উসমানীয় সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৮৭ নং লাইন:
[[File:Battle of Nicopolis.jpg|thumb|left|[[নিকোপোলিসের যুদ্ধ]], ১৫২৩ খ্রিষ্টাব্দের চিত্রকর্ম।]]
[[File:Battle of Preveza (1538).jpg|thumb|left|১৫৩৮ সালে [[প্রিভেজার যুদ্ধে]] [[হাইরেদ্দীন বারবারোসা|বারবারোসা হায়রেদ্দিন পাশা]] [[পঞ্চম চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট|পঞ্চম চার্লসের]] [[হলি লীগ (১৫৩৮)|হলি লীগকে]] পরাজিত করেছেন।]]
[[দ্বিতীয় মুরাদ|দ্বিতীয় মুরাদের]] ছেলে [[দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|দ্বিতীয় মুহাম্মদ]] রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন করেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এরশাদ করেন: “অবশ্যই তোমাদের হাতে একদিন কনস্টান্টিনোপল বিজীত হবে। বিজীত বাহিনির আমির কত উত্তম আমির! আর বিজীত দলটিও কত শ্রেষ্ঠ।” ১৪৫৩ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় মুহাম্মদ [[কনস্টন্টিনোপল জয়]] করেন। উসমানীয়দের প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে [[ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ|ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চকে]] তার কার্যক্রম চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয়।<ref name="books.google">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Stone|প্রথমাংশ=Norman|সম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|শিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2005|প্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|আইএসবিএন=978-0-297-84913-1|পাতা=94|অধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> পশ্চিম ইউরোপের রাজ্যগুলোর সাথে [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইনদের]] সম্পর্ক খারাপ ছিল বিধায় অধিকাংশ অর্থোডক্স জনগণ ভেনেসিয়ানদের পরিবর্তে উসমানীয়দের ইসলামী বিধি-বিধান ধর্মীয় সুবিধার কারণে তাদের অধীনে থাকাকে সুবিধাজনক মনে করে।<ref name="books.google" /> ইতালীয় উপদ্বীপে বাইজেন্টাইনদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আলবেনিয়ানদের প্রতিরোধ।<ref>Hodgkinson 2005, p. 240</ref> তার প্রচেষ্টায় আলবেনিয়া বসনিয়া ক্রিমিয়া ও ইতালির ওটরেন্ট বিজিত হয়
১৫শ ও ১৬শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিস্তৃতির যুগে প্রবেশ করে। নিবেদিত ও দক্ষ সুলতানদের শাসনের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্য সমৃদ্ধি লাভ করে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য রুটের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সাম্রাজ্য অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=Karpat, Kemal H. |শিরোনাম=The Ottoman state and its place in world history |প্রকাশক=Brill |অবস্থান=Leiden |বছর=1974 |পাতা=111 |আইএসবিএন=90-04-03945-7 |oclc= }}</ref><ref>A lock-hold on trade between western Europe and Asia is often cited as a primary motivation for [[Isabella I of Castile]] to fund [[Christopher Columbus]]'s westward journey to find a sailing route to Asia and, more generally, for European seafaring nations to explore alternative trade routes (e.g. K. D. Madan, ''Life and travels of Vasco Da Gama'' (1998), 9; I. Stavans, ''Imagining Columbus: the literary voyage'' (2001), 5; W.B. Wheeler and S. Becker, ''Discovering the American Past. A Look at the Evidence: to 1877'' (2006), 105). This traditional viewpoint has been attacked as unfounded in an influential article by A.H. Lybyer ("The Ottoman Turks and the Routes of Oriental Trade", ''English Historical Review'', 120 (1915), 577–588), who sees the rise of Ottoman power and the beginnings of Portuguese and Spanish explorations as unrelated events. His view has not been universally accepted (cf. K.M. Setton, ''The Papacy and the Levant (1204–1571), Vol. 2: The Fifteenth Century (Memoirs of the American Philosophical Society, Vol. 127)'' (1978), 335).</ref>
