বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মন্তব্য
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
মন্তব্য
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
২১৮ নং লাইন:
:নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনতো জাতীয় ঘটনা ও আন্তর্জাতিকভাবেও কাভারেজ পেয়েছে। এই বড় ঘটনায় কোন তথ্য মূলধারার কোন সংবাদমাধ্যমে যদি না আসে কিন্তু একটি অখ্যাত পোর্টালে আসে সেটাকে কোনভাবেই নির্ভরযোগ্য বলা চলে না। দু একটি অবিতর্কিত ক্ষেত্রে হয়ত এখানে প্রকাশিত কোন সংবাদ থেকে উদ্বৃত করা যেতে পারে যেমন ধরুন, উসলামি কোন ব্যক্তির জন্ম তারিখ, জন্মস্থান বা এ জাতীয় বিষয়। কিন্তু এখানে নির্দিষ্টভাবে একটি ঘটনার বিশেষ দিক উল্লেখ করা হয়েছে যা মাধ্যমে যদি না আসে তাহলে সেটাকে কিভাবে উল্লেখযোগ্য বলা যায়। আরও একটি উদাহরণ দেই, ধরুন কোন একটি সংবাদমাধ্যম সামগ্রিকভাবে নির্ভরযোগ্য কিন্তু বিশেষ বিশেষ কিছু সংবাদের ক্ষেত্রে তারা পক্ষপাতিত্ব করে সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমটি নির্ভরযোগ্য হলেও ওই বিশেষ বিশেষ সংবাদগুলোকে উক্ত বিশেষ ধরণের নিবন্ধের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে। আশাকরি ব্যাখ্যা করতে পেরেছি। '''[[ব্যবহারকারী:NahidSultan|~ যুদ্ধমন্ত্রী]] <sup>[[ব্যবহারকারী আলাপ:NahidSultan|আলাপ]]</sup>''' ০৮:২৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)
::আপনার আপত্তিগুলো, খবরটি মূলধারায় না আসা, উল্লেখযোগ্য না হওয়া এবং পক্ষপাতদুষ্টতা, তিনটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। তো,
::প্রথমে খবরটা কভারেজ না পাওয়া নিয়ে বলি। আন্দোলনের আন্তর্জাতিক কভারেজ ছিল ওভারঅল রিপোর্টজাতীয়, ডিটেইল তথ্য সেখানে আশা করা যায় না; এবং দেশের মূলধারার মাধ্যমে আন্দোলনের নিয়মিত আপডেট থাকলেও তার সমস্ত তথ্য এককভাবে কোনো পত্রিকার পক্ষেই ধারণ করা সম্ভব ছিল না; সেক্ষেত্রে বহু পত্রিকার কথা বললে সব পত্রিকাই তাদের সীমিত ছাপানো ক্ষমতায় সবচেয়ে হট খবরগুলোই ছাপানোর চেষ্টা করে, ফলে অধিকাংশ পত্রিকার অধিকাংশ খবরই এক হয়; ফলে সূক্ষ্ণ বা তাদের ভাবনায় অনুল্লেখ্য তথ্য কভারেজ পাবার সম্ভাবনা এমনিতেই কমে যাচ্ছে। এরপর সেসময় সরকারের কড়াকড়ি, হুমকি এবং নিজস্ব নীতির কারণেও পত্রিকাগুলো অনেক খবর প্রকাশে বাধাগ্রস্থ হয় (একাত্তর টিভিকে সতর্কবার্তা দেয়া; সংবাদকর্মীদের খবর সংগ্রহে ছাত্রলীগের বাধা, হামলা; বা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে এই আশ্বাসে প্রথম আলো কর্তৃক হামলাকারী ছাত্রলীগকর্মীদের খবর প্রকাশ না করা প্রভৃতি অনেক উদাহরণ রয়েছে; যেসব কারণে ফেসবুক ও পোর্টালগুলো তখন বিকল্প সংবাদমাধ্যম হয়ে ওঠে)। তারপরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ধর্মীয়/উপজাতীয় ইত্যাদি বিচ্ছিন্ন ক্ষেত্রের সংবাদ কভারেজ কম পাওয়া। এসব কারণে যথেষ্ট পরিমাণ দরকারি খুচরো তথ্য মূলধারার পত্রিকার (টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রেও) বাইরে থেকে সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে। তাই মূলধারায় না আসলেই তাকে অনির্ভরযোগ্য বলা যায় না।
::দ্বিতীয়ত, এই কেসে, সংবাদটি ছিল যে কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। তো অধিকাংশ ইসলামী দলগুলো বর্তমান রাজনীতিতে তাৎপর্যহীন হওয়ায় (জামাত, হেফাজত বাদে) মিডিয়া তাদের খবরকে আগ্রহজনক/গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে মনে করছে না। এবং তাই স্বাভাবিকভাবেই যে ফোরামে এদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে সেখানে খবরগুলো এসেছে। এছাড়া ঐ উত্তাল সময়ে আন্দোলনকারী ছাত্ররাই বেশিরভাগ কভারেজ পেয়েছে, অন্যান্য ছোটোখাটো রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সমর্থন দেয়ার খবরও তাই গৌণভাবে এসেছে। তো মূলধারার মিডিয়া খবরটিকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও আলোচ্য নিবন্ধে আমি সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি; কারণ ইসলামী দলগুলোর সমর্থন ছাত্রদের প্রতি মোরাল সাপোর্ট বৃদ্ধি করছে এবং একইসাথে আন্দোলনের তাত্বিক বিস্তৃতিও নির্দেশ করছে; নিবন্ধে তা উল্লেখের দাবিদার। সুতরাং, অধিকাংশ গণমাধ্যম এই তথ্যকে গুরুত্ব ও প্রাধান্য না দিলেও নিবন্ধে তার তাৎপর্যের কারণে আমি সেটাকে উল্লেখযোগ্য মনে করি।
::তৃতীয়ত, সংবাদটি কেবল একটি তথ্য উপস্থাপন করেছিল, (সমকালে সংবাদ ছিল যে বামপন্থীরা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমর্থনের কথাও এরকমভাবে কোনো এক এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল) এখন এই অবজেক্টিভ তথ্যে কোথায় পক্ষপাত ছিল তা ধরতে পারছি না। একটি পত্রিকা যদি জানায় যে অমুক নারীবাদী সংস্থা সমর্থন জানিয়েছে, বা বামপন্থী দল সমর্থন জানিয়েছে সেটা যেমন নারীবাদী/সমাজতন্ত্রী পক্ষপাত নয় ইসলামী দলের সমর্থনের খবরও তো তেমনই নিরপেক্ষ একটি খবরমাত্র (খবরটি এখনো থাকলে অবশ্য এই আলোচনার সুবিধা হতো)। - [[ব্যবহারকারী:Rezwan Khair|রেজওয়ান]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:Rezwan Khair|আলাপ]]) ১৬:৩৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)