দারুস সালাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭২ নং লাইন:
 
দারুস সালাম শুধু একটি নগরী নয়, এটি তানজানিয়ার ৩১টি প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে একটি। এতে ৫টি পৌর জেলা আছে: উত্তরে [[কিনোন্দোনি জেলা|কিনোন্দোনি]], কেন্দ্রে [[ইলালা জেলা|ইলালা]], দক্ষিণে [[উবোংগো]] ও [[তেমেকে]] এবং পূর্বে [[কুরাসিনি]] খাঁড়ির অপর পাড়ে [[কিগাম্বোনি]] জেলা। দারুস সালাম প্রশাসনিক অঞ্চলটিতে ২০১২ সালের জনগণনা অনুযায়ী প্রায় ৪৪ লক্ষ লোকের বাস।<ref name="2012 census">[http://www.nbs.go.tz/sensa/PDF/Census%20General%20Report%20-%2029%20March%202013_Combined_Final%20for%20Printing.pdf Population Distribution by Administrative Units, United Republic of Tanzania, 2013] {{webarchive |url=https://web.archive.org/web/20130502230453/http://www.nbs.go.tz/sensa/PDF/Census%20General%20Report%20-%2029%20March%202013_Combined_Final%
20for%20Printing.pdf |date=May 2, 2013 }}</ref>{{rp|2}} ২০২০ সাল নাগাদ এর জনসংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়ে যাবে। এটি পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম ও সমগ্র আফ্রিকার ৬ষ্ঠ বৃহত্তম পৌর অঞ্চল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীলদ্রুতবর্ধমান শহরগুলির একটি।<ref name="The Guardian - Where is the fastest growing city in the world?">{{cite web|title=Where is the fastest growing city in the world?|url=https://www.theguardian.com/cities/2015/nov/18/where-is-the-worlds-fastest-growing-city-batam-niamey-xiamen|website=theguardian.com|accessdate=21 May 2017|ref=dar es salaam population}}</ref> এই শহরের জলবায়ু উষ্ম ও আর্দ্র; এখানে বাৎসরিক ১১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
 
১৮৬২ সালে [[জাঞ্জিবার|জাঞ্জিবারের]] সুলতান তাঁর [[গ্রীষ্মকালীন নিবাস]] হিসেবে দারুস সালাম শহরটিকে প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় এখানে এমজিজিমা নামের একটি গ্রাম ছিল। এরপর বহুদিন শহরটি একটি ক্ষুদ্র সমুদ্র বন্দর ছিল। ১৮৮৭ সালে এখানে [[জার্মান পূর্ব আফ্রিকা কোম্পানি]] একটি বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে ও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে শহরটির ভাগ্য পরিবর্তন হওয়া শুরু করে ও এর কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৮৯১ সালে এটি [[জার্মান পূর্ব আফ্রিকা]] উপনিবেশের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯০৭ সালে এখান থেকে কেন্দ্রীয় রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৯১৮ সালে জার্মানি [[১ম বিশ্বযুদ্ধ|১ম বিশ্বযুদ্ধে]] পরাজয় বরণ করলে জার্মান পূর্ব আফ্রিকা উপনিবেশের পতন ঘটে। ১৯১৬ সালেই শহরটি [[ব্রিটিশ]]দের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত [[তানগানিকা অঞ্চল|তানগানিকা অঞ্চলে]]র অংশে পরিণত হয়। ১৯৪০-এর দশক থেকে আধুনিক শহর হিসেবে শহরটির প্রবৃদ্ধির সূচনা ঘটে। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এটি স্বাধীন [[তানগানিকা]] রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল। এরপর ১৯৬৪ সালে তানগানিকা ও জাঞ্জিবার একীভূত হয়ে তানজানিয়া রাষ্ট্র গঠন করলে শহরটি তানজানিয়ার রাজধানীতে পরিণত হয় ও ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এই মর্যাদা বজায় রাখে। ১৯৭৪ সালে তানজানিয়ার সরকার [[দোদোমা]] শহরকে তানজানিয়ার জাতীয় রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর পরে একাধিক দশক ধরে ধীরে ধীরে দোদোমাতে তানজানিয়ার জাতীয় সংসদ, তানজানিয়ার আইন প্রণয়ন সংস্থা ও অনেক সরকারী কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়। তা সত্ত্বেও ২১শ শতকের প্রারম্ভে এসেও তানজানিয়ার সরকারী কর্মকাণ্ড ও কার্যালয়গুলি সম্পূর্ণভাবে দোদোমাতে স্থানান্তরিত হয়নি।