'''২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] [[২০০৪ সালেরসালে]]র [[২১শে আগস্ট]] ঢাকায়[[ঢাকা]]য় [[আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগের]] এক জনসভায় [[গ্রেনেড]] হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী [[শেখ হাসিনা]] সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস [[আইভি রহমান]] অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি [[জিল্লুর রহমান|জিল্লুর রহমানের]] স্ত্রী।
২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং [[গোপালগঞ্জ জেলা|গোপালগঞ্জে]] পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ [[ঢাকা|ঢাকার]] [[বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়েরএভিনিউ]]য়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু]] কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় তৎকালীন [[প্রধানমন্ত্রী]] [[খালেদা জিয়ারজিয়া]]র পুত্র [[তারেক জিয়া]], চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]] নেতা [[আব্দুস সালাম পিন্টু]], হরকাতুল জিহাদ প্রধান [[মুফতি হান্নান]] ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [[লুৎফুজ্জামান বাবরসহবাবর]]সহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
