২০১৮-র নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিবর্ধন
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
তথ্যসূত্র
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৪৭ নং লাইন:
২৯ জুলাই দুর্ঘটনার পর শহীদ রমিজউদ্দিন ও নিকটবর্তী অন্যান্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দোষী বাসচালকের বিচারের দাবিতে বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং সড়কের অন্যান্য বাস ভাঙচুর করে। পরদিন উত্তরার পাশাপাশি সাইন্সল্যাবেও সেখানকার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ এবং তারা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ ও ৯ দফা দাবি বাস্থবায়নের তোলে। ৩১ জুলাই, আন্দোলনের তৃতীয় দিন, বিমানবন্দর এলাকায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে বাধা প্রদান করে ও পরে জলকামান, সাঁজোয়া যানসহ তাদের ধাওয়া দেয় এবং লাঠিপেটা করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাস ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে; তবে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস, হজযাত্রী-বহনকারী গাড়ি ও প্রাইভেট কারকে যেতে দেয়।
 
এরপর ১ আগস্ট থেকে আন্দোলন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/country/safe-roads-demand-of-students-protest-spreads-outside-dhaka-bangladesh-1614331 |title=Protest spreads outside Dhaka |date=1 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=2 August 2018 |language=en}}</ref> আন্দোলনকারী ছাত্ররা, যাদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৯, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ি আটকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা তা চেক করে।<ref name=":3" /><ref>{{Cite news |url=http://www.newindianexpress.com/world/2018/aug/01/dhaka-school-students-take-to-streets-to-protest-against-bus-killings-1851745.html |title=Dhaka school students take to streets to protest against bus killings |work=The New Indian Express|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name=":9">{{Cite web|url=http://www.theguardian.com/world/2018/aug/03/teenagers-bring-parts-of-bangladesh-to-a-halt-with-bus-death-protests|title=Teenagers bring parts of Bangladesh to a halt with bus death protests|last=France-Presse|first=Agence|date=3 August 2018|website=the Guardian|language=en|access-date=5 August 2018}}</ref> নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোও আন্দোলনের সাথে সংহতি জানান।<ref name="nagorik">{{Cite news |url=http://www.theindependentbd.com/post/160741 |title=People stand in solidarity with students’ protests |last=Independent |first=The |work=People stand in solidarity with students’ protests {{!}} theindependentbd.com|access-date=4 August 2018}}</ref><ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/guardians-join-protesting-students-demand-safe-road-in-dhaka-bangladesh-1614931 |title=Guardians express solidarity with protesting students |date=2 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref> ২ আগস্ট সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও<ref name=":8">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/schools-colleges-shut-tomorrow-education-ministry-nurul-islam-nahid-1614484|title=Schools, colleges shut tomorrow: Ministry|date=1 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bdmorning.com/desh/417343/ |শিরোনাম=চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=বিডিমর্নিং |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref> বান্দরবান,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.currentnews.com.bd/bn/news/382293 |শিরোনাম=বান্দরবানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=কারেন্ট নিউজ ডট কম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref>  মৌলভিবাজার, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ প্রভৃতি প্রধান প্রধান জেলাগুলোতে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1545541/‘উই-ওয়ান্ট-জাস্টিস’ |শিরোনাম=‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স চেকের পাশাপাশি রাস্তায় পথচারী-যাত্রীদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করে এবং গাড়িগুলো লেন অনুসারে পরিচালনা করে এবং অ্যাম্বুলেন্স/অগ্নিনির্বাপক-গাড়ির জন্য ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে। ঢাকায় মিরপুর ১৪-তে পুলিশ ও কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে এবং ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে বাধা দেয়।<ref group=note> ২রা আগস্ট বিকালে মিরপুর ১৪-তে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে থাকা ইউনিফর্মবিহীন কিছু তরুণ সেখানকার পুলিশ লাইনে ঢিল ছোঁড়ে এবং গেটে ভাঙচুর করে; এরপর পুলিশ এবং তাদের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে একদল যুবক ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে; এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা সেসবের ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলে বাধা দেয়।</ref>
 
[[File:Bangladesh road-safety protests 2018.jpg|থাম্ব|ডান|ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে।]]
৬১ নং লাইন:
 
