স্টিভেন জে গুল্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৮ নং লাইন:
|death_place = [[ম্যানহাটন]], নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
|nationality = মার্কিনী
|fields = [[প্রত্নতত্ত্ববিদ্যাজীবাশ্মবিজ্ঞান]], [[বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞান]], [[বিজ্ঞানের ইতিহাস]]
|alma_mater = [[অ্যান্টিওক কলেজ]] <small>(BA)</small>,<br />[[ইউনিভার্সিটি অফ লিডস]],<br />[[কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি]] <small>(ডক্টরেট)</small>
|work_institutions = [[হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি]],<br/>[[আমেরিকান অফ ন্যাচারাল হিস্টরি]],<br/>[[নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি]]
১৭ নং লাইন:
|known_for= [[যতিবিশিষ্ট সাম্যাবস্থা]]<br />[[সম্পূর্ণ পৃথক রাজ্য]]<br />[[স্প্যানড্রেল (জীববিজ্ঞান)|স্প্যানড্রেল]]<br />[[প্রাক-অভিযোজন]]
|societies =
|prizes = [[লিনেয়ান সোসাইটি অফ লন্ডন]]-এর [[ডারউইন-ওয়ালেস পদক]] (২০০৮)<br /> [[প্রত্নতাত্ত্বিকজীবাশ্মবৈজ্ঞানিক সমাজ পদক]] (২০০২)<br /> [[সেন্ট লুই সাহিত্য পুরস্কার]] (১৯৯৪)<br/> [[সু টাইলার ফ্রিডম্যান পদক]] (১৯৮৯)<br /> [[চার্লস শুশার্ট পুরস্কার]] (১৯৭৫)<br/>[[ফাই বেটা কাপ্পা বিজ্ঞানে পুরস্কার]] (দুইবার – ১৯৮৩, ১৯৯০)<br/>[[ম্যাকার্থার ফেলোশিপ]]<br/>[[জাতীয় গ্রন্থ পুরস্কার]]<br/>[[জাতীয় গ্রন্থ সমালোচক চক্র পুরস্কার]]
|signature = SJG_Signature.png
|spouse=ডেবোরা লি (১৯৬৫–১৯৯৫; বিবাহ বিচ্ছিন্ন; ২ সন্তান)<br />[[রন্ডা রোল্যান্ড শিয়ারার]] (১৯৯৫–২০০২ (আমৃত্যু); ২ জন সৎ-সন্তান)
}}
'''স্টিভেন জে গুল্ড''' ({{lang-en|Stephen Jay Gould}}; ১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪১ – ২০শে মে, ২০০২) একজন [[মার্কিন]] [[প্রত্নতত্ত্ববিদজীবাশ্মবিজ্ঞানী]], [[বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী]] এবং [[বিজ্ঞানের ইতিহাস]]বিদ। গুল্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্ক শহরে]] জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে [[অ্যান্টিওক কলেজ]] নামক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হন। ১৯৬৭ সালে [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যাতেজীবাশ্মবিজ্ঞানে ডক্টরেট সনদ লাভ করেন। ঐ বছরই তিনি [[হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়|হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে]] শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৩ সালে সেখানে পূর্ণকালীন অধ্যাপকে পরিণত হন।
 
গুল্ড তাঁর কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে এবং মার্কিন প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরে কাজ করে অতিবাহিত করেন। ১৯৯৬ সালে গুল্ড [[নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি]]তে [[জীববিজ্ঞান]] বিষয়ে অতিথি গবেষণা অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগলাভ করেন। তখন থেকে তিনি নিউ ইয়র্ক ও হার্ভার্ড উভয় বিশ্ববিদ্যালয়েই ভাগ করে পড়াতেন। গুল্ডের গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল [[পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ|পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের]] স্থল-শামুকদের [[বিবর্তন]] এবং [[প্রজাতির উদ্ভব]]। নাইলস এলড্রেজের সাথে একত্রে তিনি ১৯৭২ সালে [[যতিবিশিষ্ট সাম্যাবস্থা]] (ইংরেজি Punctuated equilibrium ''পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম'') নামক তত্ত্ব প্রদান করেন, যা ছিল বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞানে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।