মৈমনসিংহ গীতিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
'''মৈমনসিংহ গীতিকা''' একটি সংকলনগ্রন্থ যাতে [[ময়মনসিংহ]] অঞ্চলে প্রচলিত দশটি [[পালাগান]] লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AE%E0%A7%88%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9_%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE|titleশিরোনাম=মৈমনসিংহ গীতিকা|lastশেষাংশ=|firstপ্রথমাংশ=|dateতারিখ=|websiteওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|publisherপ্রকাশক=বাংলাপিডিয়া|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=}}</ref> এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে [[১৯২৩]]-[[১৯৩২|৩২]] সালে [[দীনেশচন্দ্র সেন|ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন]] এই গানগুলো অন্যান্যদের সহায়তায় সংগ্রহ করেন এবং স্বীয় সম্পাদনায় [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে প্রকাশ করেন। তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার [[নেত্রকোনা]] মহকুমার আইথর নামক স্থানের আধিবাসী চন্দ্রকুমার দে এসব গাথা সংগ্রহ করছিলেন। এই গীতিকাটি বিশ্বের ২৩টি ভাষায় মুদ্রিত হয়।
 
== মৈমনসিংহ গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত পালা সমূহ ==
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আনুকূল্যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ড.দীনেশ চন্দ্র সেন মৈমনসিংহ গাথা সংগ্রাহক হিসেবে চন্দ্র কুমার দে মহাশয়ের কাছ থেকে নিম্নের পালাগুলো সংগ্রহ করেন।
* মহুয়া (রচয়িতা [[দ্বিজ কানাই]]) রচনাকাল-১৬৫০ সালের দিকে বলে ধারণা করা হয়। এর প্রধান চরিত্র মহুয়া,নদের চাদ। এটি বিয়োগাত্মক প্রেমকথন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি||titleশিরোনাম=কবি দ্বিজ কানাই রচিত “মহুয়া” পালা|urlইউআরএল=http://www.kishorgonj.com/web/14091|websiteওয়েবসাইট=kishorgonj.com|dateতারিখ=Jan 20, 2014}}</ref>
* চন্দ্রাবতী (রচয়িতা নয়নচাঁদ ঘোষ)
* কমলা (রচয়িতা দ্বিজ ঈশান)
১৭ নং লাইন:
 
সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
নদের চাঁদের বসতভিটা সুসং দুর্গাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং ঝাঞ্ছাজাইল বাজার থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে বাউরতলা গ্রামের পাশে। সুদর্শন পুরুষ নদের চাঁদ ছিলেন এক জমিদারের দেওয়ান। অপর পক্ষে রূপবতি মহুয়া বেদে সরদার হুমরা বেদের পালিত কন্যা, যাকে শিশুকালে হুমরা বেদে নেত্রকোণার কাঞ্চণপুর থেকে ডাকাতি করে নিয়ে আসে। জানা যায়, বেদে মহুয়াও এক সভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন। বেদেরা ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর ফেলত ও হাট বাজারে পাড়ায় সাপের খেলা দেখাত। বেদে মহুয়া যখন নদের চাঁদের গ্রামে সাপের খেলা দেখাতে আসেন তখন মহুয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে নদের চাঁদ তাকে প্রণয় নিবেদন করেন। মহুয়াও নদের চাঁদের প্রণয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। কিন্তু দুজনের প্রণয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরদার হুমরা বেদে। এক দিন নদের চাঁদ মহুয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে হুমরা বেদে তা জানতে পেরে দলবল নিয়ে তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। অবশেষে তারা মহুয়া এবং নদের চাঁদকে ধরে ফেলে। হুমরা বেদে নদের চাঁদকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। সরদার মহুয়ার হাতে বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে বলে ‘‘যাও নদের চাঁদকে মেরে ফেল’’। বিষলক্ষা ছুরি নিয়ে মহুয়া নদের চাঁদের দিকে এগিয়ে যান। নদের চাঁদের সম্মুখে পৌছে বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে তিনি তাঁর নিজের বক্ষ বিদীর্ণ করেন এবং মাটিতে ঢলে পড়েন। প্রণয় পিয়াসী নদের চাঁদ মহুয়ার এই আত্মত্যাগ সহ্য করতে না পেরে প্রেমের প্রতিদান সরূপ বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে নিজ জীবন আত্মহুতি দেন। মহুয়া ও নদের চাঁদের এই আত্ম ত্যাগ চিরন্তন প্রেমকে মহিমান্বিত করেছে। আজও সেই প্রেমের অমর কহিনী লোক মুখে মুখে বিরাজমান<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি||titleশিরোনাম=মৈমনসিংহ গীতিকার ‘মহুয়া’|urlইউআরএল=http://bonikbarta.com/news/2015-10-02/51231/%E0%A6%AE%E0%A7%88%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9-%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E2%80%99/|websiteওয়েবসাইট=bonikbarta.com|dateতারিখ=অক্টোবর ০২, ২০১৫}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি||titleশিরোনাম='মহুয়া সুন্দরী'|urlইউআরএল=http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMTFfMTRfNF8yNF8xXzEyMjM4Ng|websiteওয়েবসাইট=ittefaq.com.bd|publisherপ্রকাশক=''[[দৈনিক ইত্তেফাক]]''|dateতারিখ=অক্টোবর ০২, ২০১৫}}</ref>
 
=== গুরুত্বপূর্ণ পঙক্তি ===
২৮ নং লাইন:
{{সূত্র তালিকা}}
{{উইকিসংকলন|মৈমনসিংহ গীতিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা লোকসাহিত্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:মঙ্গলকাব্য]]