ঈসা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ |
|||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| honorific_prefix = আল
| name = ঈসা - عسيى
| honorific_suffix = আলাইহিস-সালাম<br />( عليه السلام )
| native_name =
| native_name_lang =
৪৪ নং লাইন:
| box_width =
}}
'''ঈসা ইবনে মারিয়াম''' (
==ঈসার জন্ম==
▲'''ঈসা ইবনে মারিয়াম''' ( {{lang-ar|عيسى|translit=ʿĪsā}}, যিনি বাইবেলের [[নূতন নিয়ম| নূতন নিয়মে]] '''[[যিশু]]''' নামে পরিচিত) [[ইসলাম]] ধর্মে একজন [[নবী]] ও [[রাসূল]] এবং মসীহ হিসেবে স্বীকৃত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Smith|প্রথমাংশ=Cyril Glassé ; introduction by Huston|শিরোনাম=The new encyclopedia of Islam|বছর=2001|প্রকাশক=AltaMira Press|অবস্থান=Walnut Creek, CA|আইএসবিএন=9780759101906|পাতা=239|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=focLrox-frUC&pg=PA240&dq=jesus+in+islam&hl=en&sa=X&ei=wnQ0UfDHF4rRsgbxsICIBg&redir_esc=y#v=onepage&q=jesus%20in%20islam&f=false|সংস্করণ=Édition révisée.}}</ref>
আল কুরআনে অন্যান্য নবীদের মতো ঈসাকেও "আল্লাহ্র (একেশ্বরের) বাণী", "আল্লাহ্র সেবক", "আল্লাহ্র বার্তাবাহক", ইত্যাদি নামে ডাকা হয়েছে। কিন্তু যে কারণে ঈসা ব্যতিক্রম, তা হল তাঁর অলৌকিক জন্মগ্রহণ। কুরআনে ঈসার জন্মকে ইতিহাসের প্রথম মানব আদমের সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে ঈসার প্রতিকৃতি ছিল আদমের প্রতিকৃতির মতো। আদমের মতোই ঈসাও আল্লাহর "হও" আদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ইসলামে বর্ণিত ঈসার জন্মকাহিনী খ্রিস্টধর্মে বর্ণিত যিশুর জন্মকাহিনী থেকে ভিন্ন। কুরআনের ভাষ্য অনুযায় মরিয়ম মরুভূমিতে গিয়ে একটি পামবৃক্ষের ছায়ায় অনেক কষ্টস্বীকার করে ইসার জন্ম দেন।
==ঈসার দেবত্ব==
খ্রিস্টধর্মের মত ইসলাম ধর্মেও তিনি সম্মানিত একজন নবী। তবে ইসলাম ধর্মে তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বীকার করা হয় না।<ref>[http://tanzil.net/#trans/bn.bengali/4:157 কুরআন ৪:১৫৭]</ref> বলা হয় যে, ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে ঘরে প্রবেশ করে তখনই আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নেন এবং বাহকের চেহারাকে ঈসা-এর চেহারার অনুরুপ করে দেন। ফলে ঈসা মনে করে ঐ বাহককে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। ইসলাম বলে যে, ঈসা বর্তমানে জীবিত অবস্থায় আসমানে অবস্থান করছেন। [[কিয়ামত|কিয়ামতের]] পূর্বে মসীহ দাজ্জালের আবির্ভাবের পর ঈসা নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর একজন উম্মত বা অনুসারী হিসেবে পুনরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এরপর সমস্ত পৃথিবীর শাসনভার গ্রহণ করবেন এবং পৃথিবীতে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। সবশেষে তিনি একজন রাজা হিসেবে মৃত্যূবরণ করবেন এবং মুহাম্মদ-এর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। যে কারণে মদীনায় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর কবরের পাশে তাকে কবর দেয়ার জায়গা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল যা এখনও বহাল আছে।▼
কুরআনে ঈসার জন্মকে অলৌকিক বলা হলেও তাঁর দেবত্ব বা "ঈশ্বরের পুত্রসন্তান" জাতীয় বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ইসলামে একেশ্বর আল্লাহ্র ছাড়া অন্য কাউকে দেবতা মনে করা একটি গুরুতর পাপ, যার নাম "শিরক" ("ইশ্বরের অংশীদারিত্ব" পাপ)। যদিও খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে ঈশ্বরের তিন রূপের কথা বলা নেই (পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা), তা সত্ত্বেও খ্রিস্টধর্মের একটি অন্যতম বিশ্বাস ঈশ্বরের ত্রিত্ববাদকে কুরআনে কঠোর ভাষায় "ঈশ্বরনিন্দা" হিসেবে তিরস্কার করা হয়েছে। ঈসাকে প্রায়শই কুরআনে মরিয়মের পুত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ঈসার মানবত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঈসার বংশপরিচয় তার মা মরিয়মের মাধ্যমে ইসরায়েলি গোত্রের ইব্রাহিমের পুত্র ইসহাকের সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
==ঈসার ক্রুশবিদ্ধকরণ==
ইসার ক্রুশবিদ্ধকরণের ব্যাপারেও কুরআনের বর্ণনা ভিন্ন। কুরআন অনুযায়ী যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়নি, যদিও আপাতদৃষ্টিতে এরকম মনে করানো হয়েছিল।<ref>[http://tanzil.net/#trans/bn.bengali/4:157 কুরআন ৪:১৫৭]</ref> বলা হয় যে, ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে ঘরে প্রবেশ করে তখনই আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নেন এবং বাহকের চেহারাকে ঈসা-এর চেহারার অনুরুপ করে দেন। ফলে ঈসা মনে করে ঐ বাহককে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে মারা যাওয়ার আগেই আল্লাহ ইসাকে স্বর্গ বা জান্নাতে তুলে নিয়ে যান অর্থাৎ তিনি স্বর্গে আরোহণ করেন। ঈসা জান্নাতে বা আকাশে জীবিত অবস্থায় বিরাজ করছেন এবং শেষ বিচারের দিনের আগে তিনি আবির্ভূত হবেন।
==ঈসার পুনরাবির্ভাব==
▲
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
==আরও দেখুন==
* [[যিশু]] (খ্রিস্টধর্মে ঈসার ভূমিকার বর্ণনা)
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.at-tahreek.com/nobider_kahini/24.html হযরত ঈসা (আঃ) এর বিস্তারিত জীবনী]
{{Prophets in the Qur'an}}
|