সুলতান [[প্রথম সেলিম]] পারস্যের [[সাফাভি রাজবংশ|সাফাভি]] সম্রাট [[প্রথম ইসমাইল|প্রথম ইসমাইলকে]] পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Savory |প্রথমাংশ=R. M.|শিরোনাম = The Principal Offices of the Ṣafawid State during the Reign of Ismā'īl I (907-30/1501-24)|সাময়িকী = Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London|খণ্ড = 23 |সংখ্যা নং=1 |পাতাসমূহ=91–105 |বছর=1960|ডিওআই = 10.1017/S0041977X00149006 |jstor=609888 |সূত্র=harv}}</ref> তিনি মিশরে উসমানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও [[লোহিত সাগর|লোহিত সাগরে]] নৌবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন। উসমানীয়দের এই সম্প্রসারণের পর [[পর্তুগিজ সাম্রাজ্য]] ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রধান পক্ষ হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ সময় পর্তুগিজরা মক্কা-মদিনা আক্রমণের হুমকি দিলে সুলতান সেলিম মামুলোকদের পরাজিত করে মক্কা-মদিনার সুরক্ষা করেন ও তৎকালীন আব্বাসীয় খলিফা তার হাতে খেলাফত হস্তান্তর করে এবং শুরু হয় উসমানিয়া খেলাফতের। এরপর থেকে পরবর্তী উসমানীয় সুলতানগণ মুসলিম বিশ্বের খলিফা ও মক্কা-মদিনার রক্ষক হিসেবে থাকে।
<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Hess |প্রথমাংশ=Andrew C.|শিরোনাম = The Ottoman Conquest of Egypt (1517) and the Beginning of the Sixteenth-Century World War|সাময়িকী = International Journal of Middle East Studies|খণ্ড = 4 |সংখ্যা নং=1 |পাতাসমূহ=55–76 |তারিখ=January 1973|jstor = 162225 |ডিওআই=10.1017/S0020743800027276 |সূত্র=harv}}</ref> সুলতান [[প্রথম সুলাইমান]] ১৫২১ সালে [[বেলগ্রেড]] জয় করেন এবং [[উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধ|উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধের]] এক পর্যায়ে হাঙ্গেরি
এ সময় ট্রান্সিলভানিয়া ও ওয়ালাচিয়া(বর্তমান রোমানিয়া) এবং মলডোভিয়া উসমানীয়দের অনুগত রাজ্যে পরিণত হয়।। পূর্বে দিকে উসমানীয়রা পারস্যের কাছ থেকে [[বাগদাদ]] দখল করে নেয়। ফলে [[মেসোপটেমিয়া]] ও [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] নৌ চলাচলের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আসে।
উসমানীয় সাম্রাজ্য ও [[ফ্রান্স]] [[হাবসবার্গ]] শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শক্তিশালী মিত্রে পরিণত হয়। ফরাসি ও উসমানীয়রা যৌথ প্রচেষ্টায় ১৫৪৩ সালে নাইস ও ১৫৫৩ সালে করসিকা জয় করে নেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Imber|প্রথমাংশ=Colin|শিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|বছর=2002|প্রকাশক=Palgrave Macmillan|আইএসবিএন=0-333-61386-4|পাতা=53}}</ref> নাইস অবরোধের এক মাস আগে এজতেরুগুম জয়ের সময় ফ্রান্স উসমানীয়দেরকে গোলন্দাজ ইউনিট দিয়ে সহায়তা করেছিল। উসমানীয়রা আরো সামনে অগ্রসর হওয়ার পর হাবসবার্গ শাসক ফার্ডিনেন্ড ১৫৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয়দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।
১৯৯ ⟶ ২০৬ নং লাইন:
১৫৫৯ সালে [[উসমানীয়-পর্তুগিজ সংঘর্ষ (১৫৩৮-৫৭)|প্রথম আজুরাম পর্তুগিজ যুদ্ধের]] পর উসমানীয় সাম্রাজ্য দুর্বল আদাল সালতানাতকে সাম্রাজ্যের অংশ করে নেয়। এই সম্প্রসারণ [[সোমালিয়া]] ও [[হর্ন অব আফ্রিকা]] পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পর্তুগিজদের সাথে প্রতিযোগীতার জন্য ভারত মহাসাগরে প্রভাব বাড়ানো হয়।<ref name="Clifford">E. H. M. Clifford, [http://www.jstor.org/stable/1785556 "The British Somaliland-Ethiopia Boundary", ''Geographical Journal''], 87 (1936), p. 289</ref>
[[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] শাসনের সমাপ্ত হওয়ার সময় সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫,০০০,০০০ এবং তিন মহাদেশব্যপী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। উপরন্তু সাম্রাজ্য একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি হয়ে উঠে। ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ
===অনগ্রসরতা ও সংস্কার (১৫৬৬-১৮২৭)===
|