===৯ দফা দাবী===
শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1544876/গাজীপুরে-শিক্ষার্থীদের-বিক্ষোভ-সড়ক-অবরোধ |শিরোনাম=গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> পাশাপাশি সড়কে নিরাপত্তার জন্যে সরকারের কাছে ৯টি দাবি তুলে ধরে:<ref name="বিডিনি৩">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/national/news/bd/666859.details |শিরোনাম=৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম |তারিখ=৩০ জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref><ref name="দৈযু১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/capital/76138/কী-আছে-শিক্ষার্থীদের-৯-দফা-দাবিতে |শিরোনাম=কী আছে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে? |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=দৈনিক যুগান্তর |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref>
 
# গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ী চালককে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
১০৮ নং লাইন:
 
===অন্যান্য ক্ষেত্র===
১ আগস্ট বাস-ট্রাকচালক ও হেলপার তথা পরিবহণ-শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের দ্বারা গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে; টঙ্গীতে এক ছাত্র তাদের মারপিটের শিকার হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1544656/শ্রমিকদের-ঢাকা-চট্টগ্রাম-মহাসড়ক-অবরোধ |শিরোনাম=

শ্রমিকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, শিক্ষার্থীদের মারধর |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> শ্রমিকরা ২-৫ আগস্ট অঘোষিত ধর্মঘট করে দেশের সকল দূরপাল্লার বাস এবং অনেকাংশে অন্তঃনগর বাস পরিষেবাও বন্ধ রাখে। পরিবহণমালিক সমিতি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সাথে সমর্থন জ্ঞাপন করলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত বাস চলবে না বলে জানায়; পরে ৬ আগস্ট থেকে আবার বাস চলাচল শুরু হয়। সেদিন মন্ত্রীসভায় নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুমোদন হলে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
 
নাগরিক সমাজ এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ সাধারণভাবে আন্দোলন সমর্থন করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নামেন।<ref name="nagorik"></ref> অনেক অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। ৩ আগস্ট সড়কমন্ত্রী এবং পরদিন ডিএমপি কমিশনার জানান যারা খাবার সরবরাহ করেছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
১১৬ ⟶ ১১৮ নং লাইন:
[[বাম গণতান্ত্রিক জোট]] ([[বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি|সিপিবি]], [[গণসংহতি আন্দোলন]], [[বাসদ]] ও অন্যান্য দল) নৌমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে ৪ আগস্ট সংহতি সমাবেশ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://samakal.com/politics/article/1808159/দাবি-মেনে-সড়কে-নৈরাজ্য-দূর-করুন-বাম-জোট |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সড়কে নৈরাজ্য দূর করুন: বাম জোট |তারিখ=3 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=সমকাল |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/politics/news/446410|শিরোনাম=আটক শিক্ষার্থীদের ঈদের আগেই মুক্তির দাবি |তারিখ=18 আগস্ট 2018 |ওয়েবসাইট=জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref> এছাড়া [[বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন]],<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.rtvonline.com/others/education/48124/সড়ক-দুর্ঘটনায়-নিহতদের-স্মরণে-ছাত্র-ইউনিয়নের-প্রদীপ-প্রজ্জ্বলন-শুক্রবার |শিরোনাম=সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ছাত্র ইউনিয়নের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শুক্রবার |তারিখ=2 আগস্ট 2018 |ওয়েবসাইট=আরটিভি অনলাইন |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref> কোটা সংস্কার আন্দোলন কমিটি, বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোসহ অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানায়, তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। মানবাধিকার কমিশন, [[গণফোরাম]], সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য নাগরিক সংগঠনগুলোও অনুরূপ সংহতি প্রকাশ করে।
 
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক অভিনেতা, নাট্যকার ও সংগীতশিল্পীরা আন্দোলনে সমর্থন জানান এবং কোনো কোনো স্থানে তারাও ছাত্রদের সাথে সড়কে অবস্থান নেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1544971/রাস্তায়-তারকারাও |শিরোনাম=রাস্তায় তারকারাও |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[এসপ্রথম আইআলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1545556/শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-একাত্ম-হয়ে-শুটিং-ফেলে-রাস্তায় |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শুটিং ফেলে রাস্তায় |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম টুটুলআলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> কোনাল, কোনালসহ[[ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান|সায়ান]]সহ আরো গায়কেরা পথে নেমে ছাত্রদের '[[চল চল চল]]' গেয়ে শোনান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1545736/আমরা-পারিনি-তোমরা-করে-দেখিয়েছ |শিরোনাম=আমরা পারিনি, তোমরা করে দেখিয়েছ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> আন্দোলনের সমর্থনে বেশঅনেক কিছুনতুন গানও লেখা হয়।
 
===আন্তর্জাতিক===