বাঙালি জাতীয়তাবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Infobliss (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[File:United Bengal.png|thumb|বাঙালি অধ্যুষিত সম্মিলিত বাংলা ]]'''বাঙালি জাতীয়তাবাদ''' হল একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি যার মাধ্যমে প্রাচিন কাল থেকে দক্ষিণ এশিয়াতে বসবাসরত [[বাঙালি জাতি|বাঙালি জাতি ]], তথা [[বঙ্গ|বাংলা]] ভাষাগত অঞ্চলের অধিবাসীদের বুঝানো হয়ে থাকে।<ref>http://www.bangla2000.com/bangladesh/language.shtm</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.betelco.com/bd/bangla/bangla.html |titleশিরোনাম=BANGLA - The Official Language of Bangladesh |publisherপ্রকাশক=Betelco.com |dateতারিখ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2011-12-22}}</ref> বাঙালি জাতি উপমহাদেশের একটি অন্যতম জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রভাবিত এক প্রভাবশালী জাতি। বাঙালি জাতিকে উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রুপকার বলা হয়ে থাকে। [[অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা|অবিভক্ত বাংলা]] পরবর্তীতে ব্রিটিশ চক্রান্তে বিভক্ত করা হয়। প্রাচীন [[বঙ্গ|বঙ্গদেশ]] অর্থাৎ [[বাংলাদেশ]] ও ভারতের [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ত্রিপুরা]], [[আসাম]] ও [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে]] বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়ের একতাবদ্ধ পরিচয়কে '' বাঙালি জাতীয়তাবাদ '' বলা হয় যাদের ইতিহাস অন্ততঃ চার হাজার বছর পুরোনো। এদের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]। ১৯ শতকে উদ্ভূত [[বাংলার নবজাগরণ]] এবং [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন]], [[বাংলা ভাষা আন্দোলন]], [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ]] এবং ১৯৭১ সালে ''[[বাংলাদেশ]]'' ও একটি [[অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা|অবিভক্ত স্বাধিন বাংলা]] সৃষ্টি পেছনে প্রধান অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করছে।
 
== ইতিহাস ==
{{mainমূল নিবন্ধ|বাংলার ইতিহাস|বাংলার নবজাগরণ}}
 
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মধ্যে গৌরবজ্জ্বল ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। [[বাংলার নবজাগরণ]] বলতে বাঙালি সমাজের রুপান্তর এবং উন্নয়নে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা প্রচলন শুরু হওয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলা হয়ে ওঠে আধুনিক সংস্কৃতি, বুদ্ধিজীবী ও বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের, রাজনীতি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের]] একটি অন্যতম প্রাধান কেন্দ্র। প্রথম সামাজিক ও ধর্মীয় পুনর্গঠন যেমন বাংলায় [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্ম সমাজ]] এবং [[রামকৃষ্ণ মিশন]] ইত্যাদির নেতৃত্বে ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, [[অরবিন্দ ঘোষ|শ্রী অরবিন্দ,]] রামকৃষ্ণ পরমহংস ও [[স্বামী বিবেকানন্দ|স্বামী বিবেকানন্দের]] মত বিভিন্ন জাতীয় নেতা এবং সংস্কারকগণ। বাংলা সাহিত্য, কবিতা, ধর্ম, বিজ্ঞান এবং দর্শনের বিস্তারের ক্ষেত্রে বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায় [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসুদন দত্ত]], শরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু|সত্যেন্দ্রনাথ বোস]], জগদীশ চন্দ্র বোস ও [[কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলামের]] কাজ ব্যাপক অবদান রাখে। [[ইয়ং বেঙ্গল]], এবং [[যুগান্তর দল|যুগান্তর]] আন্দোলন এবং অমৃত বাজার পত্রিকার মত ভারতের সংবাদপত্রগুলো বুদ্ধিজীবী উন্নয়ন নেতৃত্বে দিয়েছিলো। কলকাতা-ভিত্তিক [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন|ভারতীয় ন্যাশনাল এসোসিয়েশন]] এবং [[ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন|ব্রিটিশ ভারতীয় এসোসিয়েশন]] ছিল ভারতে প্রথমদিকের রাজনৈতিক সংস্থা।
৮ নং লাইন:
==বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)==
[[চিত্র:Bengal gazetteer 1907-9.jpg|thumb|300px|পূর্ব বঙ্গ ও আসাম প্রদেশের মানচিত্র]]
{{mainমূল নিবন্ধ|বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)}}
প্রথম বাঙলা জাতীয়তাবাদের যে আন্দোলনের সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ নামে অধিক পরিচিত লাভ করে তা মূলত বিট্রিশ কর্তৃপক্ষ দ্বারাই সংঘঠিত হয়।'<ref>John R. McLane, "The Decision to Partition Bengal in 1905," ''Indian Economic and Social History Review,'' July 1965, 2#3, pp 221–237</ref><ref>Encyclopedia Britannica, "Partition of Bengal" http://www.britannica.com/EBchecked/topic/60754/partition-of-Bengal</ref> বঙ্গভঙ্গকে বাঙালি মুসলমানরা সমর্থন করলেও অধিকাংশ বাঙালি বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন এবং [[স্বদেশী আন্দোলন]] এর মত বিভিন্ন ধরনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যাপকভাবে ইউরোপীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেয়। বিট্রিশ আধিপত্যকে প্রত্যাখ্যান করে এবং একটি অখন্ড বাঙলার প্রতিষ্ঠার আশায়, বাঙালিরা একটি বিপ্লবী আন্দোলন ডাক দেন, যা বাঙালির জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিগণিত হয়। [[বিপিন চন্দ্র পাল]], [[খাজা সলিমুল্লাহ]], [[চিত্তরঞ্জন দাস]], [[আবুল কালাম আজাদ|মাওলানা আজাদ]], [[সুভাষচন্দ্র বসু]], তার ভাই [[শরৎচন্দ্র বসু]], [[শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়]], [[এ কে ফজলুল হক]], [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] এর মত রাজনৈতিক নেতাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে বাঙলা, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অন্যতম ভিত্তি হিসেবে গড়ে উঠে।
 
৪২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাজনীতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার নবজাগরণ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ]]