্যে চারটি প্রধান শাখা হল হল [[ক্যাথলিক গির্জা|রোমান ক্যাথলিক মন্ডলী]] (১৩০ কোটি অনুসারী), [[প্রতিবাদী মন্ডলী]] (৯২ কোটি অনুসারী), [[পূর্বী প্রথানুবর্তী মন্ডলী]] (২৬ কোটি অনুসারী<ref name=BBC>{{cite news|last=Peter|first=Laurence|title=Orthodox Church split: Five reasons why it matters|url=https://www.bbc.com/news/world-europe-45877584|publisher=[[BBC]]|date=October 17, 2018|accessdate=October 17, 2018}}</ref>) এবং [[প্রাচ্যদেশীয় প্রথানুবর্তী মন্ডলী]] (৮ কোটি ৬০ লক্ষ অনুসারী)। এদের বাইরেও বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন মতের অনেক মন্ডলী রয়েছে।
 
[[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যের]] (বর্তমান [[ইসরায়েল]] রাষ্ট্রের উত্তরভাগে অবস্থিত) ঐতিহাসিক [[গালীল]] অঞ্চলের [[নাসরত]] শহর থেকে আগত ইহুদি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা [[যিশু|যিশুখ্রিস্টের]] জীবন ও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। ঐতিহাসিকভাবে [[নাসরত|নাসরতের]] যিশু খ্রিস্টীয় ১ম শতকের প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ যিহূদিয়াতে (ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলের পার্বত্য দক্ষিণাংশ) বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক ও নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। যিশুর পালক বাবা [[যোসেফ]] ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থগুলিতে বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। এসব অলৌকিক ঘটনা সম্পাদনের প্রেক্ষিতে যিশুকে ইহুদিদের রাজা হিসেবে দাবী করা হয়। এই উপাধি ব্যবহার ও নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করার দোষে জেরুসালেমের ইহুদি নেতাদের নির্দেশে যিশুকে জেরুসালেমে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহুদিদের সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর বিচার হয় ও ইহুদিরা যিহূদিয়ার স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পীলাতকে অনুরোধ করে যেন যিশুকে মৃত্যদণ্ড দান করা হয়। পীলাত প্রথমে যিশুকে নিরপরাধ গণ্য করলেও পরবর্তীতে যাজকদের প্ররোচণায় উন্মত্ত ইহুদি জনতার ইচ্ছাপূরণ করতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করান।<ref>[[Tacitus]] tells about this in his Annales: [http://www.perseus.tufts.edu/cgi-bin/ptext?lookup=Tac.+Ann.+15.44 ''Perseus''-Project: Annales 15,44] In the passage, Tacitus talks about the burning of Rome, which [[Nero]] attributed to the Christians: ''Christus, from whom the name had its origin, suffered the extreme penalty during the reign of Tiberius at the hands of one of our procurators, Pontius Pilatus, and a most mischievous superstition, thus checked for the moment, again broke out not only in Judaea, the first source of the evil, but even in Rome, where all things hideous and shameful from every part of the world find their centre and become popular''.</ref>