আশুরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অনির্ভরযোগ্য উৎস বাতিল
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
2টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
২৪ নং লাইন:
 
=== ইমাম হুসাইন-এর শাহাদাৎ ===
হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে। তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে মদ্যপানকে বৈধ ঘোষণা করেছিল। অধিকন্তু সে একই সঙ্গে দুই সহোদরাকে বিয়ে করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসাবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। ইমাম হুসাইন এজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকৃত হন এবং ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে [[মক্কা]] চলে আসেন। মক্কা থেকে তিনি কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য [[কারবালা|কারবালায়]] প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা পর শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে তার সাথে যোগ দেয়৷ কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়। এই অসম যুদ্ধে ইমাম হুসাইন এবং তাঁর ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে। সেদিন ছিল হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহররম।<ref>[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আশুরা বিপ্লব |ইউআরএল=http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=6830&Itemid=83 আশুরা|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ বিপ্লব]ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120119102705/http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=6830&Itemid=83 |আর্কাইভের-তারিখ=১৯ জানুয়ারি ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
== ঐতিহাসিক পটভূমি==
{{মূল নিবন্ধ|কারবালার যুদ্ধ}}
এপ্রিল ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ, [[মুয়াবিয়া]] কর্তৃক ইয়াজিদকে খলিফা ঘোষণা করা হয়। [[ইয়াজিদ]] মদিনার গর্ভনরকে তাৎক্ষণিকভাবে হুসাইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনুগত্য ([[বায়াত]]) আদয়ের জন্য নিদের্শ দেয়। <ref name="Iranica">[http://ḤOSAYN%20B.%20ʿALI%20i.%20LIFE%20AND%20SIGNIFICANCE%20IN%20SHIʿISM http://www.iranicaonline.org/articles/hosayn-b-ali-i]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> কিন্তু [[হুসাইন ইবনে আলী]] তা প্রত্যাখ্যান করে। কারণ, তিনি মনে করতেন যে, ইয়াজিদ ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে এবং মুহাম্মদের সুন্নাহকে পরিবর্তন করছে। <ref name="alsunnah.ca">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.alsunnah.ca/yazid.html|শিরোনাম=Al Bidayah wa al-Nihayah|প্রকাশক=}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.alsunnah.ca/yazid.html|শিরোনাম=Al-Sawa'iq al-Muhriqah|প্রকাশক=}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> অতঃপর হুসাইন ইবনে আলী তাঁর পরিবারের সদস্য, সন্তান, ভাই এবং হাসানের পুত্রদের নিয়ে [[মদিনা]] থেকে মক্কায় চলে যান। <ref name="Iranica"/>
 
অপরদিকে কুফাবাসী যারা মুয়াবিয়ার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিল তারা চিঠির মাধ্যমে তাঁদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য হুসাইনকে অনুরোধ করেন এবং উমাইয়াদের বিপক্ষে তাঁকে সমর্থন প্রদান করে। প্রত্যুত্তরে হুসাইন চিঠির মাধ্যমে জানান যে অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য তিনি [[মুসলিম ইবনে আকীল]] কে পাঠাবেন। যদি তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে পান যেভাবে চিঠিতে বর্ণিত হয়েছে সেরুপ তবে খুবই দ্রুতই যোগ দিবেন, কারণ একজন ইমামের দায়িত্ব হচ্ছে কুরআন বর্ণিত অনুসারে কাজের আঞ্জাম দেওয়া, ন্যায়বিচার সমুন্নত করা, সত্য প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিজেকে স্রষ্টার নিকট সঁপে দেওয়া। মুসলিম ইবনে আকীলের প্রাথমিক মিশন খুবই সফল ছিল এবং ১৮০০ এর অধিক ব্যক্তি শপথ প্রদান করেছিল। কিন্তু অবস্থা ইতিমধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। [[উবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ]] কুফার নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন এবং মুসলিম ইবনে আকীলকে হত্যার নির্দেশ জারি করেন। আকীলের মৃত্যু খবর পৌঁছার আগেই হুসাইন ইবনে আলী কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করে দেন। <ref name="Iranica"/>
৪৩ নং লাইন:
 
== আশুরা উদযাপনের রীতি ==
[[ইহুদি|ইহুদিরা]] আশুরা উপলক্ষে মুহররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে। [[শিয়া]] সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে।<ref>[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=যথাযোগ্য মর্যাদায় আশুরা পালিত |ইউআরএল=http://www.iqna.ir/bn/news_detail.php?ProdID=346112 যথাযোগ্য|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ মর্যাদায়ডিসেম্বর আশুরা২০০৯ পালিত]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120127122314/http://www.iqna.ir/bn/news_detail.php?ProdID=346112 |আর্কাইভের-তারিখ=২৭ জানুয়ারি ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> আশুরা উপলক্ষে ৯ এবং ১০ মুহররম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ রোজা মুহররম তারিখে রাখা মুলমানদের জন্য [[সুন্নাত]]। এছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের জন্য চেষ্টা করে থাকে।
== সুন্নিদের দৃষ্টিভঙ্গী ==
আশুরা উপল্যক্ষে সুন্নি মুসলিমরা সাধারণত ২-৩ টি নফল রোজা রাখেন।