জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎সামাজিক ভূমিকা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎মুগল যুগ: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৩২ নং লাইন:
মুগল শাসকদের অধীনে জমিদাররা যত না রাজস্ব সংগ্রাহক প্রতিনিধি ছিলেন তার চেয়েও বেশি ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা বা রাজপুরুষ। জমিদারি তখন উত্তরাধিকারসূত্রে বহাল রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও জমিদারদের কিন্তু তাদের তালুকের স্বত্বাধিকারী বলে বিবেচনা করা হতো না। তখন জমিদারি তালুকগুলি কখনও জমিদারদের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিভাজনযোগ্য কিংবা কারও কাছে হস্তান্তরযোগ্য ছিল না। আর সে কারণে মুগল আমলে উত্তরাধিকারসূত্রে কেউ জমিদারি পেতো না। তবে মৃত জমিদারের উত্তরাধিকারী সরকারের কাছ থেকে নতুন সনদসূত্রে জমিদারি পেতে পারত। এ ধরনের সনদ অবশ্য সরকার বরাবরই বাতিল বা বাজেয়াপ্ত করার অধিকারী ছিলেন। সনদ ছিল জমিদারের জন্য অলঙ্ঘনীয় কিছু অধিকার ও দায়িত্বাবলির এক ঘোষণাপত্র। জমিদার তার স্ব-মর্যাদায় বহাল থাকতেন তার সু আচরণের সুবাদে, কোন অধিকারবলে নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বৈধ কর্তৃপক্ষের অবাধ্যতা কিংবা কোন চক্রান্তে কিছু না ঘটলে, নিয়মিতভাবে রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রের কাছে জমিদারের অধিকার আপনা-আপনি লুপ্ত হতো না। প্রাকৃতিক দুর্বিপাক বা নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্যকোন কারণে রায়তগণ রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে যেকোন জমিদার সরকারের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাইতে পারতেন।
 
মুগল সরকারের স্বার্থে জমিদারগণ সহযোগিতা ও সেবা প্রদান করলেও, এই দুই পক্ষের মধ্যে সহজাত সংঘাত অমীমাংসিতই থেকে যায়। আওরঙ্গজেবের (১৭০৭) মৃত্যুর পর মুগল কেন্দ্রীয় শক্তির অবক্ষয় দেখা দিলে রাজপ্রতিনিধিত্বের তথা মসনদের উত্তরাাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা দেয়। একই সময়ে বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে কোম্পানির অভু্যদয়েঅভ্যুদয়ে নবাবের দরবারে বিভিন্ন পক্ষের কোন্দল-কলহের কারণে জমিদারদের ওপর নবাবের নির্ভরশীলতা আরও বেড়ে যায়। উদীয়মান অর্থলগ্নিকার তথা ব্যাংকিং শ্রেণী ও [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র সঙ্গে যোগসাজশক্রমে বড় জমিদারগণ রাজনীতির মূলধারায় প্রবেশ করেন আর নবাবির জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগীর পক্ষাবলম্বন করেন। এভাবে দেশের আর্থ-রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় জমিদারদের ভূমিকা গভীর প্রভাব ফেলে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির সম্মিলিত কারণে ১৭৬৫ সালে কোম্পানির কাছে দেওয়ানি (রাজস্ব কর্তৃপক্ষীয় ক্ষমতা) হস্তান্তর অবধি জমিদারদের ক্ষমতা বাড়তে থাকে।
 
=== ঔপনিবেশিক আমল ===