বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
২০৭ নং লাইন:
বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে বাংলা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বিদ্যমান। বাঙালির মধ্যে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপলক্ষ উদযাপন ও ভাষার উন্নয়নের কাজ করার মানসিকতা তৈরিতে এ আন্দোলনের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। বাংলাদেশে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মাতৃভাষা দিবস’ বা ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে, এবং একই সাথে একটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসটি আরো নানাভাবে উদযাপিত হয় যার মধ্যে আছে, মাসব্যাপী [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা]] উদযাপন, যা [[একুশে বইমেলা]] নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়াও ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ত্যাগের সম্মানে এ মাসেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘[[একুশে পদক]]’।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0 |শিরোনাম=জাতীয় পুরস্কার |সংগ্রহের-তারিখ=2007-06-23 |শেষাংশ=Khan |প্রথমাংশ=Sanjida |কর্ম= বাংলাপিডিয়া|প্রকাশক=এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ }}</ref> মানুষের ভেতর একুশের আবেগ পৌঁছে দিতে একুশের ঘটনা ও চেতনা নিয়ে রচিত হয়েছে বিভিন্ন প্রকার দেশাত্মবোধক গান, নাটক, কবিতা ও চলচ্চিত্র। তন্মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য [[আবদুল গাফফার চৌধুরী]] রচিত ও [[আলতাফ মাহমুদ]] সুরারোপিত ''[[আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো]]'' গানটি।<ref name=cultureimp>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Aminzade |প্রথমাংশ=Ronald |লেখক-সংযোগ= |লেখক২=Douglas McAdam| লেখক৩=Charles Tilly |শিরোনাম=Silence and Voice in the Study of Contentious Politics |ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=h8PNEOZRRt8C&printsec=frontcover&dq=bangladesh+language+movement |সংগ্রহের-তারিখ=2007-06-24 |তারিখ=17 September 2001 |প্রকাশক=Cambridge University Press |অবস্থান=Cambridge |আইএসবিএন=0521001552 |অধ্যায়=Emotions and Contentious Politics |পাতা=42 }}</ref> ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রভাব সূচিত হয়ে আসছে। রচনাগুলোর মধ্যে আছে - শহীদ বুদ্ধিজীবী [[মুনীর চৌধুরী]] রচিত নাটক [[কবর]]; কবি [[শামসুর রাহমান]] রচিত কবিতা ''বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা'' এবং ''ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯''; জহির রায়হান রচিত উপন্যাস ''একুশে ফেব্রুয়ারি''; বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক [[শওকত ওসমান]] রচিত ''আর্তনাদ'' উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে [[জহির রায়হান]] পরিচালিত [[চলচ্চিত্র]] ''[[জীবন থেকে নেয়া]]''।<ref name="Islam"/>
 
প্রথম শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলার ২বছর পর ১৯৫৪ সালে নিহতদের স্মরণে নতুন একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। ১৯৫৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের সহযোগিতায় বড় পরিসরে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করা হয়। নতুন শহীদ মিনারের স্থপতি ছিলেন [[হামিদুর রহমান (চিত্রশিল্পী)|হামিদুর রহমান]] এবং [[নভেরা আহমেদ]]। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল চত্বরে বড় আকারের এই স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়। মূল বেদির উপর অর্ধ-বৃত্তাকারে সাজানো ৫টি স্তম্ভের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, মা তার শহীদ সন্তানদের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের কারণে স্থাপনাটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি [[আবুল বরকত|আবুল বরকতের]] মা হাসনা বেগম শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী এটি ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি পুণরায় নির্মাণ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Imam |প্রথমাংশ=Jahanara |লেখক-সংযোগ=Jahanara Imam |শিরোনাম=Ekattorer Dingulee|বছর=1986 |প্রকাশক=Shondhani Prokashani |অবস্থান=Dhaka |ভাষা=Bengali |আইএসবিএন=984-480-000-5 |পাতা=44 }}</ref>
 
পূর্ব পাকিস্তান ছাড়াও [[ভারত|ভারতের]] আসম রাজ্যে বাংলা ভাষাকে সমমর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৬১ সালের ১৯ মে শিলচর রেলস্টেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দাবি জানালে [[পুলিশ|পুলিশের]] গুলিতে ১১ বাঙালি শহীদ হন। পরবর্তীতে আসামের বাংলাভাষী লোকসংখ্যা বেশি রয়েছে এমন ৩টি জেলাতে বাংলাকে আধা-সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে।<ref name="telegraph">[http://www.telegraphindia.com/1080520/jsp/jharkhand/story_9294570.jsp Court route for language status ], The Telegraph, May 20, 2008.</ref>