দ্বারকানাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
AftabBot-এর করা 2679110 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১৬ নং লাইন:
 
== বংশ পরিচয় ==
ব্রিটেনে অবস্থানকালে তাঁর সমকালীনরা তাঁকে '''প্রিন্স''' নামে অভিহিত করেন এবং এভাবেই কলকাতায়ও তিনি প্রিন্স হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] পিতা এবং [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন ঐ সকল সমকালীন [[বানিয়া]] ও [[মুৎসুদ্দিদের]] (ইউরোপীয় বণিকদের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তা) একজন যারা বাঙালি শিল্প-বাণিজ্যের উদ্যোক্তা ও সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মযোগীদের প্রথম প্রজন্ম সৃষ্টি করেছিলেন। ঠাকুর পরিবারের যে ব্যক্তিটি প্রথমবারের মতো [[যশোরের]] পৈতৃক বাড়ি পরিত্যাগ করে ভাগ্যাম্বেষণে কলকাতায় আসেন এবং ইউরোপীয় কোম্পানিতে বানিয়া হিসেবে যোগ দেন তাঁর নাম [[পঞ্চানন ঠাকুর]]। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি ফরাসি কোম্পানিতে কাজ করেন।
 
ঠাকুররা ছিলেন রাঢ়ী শ্রেণির শোত্রিয় কুলীন ব্রাহ্মণ ৷ঠাকুরদের আদি পদবী ছিল কুশারী ৷ [[রাঢ়]] অঞ্চলের [[বর্ধমানের]] কুশ গ্রামে বসবাস করতেন ঠাকুরদের এক পূর্বপুরুষ [[দীননাথ]] ৷তিনি গ্রামটি উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন গ্রামের প্রধান ৷তাই গ্রামের নামানুসারে তাঁর পদবী হয় কুশারী ৷কুশারীরা ছিলেন [[কুলীন]] ব্রাহ্মণ ৷ কুশারীরা সেই গ্রামেই বংশানুক্রমে বসবাস করতে থাকেন ৷পরবর্তীকালে বর্ধমানের কুশ গ্রামের পৈতৃক বাস ছেড়ে কুশারীরা (ঠাকুররা) বাঁকুড়া,যশোর সমেত সারা বাংলাতে ছড়িয়ে যায় ৷তাঁদের যে শাখাটি তৎকালীন বৃহত্তর নদীয়ার অন্তর্ভূক্ত যশোরে যায় সেটি কালক্রমে যশোর অঞ্চলের বেশ প্রতিপত্তিশালী পরিবার হয়ে ওঠে এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকে ৷এই অঞ্চলে থাকাকালীনই ঠাকুররা (কুশারীরা) তাঁদের কুলীনত্ব হারিয়ে পীরালি থাকভূক্ত হয় ৷ ঠাকুর পরিবারের যে ব্যক্তিটি যশোর পরিত্যাগ করে ভাগ্যাম্বেষণে কলকাতায় আসেন এবং ইউরোপীয় কোম্পানিতে বানিয়া হিসেবে যোগ দেন তাঁর নাম [[পঞ্চানন ঠাকুর]]। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি ফরাসি কোম্পানিতে কাজ করেন।
সেকালের বাংলার অন্যান্য কুলীন [[ব্রাহ্মণ]] পরিবারের মতো ঠাকুর পরিবারও নিজেদের কুলীন [[ব্রাহ্মণ]] হিসেবে দাবি করেন। [[রাজা আদিশূর]] বেশ কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে [[কনৌজ]] থেকে আমন্ত্রণ জানান। ঠাকুর পরিবার নিজেদের তাদেরই উত্তরসূরি বলে দাবি করতেন। কিন্তু কোন কোন গবেষকের মতে, তাঁরা স্থানীয় এবং অপেক্ষাকৃত নীচুবর্ণের ব্রাহ্মণ যাঁরা '''পীরালি ব্রাহ্মণ''' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উঁচু বর্ণের ব্রাহ্মণদের সঙ্গে তাঁদের কোনরকম সম্পর্ক ছিল না। ঠাকুর পরিবারের আদি প্রতিষ্ঠাতা [[জয়রাম]] ১৭৬০-৬২ সাল পর্যন্ত [[চব্বিশ পরগনা জেলা|চব্বিশ পরগনা জেলার]] একজন [[আমিন]] ছিলেন। তাঁর চারপুত্রের একজন [[নীলমণি]] (মৃঃ ১৭৯১) ছিলেন [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম জেলার]] [[সেরেস্তাদার]]। তিনি অগাধ অর্থবিত্তের অধিকারী হয়ে [[জয়রাম]] নির্মিত [[পাথুরিয়াঘাটা|পাথুরিয়াঘাটার]] পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে জোড়াসাঁকোয় এক সুরম্য ভবন নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করেন। এ বাড়িতেই [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে ওঠেন। নীলমণির পুত্র [[রামলোচন]]ও একজন ধনী বানিয়া ও বাণিজ্যপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি অপুত্রক ছিলেন বলে ভ্রাতা [[রামমণি ঠাকুর|রামমণি ঠাকুরের]] পুত্র দ্বারকানাথকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন।তাঁদের পারিবারিক উপাধি ‘ঠাকুর’ [[গোবিন্দপুর]] গ্রামের মৎস্যজীবী লোকদের দেওয়া। কারণ নিম্নবর্ণের এসব জেলে পাল-পার্বণে পীরালি ব্রাহ্মণগণের পৌরোহিত্য লাভ করাকে তারা সৌভাগ্য বলে মনে করত।
 
৪৫ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
* Blair B Kling, Partner in Empire: Dwarkanath Tagore and the Age of Enterprise in Eastern India, Calcutta, 1981;
* NK Sinha, The Economic History of Bengal 1793 – 1848, III, Calcutta, 1984.
*বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস,ব্রাহ্মণ কাণ্ড-নগেন্দ্রনাথ বসু
 
{{অসম্পূর্ণ}}