মিসরীয় ইসলামি জিহাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আ হ ম সাকিব (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আ হ ম সাকিব (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: অনুচ্ছেদ যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৬ নং লাইন:
 
[[মিসরীয় বিপ্লব|২০১১ সালের মিসরীয় বিপ্লবের]] পর এই দলটির সাবেক নেতৃবৃন্দ [[ইসলামিক পার্টি (মিসর)|ইসলামিক পার্টি]] নামে একটি রাজনৈতিক দলে যোগদান করে। এই দলটি ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানের সময় [[সরকারবিরোধ জোট|সরকারবিরোধী জোটে]] যোগদান করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.egyptindependent.com//news/pro-morsy-alliance-considers-presidential-elections-boycott|শিরোনাম=Pro-Morsy alliance considers presidential elections boycott|এজেন্সি=Egypt Independent|তারিখ=31 March 2014|সংগ্রহের-তারিখ=29 April 2014}}</ref>
 
== ইতিহাস ==
{{rquote|right|"ফারাজ শুক্রবারে একটি গোপন মসজিদে নৈতিক বক্তৃতা দিতেন, যেই মসজিদ তার শ্বশুরালয়ের লোকেরা তৈরি করেছিলো। তিনি তার শ্রোতাদের থেকে একটি অংশকে সহিংস [[জিহাদ]] শুরু করতে একটি গোপন দলে যোগ দিতে রাজী করেন। কায়রো জঙ্গী গোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসিত ছিল, কিন্তু তারা তবুও একটি সাধারণ কাজের কৌশল হিসেবে সাপ্তাহিক সাক্ষাত করতেন......।"<ref name="autogenerated4"/>}}
 
আল-জিহাদ অথবা "তানযিম আল-জিহাদ" (প্রচলিত বাংলায়: তানযিমুল জিহাদ) হচ্ছে ১৯৮০ সালে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দুটি পৃথক ইসলামি দলের নাম। একটি দল [[মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম ফারাজ|আব্দুস সালাম ফারাজের]] নেতৃত্বের [[কায়রো]] দল অপরটি কারাম জুহদির নেতৃত্বের সাইদি (উত্তর মিসরের অংশ) অঞ্চলের দল।
<ref name="autogenerated4">Sageman, Marc, ''Understanding Terror Networks'', University of Pennsylvania Press, 2004, p.134</ref> ফারাজ ১৯৮০ সালে ''আল-ফারিদ্বাহ আল-গাইবাহ (অবহেলিত ফরজ বা দায়িত্ব)'' নামে আল-জিহাদ দলের নীতিনির্ধারণী বই লিখেন। বইটির ৫০০ কপি ছাপানো হয়।<ref name="sacredcows">Benjamin, Daniel & Steven Simon. "The Age of Sacred Terror", 2002</ref>
 
মিসরীয় প্রেসিডেন্ট [[আনোয়ার সাদাত]] হত্যাকান্ডের পর মিসর সরকার তানযিমুল জিহাদের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আদালতের বিচার চলাকালীন সময়ে জেলে কায়রো এবং সাইদির লোকেরা দুই ভাগ হয়ে যায়। কায়রোর জঙ্গি গোষ্ঠী পরে মিসরীয় ইসলামি জিহাদে পরিণত হয়। এবং সাইদির লোকেরা [[আল-জামাআতুল ইসলামিয়্যাহ]] অথবা অন্যান্য ইসলামি দলে যোগদান করেন। আয়মান আল-জাওয়াহিরি বলেন, ‘‘ইআইজে [[তাকফির ওয়াল হিজরা]] দল হতে পৃথক একটি দল। আমরা মানুষকে তাদের পাপের কারণে [[তাকফির]] করিনা। এবং আমরা [[মুসলিম ব্রাদারহুড]] থেকেও আলাদা। কারণ, তারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিসর সরকারের বিরোধিতা করে না।’’<ref>[[Montasser al-Zayat|al-Zayat, Montasser]], "The Road to al-Qaeda", 2002</ref>
 
কায়রো জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন [[আব্বুদ আল-যুমার]], "মিসরের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের একজন এককালীন অফিসার তাকে সাদাতহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই ঘটনা ইসলামি জিহাদকে খুব কম সময়ে শক্তভাবে দমন করে ফেলে।<ref>Murphy, Caryle, ''Passion for Islam: Shaping the Modern Middle East: the Egyptian Experience,'' Simon and Schuster, 2002, p.67</ref>
 
মধ্যম শ্রেণীর সদস্যদের অধিকাংশই তিনবছরের মধ্যে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। এরপর তারা মুজাহিদদের সহায়তা করতে নিজ ঘর থেকে পালিয়ে [[পাকিস্তান]] এবং [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানে]] গমন করেন।<ref>Sageman, Marc, ''Understanding Terror Networks'', University of Pennsylvania Press, 2004, p.147</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==