যুধিষ্ঠির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নিলয় সরকার (আলোচনা | অবদান)
বনবাস
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
নিলয় সরকার (আলোচনা | অবদান)
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৪ নং লাইন:
দ্রোণকে যুদ্ধে নিরস্ত করার জন্য কৃষ্ণ এবং ভীমের প্ররোচনায় যুধিষ্ঠির 'অশ্বত্থামা হতঃ-ইতি গজঃ' এই মিথ্যা উচ্চারণ করেন। যুধিষ্ঠিরের এই বাক্যে দ্রোণ তাঁর পুত্র অশ্বত্থামা'র মৃত্যু হয়েছে মনে করে অস্ত্রত্যাগ করেন। উল্লেখ্য অশ্বত্থামা নামক হাতির মৃত্যু হয়েছে এই সংবাদটাই যুধিষ্ঠির মিথ্যার আশ্রয়ে উচ্চারণ করেন। এই মিথ্যাচারের জন্য তাঁর রথ কিছুটা ভূমির দিকে নেমে যায়।<ref>http://ebela.in/entertainment/how-many-lies-did-yudhishthira-tell-in-the-mahabharata-dgtl-1.436286</ref>
যুদ্ধের সপ্তদশ দিনে যুধিষ্ঠির কর্ণের কাছে পরাজিত ও লাঞ্ছিত হয়ে শিবিরে পলায়ন করেন। এই সময় অর্জুন উপস্থিত হয়ে কর্ণকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলে যুধিষ্ঠির তাঁকে তিরস্কার করে গাণ্ডিব ত্যাগ করতে বলেন। এতে অর্জুন ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে যুধিষ্ঠিরকে হত্যা করতে উদ্যত হলে কৃষ্ণ তাঁকে নিবারণ করেন। পরে অবশ্য কর্ণকে অর্জুনই হত্যা করেছিলেন।
যুদ্ধের অষ্টাদশ দিনে যুধিষ্ঠির শল্যকে হত্যা করেন। যুদ্ধের শেষে দুর্যোধনেরদুর্যোধন দ্বৈপায়ন হ্রদে আত্মগোপন করলে, যুধিষ্ঠির তাঁকে তীক্ষ্ণবাক্যে উত্তেজিত করেন। পরে ভীমের সাথে দুর্যোধনের গদা যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ভীম অন্যায়ভাবে দুর্যোধনের উরু ভেঙে দেন। যুদ্ধের শেষে ক্রুদ্ধ গান্ধারী যুদ্ধক্ষেত্রে এলে ইনি তাঁর ক্রোধ প্রশমিত করার জন্য গান্ধারীর পায়ে ধরেন। এ সময় গান্ধারী বস্ত্রাবরণের আড়াল থেকে শুধুমাত্র যুধিষ্ঠিরের নখগুলি দেখতে পান। ফলে যুধিষ্ঠিরের নখগুলো বিকৃত হয়ে যায়।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা সবার মৃতদেহ সৎকারের সময় কুন্তী তাঁদের কাছে কর্ণের জন্মবৃত্তান্ত বর্ণনা করে তাঁর উদ্দেশ্যেও তর্পণ করতে অনুরোধ করেন। এতে যুধিষ্ঠির ক্ষিপ্ত হয়ে অভিশাপ দেন যে, স্ত্রী জাতি কোন বিষয়ই গোপন রাখতে পারবে না।
যুদ্ধ শেষে যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেক হয়। এই সময় যুধিষ্ঠির আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর জন্য অনুতপ্ত হয়ে রাজপদ ত্যাগ করতে উদ্যত হন। কিন্তু কৃষ্ণ, কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন, অনুনয় করে তাঁকে রাজ্য গ্রহণে সম্মত করান। রাজ্যগ্রহণের পর ইনি শরশয্যাশায়ী ভীষ্মের কাছে উপস্থিত হন। ভীষ্ম তাঁকে বহু পরামর্শ দিয়ে দেহত্যাগ করেন। এরপর ইনি আত্মীয়-স্বজন হত্যাজনীত অপরাধ থেকে উদ্ধারের জন্য ব্যাসদেবের পরামর্শে অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। এরপর যুধিষ্ঠির ৩৬ বৎসর রাজত্ব করেন। এই সময় ইনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সেবা করার ব্যবস্থা করেন।