ব্যবহারকারী:Rezwan Khair/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ
তথ্যসূত্র যোগ
৪৭ নং লাইন:
===বিক্ষোভ===
[[File:Students Blocked Road for safe Road 10.jpg|thumb|সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ]]
বিমানবন্দর সড়কের দুর্ঘটনার পর শহীদ রমিজউদ্দিন ও নিকটবর্তী অন্যান্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দোষী বাসচালকের বিচারের দাবিতে বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং ঘাতক বাসসহ সড়কের অন্যান্য বাস ভাঙচুর করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1523786? |শিরোনাম=বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু |তারিখ=29 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/m/national/news/442541 |শিরোনাম=দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর |তারিখ=29 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ৩০ ও ৩১ জুলাই তারা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে বিমানবন্দর সড়ক, উত্তরা, মিরপুর, ধানমন্ডি ও মতিঝিলে সড়ক অবস্থান নেয় এবং রেলস্টেশন অবরোধ করে; ফলে ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে নগর অনেকাংশে স্থবির হয়ে পড়ে।<ref name=":9">{{Cite web|url=http://www.theguardian.com/world/2018/aug/03/teenagers-bring-parts-of-bangladesh-to-a-halt-with-bus-death-protests|title=Teenagers bring parts of Bangladesh to a halt with bus death protests|last=France-Presse|first=Agence|date=3 August 2018|website=the Guardian|language=en|access-date=5 August 2018}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/বিমানবন্দর-সড়ক-থেকে-অবরোধ-তুলল-শিক্ষার্থীরা-96172 |শিরোনাম=বিমানবন্দর সড়ক থেকে অবরোধ তুলল শিক্ষার্থীরা |তারিখ=30 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> পুলিশ সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পরে বাস ভাঙচুর করে। তবে তারা অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস, হজযাত্রী-বহনকারী গাড়ি ও প্রাইভেট কারকে ছেড়ে দেয়।
 
এরপর ১ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে অসংখ্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে সড়কে অবস্থান, মানববন্ধন ও অবরোধের মাধ্যমে তাদের বিক্ষোভ জানান দিতে থাকে।<ref name=":3">{{Cite web |url=http://time.com/5357019/bangladesh-student-protests-road-safety/ |title=Protesting Teens Bring Bangladesh's Capital to a Standstill |website=Time |language=en|access-date=4 August 2018}}</ref> ২রা আগস্ট সরকার সব স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটসহ দেশের ৪২টি জেলায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। "উই ওয়ান্ট জাস্টিস", "আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে" প্রভৃতি স্লোগানে ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা সড়ক মুখরিত করে রাখে।
 
[[File:Bangladesh road-safety protests 2018.jpg|থাম্ব|ডান|ছাত্রদের নিয়েন্ত্রণে ঢাকার সড়ক]]
বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিকও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।  তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ি আটকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে; লাইসেন্সহীন চালক ও চলার অনুপযোগী গাড়িসমূহ ধরে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ও তাদের মামলা নিতে বাধ্য করে। শিক্ষার্থীরা লাইসেন্স না থাকায় ও ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারক, পুলিশের ডিআইজি প্রমুখ সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে দেয়। পথচারীদের ট্রাফিক নিয়ম মানানো এবং স্থানবিশেষে রাস্তা পরিষ্কার ও সংস্কারও করতে দেখা যায় তাদের। সড়কে গাড়িগুলোকে তারা লেন অনুসারে চালনা করে এবং তৈরি করে অ্যাম্বুলেন্স/অগ্নিনির্বাপক গাড়ির জন্য ইমার্জেন্সি লেন যা ছিল বাংলাদেশে এই প্রথম। সাধারণ মানুষ তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে এবং ট্রাফিক নিয়েন্ত্রণে পুলিশ তাদের সহায়তাওসহায়তা করে।