শামসুল ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Al Riaz Uddin Ripon শামশুল ইসলাম কে শামসুল ইসলাম শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
সংশোধন ও পরিষ্করণ
১ নং লাইন:
 
আ. ন. ম. শামশুলশামসুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবীদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.newschamber24.com/?p=37107|শিরোনাম=জামায়াতের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমীর আ.ন.ম শামসুল ইসলাম|শেষাংশ=mypaper|ওয়েবসাইট=News Chamber 24.com|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref>হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://jamaat-e-islami.org/news-details.php?category=1&news=6822|শিরোনাম=মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্ত|ওয়েবসাইট=Bangladesh Jamaat-e-islami|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref>।
 
== '''''জন্মগ্রহণ ও বাল্যকাল:''''' ==
আ.ন.ম. শামশুলশামসুল ইসলাম ১৯৫৭ সালের পহেলা মার্চ [[চট্টগ্রাম জেলারজেলা]]র [[সাতকানিয়া থানারথানা]]র বারদোনা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোহাম্মদ আলী মিঞা এবং মাতার নাম মরহুমা হাফেজা আমেনা খাতুন। পিতা পেশায় একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর মমতাময়ী মা মরহুমা আমেনা খাতুন ছিলেন পবিত্র আল-কুর’আনেরকুরআনের একজন হাফেজা।
 
== '''''রাজনৈতিক ও কর্মজীবন জীবন:''''' ==
জনাব শামশুলশামসুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামী আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মনোনিত হন। ১৯৮১ সালের অক্টোবর হতে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির দািয়ত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হন। ০২ বছর সেক্রেটারী জেনারেলের দািয়ত্বদায়িত্ব পালনের পর ১৯৮৭ সালের অক্টোবরে তিনি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৬-৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সহ-সভাপতি (ভি.পি.) পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
 
তিনি ১৯৮৯ সালে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালের এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মনোনীত হন। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চট্টগ্রামের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। আ.ন.ম. শামশুল ইসলাম ২০০০ সালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হন। তিনি একই বছরে চট্টগ্রাম মহানগর চার দলীয় জোটের যুগ্ম আহবায়ক নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট আমলে চট্টগ্রাম উন্ন্য়নউন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সি.ডি.এ.)-র সদস্য মনোনীত হন এবং চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীরের দায়ীত্ব শেষ করার পর ২০১৭ সালের ০১ জানুয়ারী আ.ন.ম. শামশুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর নিয়ুক্ত হন।
 
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বজন পরিচিত ও নন্দিত রাজনীতিবিদ আ.ন.ম. শামশুলশামসুল ইসলাম ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে নির্বাচন করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। একই সাথে এলাকায় দল-মত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করেন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
 
=== '''''জাতীয় সংসদ নির্বাচন:''''' ===
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে নির্বাচন করবেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/?post=355826-কারাবান্দী-শামশুল-ইসলামের-মনোনয়ন-বৈধ|শিরোনাম=কারাবান্দী শামশুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ|ওয়েবসাইট=The Daily Sangram|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref>
 
==কারাজীবন==
== '''''কারাজীবন:'''''<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/bd/676507.details|ওয়েবসাইট=www.banglanews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref>==
তাঁর নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জুলুমবাজ আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে পরপর তিনবার কারারুদ্ধ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/?post=346794-জামায়াতের-নায়েবে-আমীর-সাবেক-এমপি-মাওলানা-শামসুল-ইসলাম-কারাগারে|শিরোনাম=জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম কারাগারে|ওয়েবসাইট=The Daily Sangram|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/bd/676507.details|ওয়েবসাইট=www.banglanews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-12}}</ref> বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের দুই মেয়াদকালে আ.ন.ম. শামশুল ইসলামকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট প্রায় আড়াই বছরের অধিক সময়কাল কারাগারে কাটাতে হয়েছে।
 
== '''''অবদান:''''' ==
আ.ন.ম. শামশুলশামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান।
 
== '''''বর্তমান দায়িত্ব:''''' ==
বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন।
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৭-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মুসলিম]]