এ্যানেট সুসানা এ্যাক্রয়েড বেভারীজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
+
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
+
১৭ নং লাইন:
 
==প্রাথমিক জীবন==
তিনি [[ইংল্যান্ডের]] [[ওরচেস্টারশায়ারের]] [[স্টাউরব্রীজের]] একটি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ্যানেট তাঁর যুগে মেয়েদের জন্য লভ্য শিক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। তিনি [[১৮৬০]] সাল থেকে [[১৮৬৩]] সাল পর্যন্ত লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজে লেখাপড়া করেন। শিক্ষা গ্রহণের শেষে তিনি কিছুদিন কাজ করেন। এ সময় তিনি [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডে]] [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার নারী শিক্ষা উন্নয়নের জন্য [[১৮৭৩]] সালে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।<ref name = "Banglapedia"/> পরবর্তীসময়ে তিনি বিখ্যাত বঙ্গীয় ব্রাহ্ম সংস্কারকের সাথে কলহে জড়িয়ে পড়েন এবং জনজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। [[১৮৭৩]] সালের নভেম্বর মাসে তাঁর প্রচেষ্টার ফলে কলকাতায় ১২ জন ছাত্রী নিয়ে [[হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়]](পরবর্তীতে নাম হয় [[বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় ]])প্রতিষ্ঠিত হয়। এ্যানেটের কঠোর তত্ত্বাবধানে স্কুলটি পশ্চিমা ধঁাচে পরিচালিত হচ্ছিল। [[১৮৭৫]] সালের [[৬ এপ্রিল]] এ্যানেট তাঁর পরিকল্পনায় হতাশ হয়ে বারাসাতে কর্মরত আই.সি.এস সদস্য [[হেনরী বেভারীজ|হেনরী বেভারীজকে]] বিয়ে করেন এবং স্কুলটির প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রগতিশীল ব্রাহ্ম সমাজের কাছে হস্তান্তর করেন। স্কুলটি কিছুদিন বন্ধ থাকার পর [[১৮৭৬]] সালে বাংলা মহিলা বিদ্যালয় নামে পুনরায় চালু হয়। [[১৮৭৮]] সাল নাগাদ [[বেথুন কলেজ]] প্রতিষ্ঠার জন্য স্কুলটিকে [[বেথুন স্কুল|বেথুন স্কুলের]] সাথে সংযুক্ত করা হয়।তাঁর বিয়ের পর বাংলা নারী শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন একজন যোগ্য নেতৃত্ব হারায়। এ্যানেট একজন জেলা জজের স্ত্রী হিসেবে সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত জীবন কাটালেও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ মর্যাদায় তিনি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ও বিহারে ভ্রমণ করে সময় কাটান।
 
==ভারতের প্রতি আগ্রহ==
 
==নারী শিক্ষা সংস্কার==
পরবর্তীসময়ে তিনি বিখ্যাত বঙ্গীয় ব্রাহ্ম সংস্কারকের সাথে কলহে জড়িয়ে পড়েন এবং জনজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। [[১৮৭৩]] সালের নভেম্বর মাসে তাঁর প্রচেষ্টার ফলে কলকাতায় ১২ জন ছাত্রী নিয়ে [[হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়]](পরবর্তীতে নাম হয় [[বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় ]])প্রতিষ্ঠিত হয়। এ্যানেটের কঠোর তত্ত্বাবধানে স্কুলটি পশ্চিমা ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছিল। [[১৮৭৫]] সালের [[৬ এপ্রিল]] এ্যানেট তাঁর পরিকল্পনায় হতাশ হয়ে বারাসাতে কর্মরত আই.সি.এস সদস্য [[হেনরী বেভারীজ|হেনরী বেভারীজকে]] বিয়ে করেন এবং স্কুলটির প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রগতিশীল ব্রাহ্ম সমাজের কাছে হস্তান্তর করেন। স্কুলটি কিছুদিন বন্ধ থাকার পর [[১৮৭৬]] সালে বাংলা মহিলা বিদ্যালয় নামে পুনরায় চালু হয়। [[১৮৭৮]] সাল নাগাদ [[বেথুন কলেজ]] প্রতিষ্ঠার জন্য স্কুলটিকে [[বেথুন স্কুল|বেথুন স্কুলের]] সাথে সংযুক্ত করা হয়।তাঁর বিয়ের পর বাংলা নারী শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন একজন যোগ্য নেতৃত্ব হারায়। এ্যানেট একজন জেলা জজের স্ত্রী হিসেবে সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত জীবন কাটালেও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ মর্যাদায় তিনি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ও বিহারে ভ্রমণ করে সময় কাটান।
 
==প্রাচ্যবিশারদ==
মধ্যযুগীয় ভারতীয় গ্রন্থাবলির নির্ভরযোগ্য ইংরেজি অনুবাদ ছিল এ্যানেটের স্থায়ী অবদান। জীবনের শেষভাগে তিনি ফারসি ও তুর্কি ভাষা শিখতে শুরু করেন এবং প্রাচ্য ভাষা গবেষণার জগতে প্রবেশ করেন; এক্ষেত্রে তাঁর স্বামী একজন সহযোদ্ধা ও সঙ্গী ছিলেন। তিনি একজন স্বীকৃত প্রাচ্য ভাষাবিদ এবং ফারসি ও তুর্কি ভাষায় লিখিত গ্রন্থাবলির অনুবাদক ছিলেন। এ অনুবাদগুলির মধ্যে ছিল [[গুলবদন বেগমের]] [[হুমায়ুননামা]] এবং [[বাবুরনামার]] নতুন অনুবাদ। এ অনুবাদগুলিকে পাণ্ডিত্যপূর্ণ অনুবাদ বলে গণ্য করা হয়। রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল এ্যানেট তৎকালীন ইংল্যান্ডে বিকাশমান নারী ভোটাধিকার আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি পিটফোর্ডের নারী ভোটাধিকার বিরোধী দলের সেক্রেটারি ছিলেন।<ref name = "Banglapedia"/> এ্যানেট তাঁর সুবিখ্যাত পুত্র [[উইলিয়ম বেভারীজ|লর্ড উইলিয়ম বেভারীজের]] লন্ডনের বাড়িতে বৃদ্ধা অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বেভারীজ তাদের নিজস্ব চিঠিপত্রের সমৃদ্ধ সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করে রচিত পিতা-মাতার জীবনী ইনিন্ডয়া কল্ড দেম-এ এ্যানেট ও হেনরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।<ref >{{cite web | url = http://www.tribuneindia.com/2005/20050508/spectrum/main1.htm | title = Frozen Frames | accessdate = 2007-04-19 | last =Karlekar | first = Malavika | work = Spectrum | publisher = ''The Tribune'', 8 May 2005 }}</ref>