ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
42.0.4.225 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3308485 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৫৪ নং লাইন:
== সাহিত্যকীর্তি ==
বাংলা সাহিত্যে তাঁর চিরস্থায়ী আসনলাভ সম্ভব হয়েছে কারণ একদিকে মধ্যযুগের দেবমাহাত্ম্য ব্যঞ্জক বিষয় থেকে বাংলা কবিতাকে মুক্ত করে তিনি যেমন অনায়াসে 'পাঁঠা', 'আনারস', 'তোপসে মাছ' ইত্যাদি বিষয় অবলম্বনে কবিতা লেখেন; তাঁর কবিতায় উঠে আসে সমসাময়িক রাজনইতিক,সামাজিক ঘটনাবলির চিত্ররূপ তাঁর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে। তৎকালীন কবিওয়ালা দের জিম্মা থেকে বাংলা কবিতাকে তিনি নাগরিক বৈদগ্ধ ও মার্জিত রুচির আলোয় নিয়ে আসেন। সাংবাদিক রূপেও ঊনবিংশ শতকের এই আধুনিক মানুষটি যথাযোগ্য কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন।সাহিত্য অঙ্গনে তাঁর আবির্ভাব মধ্যযুগের শেষ ও আধুনিক যুগের শুরুর পর্যায়ে । বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে "খাঁটি বাঙালি কবি" বলে অবহিত করেছেন ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মঃ রামপ্রসাদ সেন কৃত কালীকীর্তন(১৮৩৩), কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ও তাঁর জীবনবৃত্তান্ত(১৮৫৫), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কাব্যসংগ্রহ(১৮৯২)
 
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সুত্রপাতের যে ক্ষেত্র সেটা তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন।
রা
তাঁকে যুগস্রষ্টা না বলা গেলেও যুগ সৃষ্টিতে তাঁর অবদান কমও নয়।কেননা নতুন যুগ সৃষ্টির যে ক্ষেত্র সেটি তিনিই সৃষ্টি করেছেন।বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা তাঁর হাত ধরেই এসেছে একথা অকপটে বলতেই হবে।
তিনি সাহিত্যকে তখনকার গণ্ডি থেকে বের করে নিয়ে আসেন।আর নতুন দের দেখিয়ে দেন যে সাহিত্যের ধারা কেমন হবে।শিখিয়ে দেন যে সাহিত্য কখনও সীমাবদ্ধ কিছু নয়।তার কর্ম তখনকার মানুষের চিন্তারও বাইরে। কাজেই বলা যায় তিনি পরোক্ষভাবে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের স্রষ্টা।
 
==যমক==