সিরিল ওয়াশব্রুক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ করা হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
খেলার ধরন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
২৮ নং লাইন:
| lastodiyear =
| lastodiagainst =
| club1 = [[Lancashireল্যাঙ্কাশায়ার Countyকাউন্টি Cricketক্রিকেট Clubক্লাব|ল্যাঙ্কাশায়ার]]
| year1 = ১৯৩৩–১৯৫৯
| club2 = [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসি]]
৬৫ নং লাইন:
}}
 
'''সিরিল ওয়াশব্রুক''' ({{lang-en|Cyril Washbrook}}; [[জন্ম]]: [[৬ ডিসেম্বর]], [[১৯১৪]] - [[মৃত্যু]]: [[২৭ এপ্রিল]], [[১৯৯৯]]) ক্লিথেরোর বারো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও [[Lancashireল্যাঙ্কাশায়ার Countyকাউন্টি Cricketক্রিকেট Clubক্লাব|ল্যাঙ্কাশায়ারের]] পক্ষে [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৪৭ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।
 
== কাউন্টি ক্রিকেট ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
ব্রিজনর্থ গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৮ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর পর ১৯৩৫ সালে দলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৯২টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
 
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৯২টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে [[লেন হাটন|লেন হাটনের]] সাথে জুটি গড়ে সুনাম কুড়ান। এ জুটি ৫১বার [[ব্যাটিং অর্ডার|ব্যাটিং উদ্বোধন]] করতে নামেন যার ৩৭টিই ছিল টেস্টে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] কারণে খেলোয়াড়ী জীবন বিভক্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের বিঘ্ন ঘটে। [[রয়্যাল এয়ার ফোর্স|রয়্যাল এয়ার ফোর্সে]] শারীরিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
দীর্ঘদিন যাবৎ খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। লেগসাইডে তাঁর বেশ দখল ছিল। হুকস ও পুলের মারে ১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে নিজেকে তুলে ধরেন। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|কভার অঞ্চলে]] তাঁর ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর ফিল্ডিং ছিল বেশ প্রশংসনীয়।
 
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৯২টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে [[লেন হাটন|লেন হাটনের]] সাথে জুটি গড়ে সুনাম কুড়ান। এ জুটি ৫১বার [[ব্যাটিং অর্ডার|ব্যাটিং উদ্বোধন]] করতে নামেন যার ৩৭টিই ছিল টেস্টে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] কারণে খেলোয়াড়ী জীবন বিভক্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের বিঘ্ন ঘটে। [[রয়্যাল এয়ার ফোর্স|রয়্যাল এয়ার ফোর্সে]] শারীরিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
 
১৯৪৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে আর্থিক সুবিধার আওতায় £১৪০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং আয় করেন। ১৯৫৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রথম পেশাদার [[অধিনায়ক (ক্রীড়া)|অধিনায়ক]] হিসেবে নিযুক্ত হন ওয়াশব্রুক। এ দায়িত্বে তিনি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ঐ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক সুবিধার আওতায় £১,৫২০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৯৩৭ সালে ওভালে সফরকারী [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে তিনি তাঁর প্রথম [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু ঐ টেস্টে মাত্র ৯ ও [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৮* রান তোলার খেসারৎ হিসেবে পরবর্তী বছরে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হননি। ঐ বছরে তিনি ১৭২৪ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] তুলেন ও [[ব্যাটিং গড়|ব্যাটিং গড়ে]] জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
 
[[1946-47 Ashes series|১৯৪৬-৪৭]] মৌসুমের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] [[Australian cricket team in Australia in 1946-47|অস্ট্রেলিয়া সফরে]] অবশেষে মনোনীত হন। হাটন ও ওয়াশব্রুক পরপর তিনটি [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|শতরানের]] জুটি গড়েন। তাঁর ক্রিকেট ক্যাপ পড়ার জন্টি ধরন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
 
১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৫ টেস্টের ঐ সিরিজে ৫৪২ রান করেন তিনি। তন্মধ্যে জোহেন্সবার্গে সিরিজের ২য় টেস্টে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৯৫ রান তুলেন। লেন হাটনের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫৯ রান তুলেন যা ঐ সময়ের রেকর্ড ছিল।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283611.html Test matches - Highest partnership for the first wicket]</ref> অদ্যাবধি এ জুটির সংগৃহীত রান ইংল্যান্ডের পক্ষে টিকে রয়েছে।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/engine/records/fow/highest_partnerships_by_wicket.html?class=1;id=1;type=team Test matches - Highest partnerships by wicket for England]</ref> ১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াশব্রুকের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে [[জ্যাক রবার্টসন|জ্যাক রবার্টসনের]]।
 
== খেলার ধরন ==
দীর্ঘদিন যাবৎ খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। লেগসাইডে তাঁর বেশ দখল ছিল। হুকস ও পুলের মারে ১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে নিজেকে তুলে ধরেন। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|কভার অঞ্চলে]] তাঁর ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর ফিল্ডিং ছিল বেশ প্রশংসনীয়।
 
[[লেন হাটন|লেন হাটনের]] সাথে জুটি গড়ে সুনাম কুড়ান। এ জুটি ৫১বার [[ব্যাটিং অর্ডার|ব্যাটিং উদ্বোধন]] করতে নামেন যার ৩৭টিই ছিল টেস্টে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] পর প্রায় পরবর্তী ছয় বছর ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি [[লিওনার্ড হাটন]] ও সিরিল ওয়াশব্রুকের উপর নির্ভরশীল ছিল।<ref name="Cap1">{{cite book |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= 141 |url= }}</ref>
 
== অবসর ==
৪৪ বছর বয়সে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে। ১৯৫৬ সালে টেস্ট দল নির্বাচক মনোনীত হন। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দল পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। ৪১ বছর বয়সী ওয়াশব্রুক তাঁর সতীর্থ নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যদেরকে কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। ১৭/৩ থাকাবস্থায় তিনি [[পিটার মে|পিটার মে’র]] সাথে জুটি গড়ে ১৮৭ রানের জুটি গড়েন। ওয়াশব্রুক করেন ৯৮ রান। ইংল্যান্ড খেলায় জয় পেলে দলে তিনি অবস্থান করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে করেন মাত্র ৬ রান। ঐ টেস্টে [[জিম লেকার]] রেকর্ডভাঙ্গা ১৯ উইকেট দখল করেন ও দলকে ২-১ নিয়ে যান। চূড়ান্ত ও পঞ্চম টেস্ট ওভালে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওয়াশব্রুক [[শূন্য রান]] তুললেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হন ও [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] জয় পায়।
 
১৯৪৭ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] মনোনীত হন তিনি।<ref name="Cap">{{বই উদ্ধৃতি |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= |pages= 182–183 |url= }}<!--|accessdate=29 April 2011--></ref> ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের সেল এলাকায় ৮৪ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।