বাক্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ →অর্থ অনুসারে: সংযোযন,সংশোধন |
অ সংশোধন, সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ, বিষয়বস্তু যোগ, বানান সংশোধন |
||
১ নং লাইন:
এক বা একাধিক বিভক্তিযুক্ত পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তখন তাকে '''বাক্য বা Sentence''' বলে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি ৮ম ও ৯ম থেকে ১০ম শেণি|শেষাংশ=৮ম ও ৯ম থেকে ১০ম শেণি|প্রথমাংশ=বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি|তারিখ=|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>।<ref>*অধ্যাপক ডাক্তার সৌমিত্র শেখর
*শুভ রায়<br> বাংলা ব্যাকরণ ও নিমিত্তি<br> অষ্টম শ্রেণী পৃষ্টা ৫৫</ref>অথবা,''যে সুবিন্যেস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হয়,তাকে বাক্য বলে।''
কতগুলো পদের সমষ্টিতে বাক্য গঠিত হলেও যে কোনো পদসমষ্টিই বাক্য নয়। বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।এ ছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা মিলিতভাবে একটি অখণ্ডভাব পূর্ণ রুপে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন, তবেই তা বাক্য হবে।
== বাক্যের গুণ ==
ভাষার বিচারে বাক্যের এ গুণ
*মুনীর চৌধুরী
*মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী<br>৫ম অধ্যায়<br>১ম পরিচ্ছেদ<br>বাক্য প্রকরণ</ref>কারণ, রোদের কারণে কখনো প্লাবণ সঙ্গঠিত হয় না।অর্থাৎ, বাক্যের অর্থ যেন সত্য ও যুক্তিযুক্ত হয়।তাহলেই বাক্যের যোগ্যতা থাকবে।
শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জড়িত থাকে:
* '''রীতিসিদ্ধ অর্থবাচকতা:''' প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থে শব্দ সর্বদা ব্যবহৃত হয়।যোগ্যতার দিক থেকে রীতিসিদ্ধ অর্থের প্রতি লক্ষ রেখে কতগুলো শব্দ ব্যবহর করতে হয়।যেমন-
{| class="wikitable"
|+
!শব্দ
!রীতিসিদ্ধ
!প্রকৃতি +প্রত্যয়
!প্রকৃতি + প্রত্যয়জাত অর্থ
|-
|১. বাধিত
|অনুগৃহিত বা কৃতজ্ঞ
|বাধ + ইত
|বাধাপ্রাপ্ত
|-
|২.তৈল
|তিল জাতীয় বিশেষ কোনো শস্যের রস
|তিল +ষ্ঞ
|তিলজাত স্নেহ পদার্থ
|}
* '''দুর্বোধ্যতা :''' অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করলে বাক্যের যোগ্যতা বিনষ্ট হয়।যেমন- তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছ।(চাতুরি বা মায়া অর্থে ,কিন্তু বাংলা '''প্রপঞ্চ''' শবাদটি অপ্রচলিত।
* '''উপমার ভুল প্রয়োগ:''' ঠিকভাবে উপমা ব্যবহার না করলে যোগ্যতা হানি ঘটে।যেমন-
''আমার হৃদয়-মন্দিরে আসার বীজ উপ্ত হলো।'' বীজ ক্ষেতে উপ্ত করা হয় , মন্দিরে নয়।কাজেই বাক্যটি হওয়া উচিত:''আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আসার বীজ উপ্ত হইল।''অথবা, ''আমার হৃদয-মন্দিরে আসার প্রদীপ জ্বলে উঠল।''
* '''বাহুল্য দোষ:''' প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং এর ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে থাকে।যেমন- ''দেশের সব আলেম রাই এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন''।’আলেমগণ’ বহুবচনবাচক শব্দ।এর সঙ্গে ‘সব’ শব্দাট বাহুল্য দোষ করেছে।
* '''বাগধারার শব্দ পরিবর্তন:'''
* '''গুরুচণ্ডালি দোষ:'''
'''যদি কোনো বাক্যে এ তিনটি গুণের একটি অনুপস্থিত থাকে,তবে তাকে বাক্য বলে গণ্য করা হবে না।'''
|