করে; অনেকস্থানে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফুল ও চকলেট বিনিময় হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547066/ফুল-দিল-শিক্ষার্থীরা-চকলেট-দিল-পুলিশ |শিরোনাম=ফুল দিল শিক্ষার্থীরা, চকলেট দিল পুলিশ |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> এর মাঝে ১লা আগস্ট [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] ও [[শাবিপ্রবি|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সমর্থনে মানববন্ধন করে। ক্রমে ক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং [[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থসাউথ]], ইস্টওয়েস্ট, [[ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ|ইন্ডিপেন্ডেড বিশ্ববিদ্যালয়]]সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়<ref group=note>যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সমর্থনে অবরোধ, মানববন্ধন বা ক্লাস বর্জনের মাধ্যমে বিক্ষোভ করার সংবাদ পাওয়া যায়: ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; বুয়েট, কুয়েট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; শাহজালাল, নোয়াখালী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ; নর্থ সাউথ, ইস্টওয়েস্ট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ব্র্যাক, নর্দার্ন, নর্থ ওয়েস্টার্ন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়; যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।</ref> ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধন, ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আন্দোলনে অংশ নেয়। চলচ্চিত্রাভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনসহ অন্যান্য নাগরিক সংগঠনগুলোও আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধন করে।করে; শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা সম্মতির পাশাপাশি রাস্তায়ও নেমেও সমর্থন জানান।<ref>{{Cite news |url=http://www.theindependentbd.com/post/160741 |title=People stand in solidarity with students’ protests |last=Independent |first=The |work=People stand in solidarity with students’ protests {{!}} theindependentbd.com|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name="nagorik">{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/guardians-join-protesting-students-demand-safe-road-in-dhaka-bangladesh-1614931 |title=Guardians express solidarity with protesting students |date=2 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref>
 
সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নিয়েছে জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলে; কিন্তু তারা দাবিসমূহ বাস্তবায়ন শুরু না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547341/আশ্বাস-নয়-দাবির-বাস্তবায়ন-চায়-শিক্ষার্থীরা |শিরোনাম=আশ্বাস নয় দাবির বাস্তবায়ন চায় শিক্ষার্থীরা |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> এদিকে ২, ৪, ৫ ও ৬ তারিখ ছাত্রলীগসহ সরকার-সমর্থক বলে অভিযুক্ত যুবকেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সংবাদ-সংগ্রহে-যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে; সেসব সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক জন আহত হন; পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের প্রতি নির্বিকার থাকলেও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ, কাঁদানেগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। আন্দোলনকারীদের ওপর এরূপ হামলার প্রতিবাদে ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল করে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সকালে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং রাতে মশাল মিছিল করে সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি<ref group=note>জাবি শিক্ষার্থীদের ৮ দফা: কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মঘন্টা ও বেতন নির্ধারণ, নৌমন্ত্রীর অপসারণ, 'জাবালে নূর'-এর রোড পারমিট বাতিল, বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড, জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা</ref> তুলে ধরে।
৭৫ নং লাইন:
 
==শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও ধরপাকড়==
আন্দোলন চলাকালীন সরকারের সমর্থকগণ, যারা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ]], [[যুবলীগ]] ও শ্রমিকলীগের কর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে এবং প্রায় ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।<ref name=":0">{{Cite web |url=https://www.washingtonpost.com/world/asia_pacific/mass-protests-over-traffic-deaths-paralyze-dhaka-for-5-days/2018/08/03/3661f818-9780-11e8-818b-e9b7348cd87d_story.html |title=Scores injured in traffic protests in Bangladesh capital |website=Washington Post |language=en|access-date=4 August 2018}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.rappler.com/world/regions/south-central-asia/208845-bangladesh-teens-road-safety-protest|title=115 students injured in clashes as Bangladesh teen protests turn violent|work=Rappler|access-date=4 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{Cite