ক্ষেপণাস্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৭ নং লাইন:
====আন্টি এয়ারক্রাফট====
====আন্টি ব্যালিস্টিক====
===এয়ার টু এয়ার===
 
==হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র==
রাশিয়া নতুন এক ধরণের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে। রাশিয়ার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নাম আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চলে শব্দের চেয়ে বিশগুণ বেশি গতিতে। রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, "এটি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে গিয়ে হামলা করতে সক্ষম এবং একে ঠেকানোর মতো প্রযুক্তি এখনো পর্যন্ত কারও হাতে নেই।"
 
==পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ==
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের উরাল পর্বতমালা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়, এরপর এটি গিয়ে আঘাত করে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণকে তাঁর দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং তার দেশের জন্য অনেক বড় ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, "এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পুরোপুরি সফল হয়েছে। এটির যে কারিগরি এবং কৌশলগত সব বৈশিষ্ট্য, তার সবই এই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।" রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসভ দাবি করেন, পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি ছিল ঘন্টায় প্রায় ৩৩ হাজার ২০২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।
 
==ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পার্থক্য==
ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পল ইংগ্রাম ব্যাখ্যা করে বলেন, "এখন যে ধরণের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রচলিত, সেগুলো ছোঁড়া হয় রকেটের মতো। ফলে একবার উৎক্ষেপন করার পর এর সম্ভাব্য গতিপথ মোটামুটি অনুমান করা যায়। শত্রুপক্ষ তখন সে অনুযায়ী তাদের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু হাইপারসনিক মিসাইলের প্রযুক্তি একেবারেই ভিন্ন ধরণের। এটি উৎক্ষেপনের পর খুব দ্রুত উপরে উঠে যায়। তারপর আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে এটি বায়ুমন্ডলের মধ্যেই চলতে থাকে। চলমান অবস্থাতেও এর গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। তার মানে হচ্ছে এটি কোন দিকে যাবে আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। ফলে এটি মাঝপথে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।"
প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সফল পরীক্ষার পর এতটাই উচ্ছ্বসিত যে, তিনি রুশ ব্যবসায়ীদের নাকি বলেছেন, এখন আর রাশিয়াকে হুমকি দেয়ার মতো কোন শক্তি বিশ্বে নেই। ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পল ইংগ্রাম বলেন, "রাশিয়ার দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখন পুরোপুরি সেকেলে অস্ত্রে পরিণত হলো।" <ref name>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম=রাশিয়ার নতুন হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে বদলে দিতে পারে বিশ্বে সামরিক শক্তির ভারসাম্য | ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-46701605 | ওয়েবসাইট= বিবিসি বাংলা | সংগ্রহের-তারিখ=২৮ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==