বিমল দাশগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bengalibaidyas-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২০ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
তার জন্ম বাংলাদেশের [[বরিশাল জেলা]]<nowiki/>র ঝালকাঠি তে। পিতা কবিরাজ অক্ষয়কুমার দাশগুপ্ত। কবিরাজি চিকিৎসার সূত্রে পিতা [[মেদিনীপুর]] এসে বসবাস শুরু করেন। বিমল দাশগুপ্ত ১২/১৩ বছর বয়েস থেকেই বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করবার আগে ১৯২০ সালে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনে]] যোগ দিয়েছিলেন। মেদিনীপুর হিন্দু স্কুলের ছাত্র ছিলেন<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|lastশেষাংশ=দ্বিতীয় খন্ড|firstপ্রথমাংশ=অঞ্জলি বসু সম্পাদিত|publisherপ্রকাশক=সাহিত্য সংসদ|yearবছর=২০০৪|isbnআইএসবিএন=81-86806-99-7|locationঅবস্থান=কলকাতা|pagesপাতাসমূহ=২২১, ২২২}}</ref>।
 
== পেডি হত্যা ==
১৯২৮ সালে [[সুভাষচন্দ্র বসু]] বিপ্লবী [[দীনেশ গুপ্ত]]<nowiki/>কে বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের মেদিনীপুর শাখার দায়িত্ব দেন। দীনেশ গুপ্তের অক্লান্ত চেষ্টায় মেদিনীপুর জেলায় বিপ্লবী আন্দোলন অন্য মাত্রা পায়। বিমল দাশগুপ্ত হয়ে ওঠেন দীনেশ গুপ্তের মন্ত্রশিষ্য। লবন আইন অমান্যের সময় জেলাশাসক জেমস পেডি দীঘা সমুদ্রতীরে সত্যাগ্রহীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবীরা সিদ্ধান্ত নেন পেডি হত্যার। জ্যোতিজীবন ঘোষের সাথে বিমল দাশগুপ্ত এই দায়িত্ব পান। ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী দেখতে এলে পেডি সাহেব এই দুই বিপ্লবীর গুলিতে নিহত হয়। দুজনেই পালাতে সক্ষম হন। বিমল দাশগুপ্ত আত্মগোপন করে ঝরিয়া অঞ্চলের কয়লাখনি তে চাকরি নেন ও পরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজেও থাকতেন, পুলিশ সন্ধান পায়নি<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.anandabazar.com/district/mednipore/ট-কর-খবর-1.7141|titleশিরোনাম=বিপ্লবী স্মরণ|lastশেষাংশ=|firstপ্রথমাংশ=টুকরো খবর|dateতারিখ=৪ মার্চ ২০১৪|websiteওয়েবসাইট=|publisherপ্রকাশক=আনন্দবাজার পত্রিকা|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=১১. ০১.২০১৭}}</ref>।
 
== ভিলিয়ার্স হত্যা ==
২৯ নং লাইন:
 
== বিচার ==
পেডি মার্ডার কেসের আসামী হিসেবে পুলিশ তাকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেল। কারণ বিপ্লবী [[কানাইলাল ভট্টাচার্য]] গার্লিককে হত্যা করেন ও শহীদ হন এই বিমল দাশগুপ্ত (বা বিমল গুপ্ত) নাম নিয়ে যাতে করে পুলিশ আসল বিমল দাশগুপ্ত কে খোঁজা ছেড়ে দেয়। শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের নামহীন হয়ে থেকে যাওয়া ও অন্য এক বিপ্লবীকে পুলিশের হাত হতে বাঁচিয়ে যাওয়ার এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল<ref>{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=বাংলায় অগ্নিযুগ, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দিনগুলি|lastশেষাংশ=অরবিন্দ পোদ্দার|firstপ্রথমাংশ=|publisherপ্রকাশক=প্রত্যয়|yearবছর=১৯৯৭|isbnআইএসবিএন=|locationঅবস্থান=কলকাতা|pagesপাতাসমূহ=৩০}}</ref>। সুভাষচন্দ্রের উদ্যোগে তিনজন ব্যারিস্টার দাঁড়িয়েছিলেন স্পেশাল ট্রাইবুন্যালে বিপ্লবীদের পক্ষে। জ্যোতিজীবন ঘোষ প্রমানাভাবে ছাড়া পেলেন এবং সওয়ালের সময় প্রধান সাক্ষী সুশীল দাস জানান 'পেডি হত্যাকারী বিমল দাশগুপ্ত নয়'। বিমল দাশগুপ্তকে বাঁচাতে [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]]<nowiki/>র রাজা নরেন্দ্রলাল খান সুশীল দাসকে একথা বলতে নির্দেশ দেন। পেডি হত্যায় খালাস পেলেও ভিলিয়ার্স হত্যা মামলায় দশ বছর কারাদণ্ড হয় তার<ref name=":0" />।
 
== জেল জীবন ==