web|url=https://www.aljazeera.com/news/2018/08/dozens-students-injured-bangladesh-road-safety-protests-180804153224074.html|title=Dozens of students injured in Bangladesh road safety protests|website=www.aljazeera.com|access-date=5 August 2018}}</ref> প্রথমদিকে ছাত্রলীগ আন্দোলনে সমর্থন জানায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546931/শাহবাগে-শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-ছাত্রলীগের-সংহতি |শিরোনাম=শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংহতি |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=প্রথম আলো |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=4 জানুয়ারি 2019}}</ref> কোনো কোনো জেলায় ছাত্রলীগকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নেমে সংহতি প্রকাশ করে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.channelionline.com/নিরাপদ-সড়কের-দাবিতে-ঢাবি/ |শিরোনাম=নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাবিতে ছাত্রলীগের মৌন মিছিল |তারিখ=2 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=channelionline.com |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/201808051219-shabita-strikes-in-protest-against-attacks-on-students |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=Priyo.com |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ও আলোচনার চেষ্টা চালায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://samakal.com/todays-print-edition/tp-last-page/article/1808969/চকলেট-দিয়ে-ছাত্রলীগ-নেতারা-পেলেন-চিপস |শিরোনাম=চকলেট দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা পেলেন চিপস |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[সমকাল]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝানোর দায়িত্ব দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.bd-pratidin.com/national/2018/08/01/349802 |শিরোনাম=আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের 'বোঝাতে' ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী |তারিখ=1 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=বাংলাদেশ প্রতিদিন |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=4 জানুয়ারি 2019}}</ref> পরে ২ আগস্ট থেকে ক্রমাগতভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হেলমেট পরে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায়; গণমাধ্যমে তাদেরকে 'হেলমেটবাহিনী' বলে আখ্যায়িত করা হতে থাকে। অন্যদিকে পুলিশের মুখপাত্রগণ শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তা ছেড়ে যেতে আহ্বান করে। দুর্ঘটনার পরদিন থেকে জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে তারা সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে এবং তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি চালায়; প্রায় একশত আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার হয়। তবে সরকারি দলের কর্মীরা পুলিশের সাথে থেকে আক্রমণ চালালেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকে।<ref name=":47"></ref>
 
২রা আগস্ট পুলিশের বৈঠকে আন্দোলন সামলাতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546836/আন্দোলন-নিয়ন্ত্রণে-ছাত্রনেতাদের-সঙ্গে-চায়-পুলিশ |শিরোনাম=আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে চায় পুলিশ |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> সেদিন মিরপুরের সংঘর্ষে<ref group=note>২রা আগস্ট বিকালে মিরপুর ১৪-তে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে থাকা ইউনিফর্মবিহীন কিছু তরুণ সেখানকার পুলিশ লাইনে ঢিল ছোঁড়ে এবং গেটে ভাঙচুর করে; এরপর পুলিশ এবং তাদের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে একদল যুবক ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে; এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা সেসবের ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলে বাধা দেয়।</ref> পুলিশের পাশাপাশি হেলমেটপরা ও লাঠিসোটাসজ্জিত যুবকেরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এবং ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে বাধা দেয়। ৩ আগস্ট ধানমন্ডিতে আন্দোলনের ভিডিও ধারণ করায় কিছু দুর্বৃত্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম প্রিয় ডটকমের সাংবাদিক প্রদীপ দাসকে মারধোর করে এবং পরে প্রিয় ডটকমের অফিসে ভাঙচুর করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.jugantor.com/national/76831/শিক্ষার্থীদের-ওপর-হামলার-ভিডিও-করায়-প্রিয়.কমের-অফিসে-হামলা |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয়.কমের অফিসে হামলা |তারিখ=3 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=যুগান্তর |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.dailynayadiganta.com/more-news/338533/শিক্ষার্থীদের-ওপর-হামলার-ভিডিও-করায়-প্রিয়-ডট-কমের-অফিসে-হামলা |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয় ডট কমের অফিসে হামলা |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=নয়াদিগন্ত |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref>
