সূরা ইসরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
Al Arafat Hossain (আলোচনা | অবদান)
২৭ নং লাইন:
[[মসজিদে হারাম]] থেকে [[মসজিদে আকসা]] পর্যন্ত সফরকে 'ইসরা' বলা হয় এবং সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত যে সফর হয়েছে, তার নাম মে'রাজ। ইসরা অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। আর মে'রাজ [[আন-নাজম|সূরা নাজমে]] উল্লেখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির [[হাদিস|হাদীস]] দ্বারা প্রমাণিত। মে'রাজে গিয়ে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর উম্মতের জন্য প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্তের [[নামাজ]] ফরয হওয়ার নির্দেশ হয়। অতঃপর তা হ্রাস করে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়। এ দ্বারা সব এবাদতের মধ্যে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। হরবী বলেনঃ ইসরা ও মে'রাজের ঘটনা [[রবিউস সানি]] মাসের ২৭ তম রাত্রিতে [[হিজরত|হিজরতের]] এক বছর পূর্বে ঘটেছে। ইবনে কাসেম সাহাবী বলেনঃ নবুওয়ত প্রাপ্তির আঠার মাস পর এ ঘটনা ঘটেছে। মুহাদ্দেসগণ বিভিন্ন রেওয়ায়েত উল্লেখ করার পরে কোন সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেননি। কিন্তু সাধারণভাবে খ্যাত এই যে, রজব মাসের ২৭ তম রাত্রি মে'রাজের রাত্রি।<ref>মারেফুল কোরআন, ৭৬৪ পৃষ্ঠা।</ref>
 
=== মসজিদে-হারাম ও মসজিদে-আকসা ===
হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলামঃ বিশ্বের সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি? তিনি বললেনঃ মসজিদে হারাম। অতঃপর আমি আরয করলামঃ এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ মসজিদে আকসা। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এতদুভয়ের নির্মাণের মধ্যে কতদিনের ব্যবধান রয়েছে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ বছর। তিনি আরও বললেনঃ এ তো হচ্ছে মসজিদদ্বয়ের নির্মাণক্রম। কিন্তু আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের জন্যে সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠকেই মসজিদ করে দিয়েছেন। যেখানে নামাযের সময় হয়, সেখানেই নামায পড়ে নাও।<ref>মুসলিম শরীফ।</ref> তফসীরবিদ মুজাহিদ বলেনঃ আল্লাহ্‌ তাআলা বায়তুল্লাহ্‌র স্থানকে সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠ থেকে দু'হাজার বছর পূর্বে সৃষ্টি করেছেন এবং এর ভিত্তিস্তর সপ্তম যমীনের অভ্যন্তর পর্যন্ত পৌছেছে। মসজিদে আকসা হযরত সোলায়মন (আঃ) নির্মাণ করেছেন।<ref>নাসায়ী, তফসীর কুরতুবী, ১২৭ পৃষ্ঠা, ৪র্থ খন্ড।</ref> বায়তুল্লাহ্‌র চারপাশে নির্মিত মসজিদকে-হারাম বলা হয়।