বাংলার নবজাগরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
temp+
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
৭ নং লাইন:
 
== সভা ও বহু সমিতি ==
নবজাগরণ ভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে [[রামমোহন রায়]] , এইচ.এল.ভি ডিরোজিও ও তাঁর বিপ্লবী শিষ্যবৃন্দ, [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও তাঁর অনুসারিগণঅনুসারীগণ, [[অক্ষয়কুমার দত্ত]] , [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] , [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত]] , [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] , [[স্বামী বিবেকানন্দ]] প্রমুখ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। রেসেসঁার এ নিবেদিত মনীষিবর্গমনীষীবর্গ যেসব পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় উজ্জীবিত হয়েছিলেন তা ছিল যুক্তিবাদ, [[মানবতাবাদ]], উপযোগবাদ, বিজ্ঞানবাদ, ব্যক্তিবাদ, দৃষ্টবাদ, ডারউইনবাদ, সমাজবাদ ও জাতীয়তাবাদ। পুনরুজ্জীবিত বাংলার চিন্তাবিদগণ [[ফ্রান্সিস বেকন]] (১৫৬১-১৬২৬), [[আইজ্যাক নিউটন]] (১৬৪২-১৭২৭), [[জেরেমি বেনথাম]] (১৭৪৮-১৮৩২), [[টমাস পেইন]] (১৭৩৭-১৮০৯), [[অগস্ত কেঁাতকোঁত]] (১৭৯৮-১৮৫৭), [[চার্লস ডারউইন]] (১৮০৯-৮২) ও [[জন স্টুয়ার্ট মিল]]-এর (১৬০৬-৭৩) মতো পাশ্চাত্যের আরও অনেক আধুনিক চিন্তাবিদ ও মনীষীর গুণগ্রাহী ও অনুসারী হয়ে ওঠেন। [[এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল]] (প্রতিষ্ঠিত, ১৭৮৪), শ্রীরামপুরের [[ব্যাপটিস্ট মিশন]] (১৮০০), [[ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ]] (১৮০০), [[হিন্দু কলেজ]] (১৮১৭), [[ক্যালকাটা স্কুলবুক সোসাইটি]] (১৮১৭), [[কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ]] (১৮৩৫), [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর (১৮৫৭) মতো প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলার নবজাগরণয়নবজাগরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে।
 
বাংলার নবজাগরণ দুই ধারায় প্রসার লাভ করে যথা, (১) ঐ সময়ে বহু সংখ্যক সংবাদপত্র ও সাময়িকী প্রকাশিত হয় এবং (২) বহু সমিতি, সংগঠন ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলি পর্যায়ক্রমে নবজাগরণর দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সংলাপ ও বিতর্কের মঞ্চ হিসেবে কাজ করে। তবে নবজাগরণরনবজাগরণের সবচেয়ে দর্শনীয় বহিঃপ্রকাশ ঘটে কতকগুলি সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এসব আন্দোলন ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক। নবজাগরণর আরও বড় ধরনের প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় যুক্তিভিত্তিক মুক্তচিন্তার সপক্ষে পরিচালিত ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনের মাধ্যমে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের উন্মেষ, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ধ্যান-ধারণার প্রসার ও বিভিন্নমুখী বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানানুসন্ধান এ সবই ছিল নবজাগরণর সুফল। বাংলার নবজাগরণ বা নবজাগরণের ফলে জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয় এবং পরবর্তী সময়ে এ জাতীয়তাবাদ দেশের পরাধীনতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
 
রামমোহন রায় একাধারে [[সংস্কৃত]], [[আরবি]], [[ফারসি]] ভাষায় সুপণ্ডিত এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ধর্মীয় গেঁাড়ামিরগোঁড়ামির প্রতিবাদে তুহফাত-উল-মুওয়াহহিদিন [একেশ্বরবাদীদের উপহার] নামে এক যুক্তিবাদী পুস্তিকা (১৮০৩-০৪) প্রকাশ করেন। পরবর্তীসময়ে তিনি সেমেটিক একেশ্বরবাদের ধারায় উপযোগবাদের সাথে যুক্তিবাদ সংযুক্ত এবং সামাজিক অন্যায় ও বুদ্ধিবৃত্তিক কূপমণ্ডূকতা দূর করার লক্ষ্যে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করেন। [[হিন্দু]] ও খ্রিষ্টানদের সঙ্গে দীর্ঘ পনেরো বছরের (১৮১৫-৩০) এক বিতর্কে তিনি তাঁর ব্রাহ্ম একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে বাহ্যত বহুঈশ্বরবাদ ও ত্রিত্ববাদকে পরাভূত করেন। তিনি সমাজিক বিচার, বিশেষ করে হিন্দু নারীমুক্তির জন্য সুদীর্ঘ শতাব্দীকালের সংগ্রামেরও সূচনা করেন। গভর্নর জেনারেল উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক এর ঔপনিবেশিক সরকার ১৮২৯ সালে স্বামীর সাথে হিন্দু নারীর সহমরণ তথা [[সতীদাহ প্রথা]] বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। রামমোহন রায় এ বিষয়ে সরকারের আইন পাসে সহায়তা করেন। রামমোহন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা নীতি প্রবর্তনের সুপারিশ করেন।
 
==নব্য বঙ্গ আন্দোলন==