৮১ নং লাইন:
৪ আগস্ট জিগাতলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী এবং পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে প্রায় শখানেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়।<ref group=note>৪ আগস্ট সকাল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা জিগাতলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরে খবর ছড়ায় যে সেখানে তারা ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করেছে এবং কয়েকজনকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও খুন করেছে; এ খবরে অন্যান্য স্থান থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গিয়ে সেখানে জড়ো হলে ছাত্রলীগ কর্মীরা, যাদের বড় অংশ ছিল হেলমেট-পরিহিত ও লাঠি, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত, ছাত্রদের ধাওয়া দেয়, এক যুবককে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়, এবং ছাত্রদের থেকে পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। সন্ধ্যায় ছাত্রদের একটি দল পুলিশসহ আওয়ামী দীগ কার্যালয় ঘুরে দেখে জানায় ধর্ষণ-খুন বা চোখ তুলে ফেলার খবর অসত্য। সারাদিনে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের মধ্যে ৪০-৪৫ জন নিকটস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। আওয়ামী লীগ তাদের ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানায়।</ref> এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও ঢাকার মিরপুরেও তারা আন্দোলনরত কয়েকশো শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে।<ref name="jigatola"></ref> জিগাতলায় ছাত্রলীগ কর্মীরা [[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] সংবাদপত্রের ৩ জন সাংবাদিককে পেটায় এবং একজন নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানি করে।<ref name=":4">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/frontpage/2-the-daily-star-journalists-assaulted-1616086|title=4 Daily Star journalists assaulted|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন যে তাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে,<ref name=":5">{{Cite news|url=https://www.bbc.co.uk/news/world-asia-45069935|title=Bangladesh teens attacked during protest|date=4 August 2018|work=BBC News|access-date=4 August 2018|language=en-GB}}</ref> মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে<ref name=":4" /> এবং চলমান সহিংসতার ভিডিও ফোন থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে।<ref name="jigatola">{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547396/ঝিগাতলা-মিরপুরসহ-সারা-দেশে-গতকাল-যা-ঘটেছিল|title=জিগাতলা, মিরপুরসহ সারা দেশে যা ঘটেছিল|work=প্রথম আলো|access-date=5 August 2018|language=bn}}</ref>
 
পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ব্যাটন ব্যবহার করে এবং অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়।<ref name="auto">{{Citation|last=(www.dw.com)|first=Deutsche Welle|title=Bangladesh students injured as police clash with road safety protesters {{!}} DW {{!}} 4 August 2018|url=https://www.dw.com/en/bangladesh-students-injured-as-police-clash-with-road-safety-protesters/a-44953829|language=en|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name=":6">{{Cite news|url=https://www.ctvnews.ca/world/many-injured-as-police-protesters-clash-in-bangladesh-1.4040839|title=Many injured as police, protesters clash in Bangladesh|last=Alam|first=Julhas|date=4 August 2018|work=CTVNews|access-date=5 August 2018|language=en-CA}}</ref> তবে পুলিশ এবং সড়কমন্ত্রী [[ওবায়দুল কাদের]] আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।<ref name="auto" /> আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষনেতা বলেন যে কিছু সন্ত্রাসী স্কুল ইউনিফর্ম পরে সহিংস কাজ করছে; তবে তিনি প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন।<ref name=":6" /> সেদিন রাতে মোটরসাইকেল-আরোহী একদল সশস্ত্র লোক বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা করে; তবে কেউ হতাহত হননি।।