<ref name=punc1972>Eldredge, Niles, and S. J. Gould (1972). [http://www.blackwellpublishing.com/ridley/classictexts/eldredge.pdf "Punctuated equilibria: an alternative to phyletic gradualism."] In T.J.M. Schopf, ed., ''Models in Paleobiology''. San Francisco: Freeman, Cooper and Company, pp. 82–115.</ref> এই তত্ত্বটি ছিল [[চার্লস ডারউইন|চার্লস ডারউইনের]] বিবর্তন সংক্রান্ত তত্ত্বের একটি সংশোধন। গুল্ডের তত্ত্ব বলে যে বিবর্তনগত পরিবর্তনের ফলে নতুন উপ-প্রজাতির উদ্ভবের প্রক্রিয়াটি বহু লক্ষ বছর ধরে ধীর, মসৃণ ও ধ্রুব হারে ঘটে না (যার নাম [[ক্রমবিবর্তনীয় ধীরত্ব]], ইংরেজিতে Phylogenic gradualism ''ফাইলোজেনিক গ্র্যাজুয়ালিজম'')<ref>Sepkoski, David (2012). [https://books.google.com/books?id=jNfJyXKSDRcC&pg=PP8 ''Rereading the Fossil Record.''] Chicago: University of Chicago Press.</ref>, বরং মাত্র কয়েক হাজার বছরের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয় এবং এর পরে দীর্ঘকাল ধরে বিবর্তনীয় স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, যে সময় জীবদের তেমন কোনও পরিবর্তন হয় না। গুল্ডের তত্ত্ব ও তাঁর পরবর্তী কর্মগুলিকে অন্যান্য বেশ কিছু বিজ্ঞানী সমালোচনা করেছেন।
২৯ নং লাইন:
গুল্ড সাধারণ পাঠকদের জন্য ''[[ন্যাচারাল হিস্টরি]]'' সাময়িকীতে প্রায় তিনশত প্রবন্ধ লেখেন।<ref name=tatt>{{cite web| author= Tattersall I |title=Remembering Stephen Jay Gould |url= http://naturalhistorymag.com/perspectives/302413/remembering-stephen-jay-gould|work = | accessdate=June 7, 2013}}</ref> এই রচনাগুলির একাধিক সঙ্কলন বই আকারে প্রকাশিত হয়। যেমন ''এভার সিন্‌স ডারউইন'' (১৯৭৭), ''দ্য প্যান্ডাস থাম'' (১৯৮০), ''হেনস টিথ অ্যান্ড হর্সেস টোজ'' (১৯৮৩), ''আই হ্যাভ ল্যান্ডেড: দ্য এন্ড অফ আ বিগিনিং ইন ন্যাচারাল হিস্টরি'' (২০০২)। ''প্যান্ডাস থাম'' বইটির জন্য তিনি ১৯৮১ সালে [[ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড]] বা জাতীয় গ্রন্থ পুরস্কার লাভ করেন।
 
গুল্ড ১৯৮১ সালে [[ম্যাকার্থার ফেলোশিপ]] লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি [[আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস]]-এর (মার্কিন কলা ও বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি) সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি [[অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস]]-এর (মার্কিন বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি) সদস্য হন। এছাড়া তিনি প্যালিয়ন্টলজিকাল সোসাইটি (প্রত্নতাত্ত্বিকজীবাশ্মবৈজ্ঞানিক সমিতি) (১৯৮৫-৮৬), বিবর্তন গবেষণা সমিতি (১৯৯০-৯১), এবং [[আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স]] (১৯৯৯-২০০০)-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন কংগ্রেস গ্রন্থাগার তাঁকে "জীবন্ত কিংবদন্তী" (Living Legend ''লিভিং লেজেন্ড্‌'') উপাধিতে ভূষিত করে।<ref>{{cite web| author=Library of Congress |title=Living Legend: Stephen Jay Gould |url= https://www.loc.gov/about/awardshonors/livinglegends/bio/goulds.html | accessdate=June 7, 2013}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==