বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
৫৫ নং লাইন:
 
=== প্রথম প্রতিক্রিয়া ===
গণপরিষদের ঘটনার প্রথম প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ঢাকায়। [[ফেব্রুয়ারি ২৬|২৬ ফেব্রুয়ারি]] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, [[ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ]] ও [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]] (জবি) তৎকালীন [[জগন্নাথ কলেজ]] ছাত্রদের উদ্যোগে শহরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে।<!-- কার উদ্যোগ? --> [[ফেব্রুয়ারি ২৯|২৯ ফেব্রুয়ারি]] তারিখেও ধর্মঘট ঘোষিত হয় এবং ঐদিন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস ও ধর্মঘট পালন করা হয়। সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ করে এবং অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে।<ref name=VAAncholicItihash-P5-P27 /> [[তমদ্দুন মজলিস]] ঐসময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। [[মার্চ ২|২ মার্চ]] [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ফজলুল হক হলে ছাত্র-বুদ্ধিজীবিদের এক সমাবেশ ঘটে।<ref name="Rafiq"/> ঐ সভায় দ্বিতীয়বারের মত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় এবং শামসুল আলম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। এ পরিষদে অন্যান্য সংগঠনের দুই জন করে প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করা হয়।<ref name=VAAncholicItihash-P5-P27 /> সেখান থেকে ছাত্ররা [[মার্চ ১১|১১ মার্চ]] ধর্মঘট আহ্বান করে এবং ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানায়।
 
১১ মার্চের কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য [[মার্চ ১০|১০ মার্চ]] ফজলুল হক হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মার্চ ভোরে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে ছাত্রদের একটি দল রমনা ডাকঘরে গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রদের আরও একটি দল রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সচিবালয়ের সামনে নবাব আবদুল গণি রোডে পিকেটিংয়ে অংশ নেয়। তারা গণপরিষদ ভবন (ভেঙ্গে পড়া [[জগন্নাথ হল|জগন্নাথ হলের]] মিলনায়তন), প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউস (বর্তমান [[বাংলা একাডেমী]]), হাইকোর্ট ও সচিবালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অফিস বর্জনের জন্যে সবাইকে চাপ দিতে থাকে, ফলে বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে পুলিশের লাঠিচার্জের সম্মুখীন হতে হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা খাদ্যমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ আফজল ও শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হামিদকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এ বিক্ষোভ দমনের জন্য সরকার সেনাবাহিনী তলব করে। পূর্ব পাকিস্তানের জেনারের অফিসার কম্যান্ডিং [[আইয়ুব খান|ব্রিগেডিয়ার আইয়ুব খান]] (পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি) মেজর পীরজাদার অধীনে একদল পদাতিক সৈন্য নিয়োগ করেন এবং স্বয়ং গণপরিষদে গিয়ে [[খাজা নাজিমুদ্দিন|খাজা নাজিমুদ্দিনকে]] বাবুর্চিখানার মধ্য দিয়ে বের করে আনেন।<ref>আইয়ুব খান ‘প্রভু নয় বন্ধু’; পৃষ্ঠা: ৩৮</ref> বিকেলে এর প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হলে পুলিশ সভা পণ্ড করে দেয় এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছিলেন [[শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)|শামসুল হক]], [[শেখ মুজিবুর রহমান]], [[অলি আহাদ]], [[শওকত আলী (রাজনীতিবিদ)|শওকত আলী]], [[কাজী গোলাম মাহবুব]], রওশন আলম, রফিকুল আলম, আব্দুল লতিফ তালুকদার, শাহ্ মোঃ নাসিরুদ্দীন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেন নঈমুদ্দিন আহমদ।<ref name="Rafiq"/>