<ref name=":10">{{Cite news|url=https://www.nytimes.com/aponline/2018/08/05/world/asia/ap-as-bangladesh-transportation-chaos.html|title=Student Protests Surge in Bangladesh Capital|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref> এরপর তারা নাগরিক সংগঠন 'সুজন'-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও আক্রমণ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=htteshttps://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547376/সুজন-সম্পাদক-বদিউল-আলম-মজুমদারের-বাড়িতে-রাতে-হামলা |শিরোনাম=সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে রাতে হামলা |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে পুলিশ ও তাদের সাথে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/জিগাতলায়-শিক্ষার্থীদের-ওপর-কাঁদানে-গ্যাস-96385|title=জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস|date=5 August 2018|work=দ্যা ডেইলি স্টার বাংলা|access-date=5 August 2018|language=bn}}</ref> ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে বৃদ্ধ ও নারী পথচারীসহ প্রায় 30 জন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন, যার মধ্য [[অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস]], দৈনিক বণিক বার্তা ও [[যুগান্তর|যুগান্তরের]] ফটোজার্নালিস্টসহ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোজার্নালিস্টও ছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547791/সাংবাদিকদের-বেধড়ক-মার |শিরোনাম=সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref name=":15">{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2018/08/13/igp-db-working-to-identify-attackers-of-journalists|title=IGP: DB working to identify the attackers of journalists|date=2018-08-13|work=Dhaka Tribune|access-date=2018-08-13|language=en-US}}</ref><ref name=":10" /> আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের ঠেকানোর কোনো চেষ্টা না করে শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।<ref name=":15" /><ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/5-photojournalists-hurt-in-bcl-men-attack-science-lab-dhaka-student-protest-for-safe-roads-1616251|title=5 photojournalists hurt in ‘BCL attack’|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং হুমকি দেয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/students-take-streets-science-lab-intersection-dhaka-safe-roads-demand-contal-traffic-for-8th-day-1616215|title=Several hurt as AL men attack protesters|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547816/ধানমন্ডিতে-দু-ঘণ্টার-‘ঝড়ে’-আহত-অর্ধশত |শিরোনাম=ধানমন্ডিতে দুই ঘণ্টার ‘ঝড়ে’ আহত অর্ধশত |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1548116/হাম |শিরোনাম=হামলায় ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা–কর্মী অংশ নেন |তারিখ=6 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref name="police">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1567238/নয়াপল্টনে-পুলিশ-সফল-ধানমন্ডিতে-নীরব?fbclid=IwAR1hY9BnGW_C0bWjiR17fqD5heAgcJJkFWt2rBxkVv1ouUyn6SDhXLoT_qk |শিরোনাম=নয়াপল্টনে পুলিশ সফল ধানমন্ডিতে নীরব |তারিখ= 28 নভেম্বর ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
[[File:Shahidul Alam May 2009 Malaysia.jpg|thumb|259x259px|আল জাজিরাতে আন্দোলন নিয়ে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর আলোকচিত্রী [[শহিদুল আলম|শহিদুল আলমকে]] গ্রেপ্তার করা হয়।]]
৯০ নং লাইন:
৬ আগস্ট [[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ সাউথ]], [[ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ|ইন্ডিপেন্ডেন্ট]], ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে; অন্যূন ৪০ ছাত্র আহত ও শতাধিক জনকে আটক করা হয়, তন্মধ্যে ২২ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।<ref group=note>৬ আগস্ট নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং ও হেলমেট-পরা যুবকেরা হামলা করে; পুলিশ জলকামান ও সাঁজোয়া যানসহ ধাওয়া করে, কয়েকশো কাঁদানে গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে এবং লাঠিপেটা করে। নিকটস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে নর্থ সাউথের ৪০ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেয়; কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।</ref><ref>{{Cite news|url=http://unb.com.bd/bangladesh-news/EW-NSU-students-clash-with-cops-attackers/77143|title=Aftabnagar, Bashundhara turn volatile amid attacks on students|last=News|first=United|work=unb.com.bd|access-date=6 August 2018|language=en-US}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.kansascity.com/news/nation-world/article216150300.html|title=Violence continues in Bangladesh capital as students protest|work=kansascity|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1548176/ইস্ট-ওয়েস্টের-শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-পুলিশের |শিরোনাম=ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া |তারিখ=6 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ১১ জনকে আটক করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.jugantor.com/campus/77740/আহছানউল্লাহ-ইউনিভার্সিটিতে-বিক্ষোভ-১১-শিক্ষার্থী-আটক |শিরোনাম=আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ, ১১ শিক্ষার্থী আটক |তারিখ=6 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক যুগান্তর]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref>
 
৬ আগস্ট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেনদাবি করেন যে "ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ কাউকে নখের আঁচড়ও মারেনি।"<ref>{{Cite তিনিnews|url=https://samakal.com/politics/article/1808308/কাউকে-নখের-আঁচড়ও-মারেনি’?fbclid=IwAR24u5WsxZ0d2cysnL6UKBOvL7kOdwIoPDerGTMzhrFBn3w71keZXiCnoRw দাবি|title=ছাত্রলীগ করেনকাউকে যেনখের আঁচড়ও মারেনি |date=6 August 2018 |work=সমকাল |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref> তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট অস্ত্রসজ্জিত স্কুলড্রেস-পরিহিতরাই ছাত্রলীগের ওপর আক্রমণ করে; ছাত্রদের ব্যাগে পাথর ও রিভলবার ছিল; এবং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন।<ref>{{Cite news|url=https://samakalwww.dailyinqilab.com/politics/article/1808308146318/ছাত্রলীগ-কাউকে-নখের-আঁচড়ও-মারেনি’?fbclid=IwAR24u5WsxZ0d2cysnL6UKBOvL7kOdwIoPDerGTMzhrFBn3w71keZXiCnoRwমারেনি-গোলাম-রাব্বানী |title=ছাত্রলীগ কাউকে নখের আঁচড়ও মারেনি : গোলাম রাব্বানী |date=68 August 2018 |work=সমকালইনকিলাব |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.jugantor.com/politics/79977/ছাত্রলীগ-মিডিয়া-সন্ত্রাসের-শিকার-সাধারণ-সম্পাদক-[ভিডিও] |title=ছাত্রলীগ মিডিয়া সন্ত্রাসের শিকার: সাধারণ সম্পাদক [ভিডিও] |date=12 August 2018 |work=যুগান্তর |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref>
 
১০ আগস্ট পুলিশপ্রধান [[মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী|জাবেদ পাটোয়ারী]] "ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ সহনশীল ছিল" এবং আন্দোলনে উসকানিদাতা ও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানান।<ref>{{Cite news|url=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/last-page/2018/08/11/294620.html |title=ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে :আইজিপি |date=11 August 2018 |work=ইত্তেফাক |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref> পুলিশ আন্দোলনকারী এবং আন্দোলনে সহায়তা, সহিংসতা, উসকানি, খাবার সরবরাহ, গাড়ি ভাঙচুর, অপপ্রচার প্রভৃতি অভিযোগে ৫১টি মামলায় শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীসহ ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।<ref>{{Cite news|url=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1553805/ছাত্র-আন্দোলনে-উসকানি-৫১-মামলায়-গ্রেপ্তার-৯৭ |title=ছাত্র আন্দোলনে উসকানি, ৫১ মামলায় গ্রেপ্তার ৯৭ |date=15 August 2018|work=প্রথম আলো|access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref> মামলাগুলোতে প্রায় ৫০০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।<ref>{{Cite news|url=http://www.newagebd.net/article/48495/100-students-arrested-5000-unnamed-prosecuted-in-52-cases-in-dhaka?fbclid=IwAR1nFoGyBBbO0Kiegi3LSx1xh5-85V66hk551UZ9dYxxsrj93ZORw59Vkgo |title=100 students arrested, 5,000 unnamed prosecuted in 52 cases in Dhaka |date=15 August 2018 |work=Newagebd.net |access-date=30 December 2018}}</ref> এছাড়া শাহবাগ ও তেজগাঁওয়ে ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে আটকের পর আন্দোলনকারীরা থানা ঘেরাও করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/78179/থানা-ঘেরাও-চাপে-মুক্ত-৮৮-শিক্ষার্থী?fbclid=IwAR0BSxG7TehheTPMeg7nOmB2XH9mW38QWpcFX906r5Mp3RUYLp_3yckWaPc |title=থানা ঘেরাও, চাপে মুক্ত ৮৮ শিক্ষার্থী |date=8 August 2018|work=যুগান্তর |access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref> তবে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।<ref name=":47">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/news/city/22-private-university-students-remanded-for-vandalism-attacks-on-police-1617301|title=Students sued, not attackers|date=8 August 2018|work=The Daily Star|access-date=9 August 2018|language=en}}</ref><ref name="police"></ref> ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ জন জামিনে মুক্ত হন।<ref>{{Cite news|url=https://www.bbc.com/bengali/news-45288499 |title=বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: শিক্ষার্থীরা মুক্তি পেলেও মামলা থাকায় শঙ্কা |date=23 August 2018|work=বিবিসি বাংলা|access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref>
 
==প্রতিক্রিয়া==
৯৮ নং লাইন:
২রা আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন বন্ধ করে স্কুলে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [[আসাদুজ্জামান খান কামাল]]।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/politics/pm-sheikh-hasina-calls-safe-roads-demanding-students-return-their-classes-home-minister-1615027|title=PM calls upon students to return to their classes: Kamal |date=2 August 2018|work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref> ৫ আগস্ট গণভবনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547511/যাচাই-না-করে-বিশ্বাস-করবেন-না-প্রধানমন্ত্রী |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.bbc.com/bengali/news-45076780 |title=বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |work=bbc.com |access-date=5 August 2018 |language=bn}}</ref> পরে ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভায় তিনি "শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলনই করতে পারেনি" বলে মন্তব্য করেন। "আন্দোলন মানে রোদে পুড়বে, বৃষ্টিতে ভিজবে। (এই আন্দোলনে) এমন কিছু ঘটেনি" বলে মন্ত্রীদেরকে তিনি বিচলিত না হতে আহ্বান করেন।<ref>{{Cite news|url=http://www.dailynayadiganta.com/politics/339261/ফেসবুক-একটা-সমস্যাই-প্রধানমন্ত্রী |title=ফেসবুক একটা সমস্যাই: প্রধানমন্ত্রী|work=নয়াদিগন্ত|access-date=6 August 2018|language=bn}}</ref>
 
২ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।<ref name=":3" /><ref name=":7">{{Cite news |url=https://bdnews24.com/bangladesh/2018/08/02/students-continue-street-protests-for-fifth-day |title=Students continue street protests for fifth day|access-date=2 August 2018}}</ref><ref name=":9" /> শিক্ষামন্ত্রী [[নুরুল ইসলাম নাহিদ]] বলেন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।<ref name=":8">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/schools-colleges-shut-tomorrow-education-ministry-nurul-islam-nahid-1614484|title=Schools, colleges shut tomorrow: Ministry|date=1 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> [[ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ|ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের]] সাইবার ক্রাইম ইউনিট ২৯ ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কিত খবর ও মিডিয়া প্রচারের অভিযোগে মামলা করে।<ref>{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547311/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C|title=আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে পুলিশের মামলা|work=প্রথম আলো|access-date=10 August 2018|language=bn}}</ref> বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল [[একাত্তর টিভি]] ও নিউজ২৪ ছাত্র আন্দোলনের খবর ও ভিডিও সম্প্রচারের পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।<ref>{{Cite news|url=https://bangla.bdnews24.com/media-enbangladesh/2018/08/04/govt-warns-ekattor-tv-on-its-coverage-of-student-protestsarticle1526219.bdnews |title=Govtটেলিভিশনগুলোকে warnsসরকারের Ekattorসতর্কতা TV|work=Bdnews24.com on|date=4 itsAugust coverage of student2018 protests|access-date=107 AugustJanuary 20182019}}</ref>
 
৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে বাসদুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে অনুদান এবং শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজকে ৫টি স্কুলবাস দেয়া হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/families-road-crash-victims-meet-pm-receive-financial-assistance-1614913|title=Dia's father urges students to go home|date=3 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref>