লিওনেল প্যালেরিট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ব্যক্তিগত জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
|||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ক্রিকেটার
| name = লিওনেল প্যালেরিট
| image = LCHPalairet1892.jpg
৬ নং লাইন:
| country = ইংল্যান্ড
| fullname = লিওনেল চার্লস হ্যামিল্টন প্যালেরিট
| birth_date = {{
| birth_place = [[Grange-over-Sands|গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডস]], [[Lancashire|ল্যাঙ্কাশায়ার]], ইংল্যান্ড
| death_date = {{
| death_place = [[Exmouth|এক্সমাউথ]], [[Devon|ডেভন]], [[ইংল্যান্ড]]
| batting = ডানহাতি
৬৮ নং লাইন:
পরবর্তী দশকে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় শৌখিন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন। সাত মৌসুমে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছেন। দুইটি দ্বি-শতকও হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৮৯৫ সালে [[Hampshire County Cricket Club|হ্যাম্পশায়ারের]] বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯২ রান তুলেছেন। তৎকালীন সমারসেটের এ রেকর্ডটি ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত টিকেছিল।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র দুইটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন লিওনেল প্যালেরিট। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ও পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড মাত্র এক উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল।
১৯০৪ সালের পর থেকে সমারসেটের পক্ষে অনিয়মিতভাবে অংশ নিতে থাকেন। তবে, ১৯০৭ সালে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলেন। ঐ বছর তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯০৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরো হাজারেরও অধিক রান তুলেছেন লিওনেল প্যালেরিট।
== প্রারম্ভিক জীবন ==
২৭ মে, ১৮৭০ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিখ্যাত সমুদ্র অবকাশ যাপন কেন্দ্র গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডসে লিওনেল প্যালেরিটের জন্ম।<ref name="whoswho">{{
লিওনেল প্যালেরিটের শুরুর দিকের বেশ কিছু সফলতার জন্য পিতার সহযোগিতা বেশ গুরুত্ব পায়। তিনি পরবর্তীকালে [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদ্বয়]] - [[Frederick Martin (cricketer)|ফ্রেডরিক মার্টিন]] ও [[William Attewell|উইলিয়াম অ্যাটওয়েলের]] ন্যায় পেশাদার খেলোয়াড়দেরকে দুই পুত্রের উত্তরণে ইস্টার হলিডেতে বোলিং করতে অর্থ ব্যয় করেন। এছাড়াও, পরবর্তী ক্রিকেট মৌসুমে তাঁদেরকে সংগঠিত করার প্রয়াস চালান। ১৮৮৯ সালের শেষদিকে প্যালেরিট প্রথমবারের মতো সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন।<ref>{{
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
অক্সফোর্ডে ভর্তি হবার প্রথম বছরেই [[Oxford University Cricket Club|অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের]] পক্ষে খেলার জন্য লিওনেল প্যালেরিটকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মে, ১৮৯০ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।<ref name="fcm">{{
অক্সফোর্ডের [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]] সম্পর্কে অক্সফোর্ড ক্রিকেট ঐতিহাসিক জিওফ্রে বোল্টন মন্তব্য করেন যে, ১৮৯১ সালে খেলার মান অগ্রহণযোগ্য। তখন প্যালেরিট বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বৎসর পার করছিলেন। প্যালেরিটের ব্যাটিং গড় ১৫.৭৮ যা সতীর্থদের মাঝে পঞ্চম স্থান এনে দেয়। এবারও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় দুই ও এগারো রান তুলে কঠিন সময় পার করেন।<ref>Bolton (1962), pp. 136–139.</ref> অক্সফোর্ডে অবস্থানকালে সচরাচর মাঝারিসারিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন লিওনেল প্যালেরিট। অপ্রত্যাশিতভাবে সমারসেটের দলীয় [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|অধিনায়ক]] হার্বি হিউইটের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন। এ অবস্থানে থেকে সমারসেট আশাতীত সফলতা পায়। দশ খেলায় ৩১.১১ গড়ে রান তুলেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের একজন হন।<ref>{{
১৮৯১-৯২ মৌসুমে [[মার্টিন হক|লর্ড হকের]] নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে উত্তর আমেরিকা গমনে সম্মতিজ্ঞাপন করেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ও সমারসেটের দলীয় সঙ্গী [[স্যামি উডস]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।<ref>{{
১৮৯২ সালে প্যালেরিটকে অক্সফোর্ড দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] ভাষ্য মতে, মৌসুমটি সর্বাধিক সফলতম ছিল। প্যালেরিট নিজেকে [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলার]] হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালান। কেবলমাত্র [[George Berkeley (cricketer)|জর্জ বার্কলি]] তাঁর তুলনায় অধিক বল করেছিলেন।<ref name="Bolton1892">Bolton (1962), pp. 140–144.</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, জেন্টলম্যানের বিপক্ষে অক্সফোর্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।<ref>{{
বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অসামান্য ভূমিকার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় তাঁকে মনোনীত করা হয়। লর্ডস ও ওভালের ঐ খেলাগুলোয় তিনি জেন্টলম্যানের পক্ষাবলম্বন করেন। সমারসেটে ফিরে জুলাইয়ে শুরুতে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষ সেঞ্চুরি হাঁকান।<ref>{{
১৮৯৩ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক তাঁকে বর্ষসেরা পাঁচজন খেলোয়াড়ের একজনরূপে স্বীকৃতি দেয়। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, তেমন কোন সন্দেহে নেই যে ক্রিকেট বিশ্ব এরচেয়ে অধিক স্বীকৃতি দিতে কালবিলম্ব করবে।<ref name="coty"/>
৯২ নং লাইন:
পূর্ববর্তী বছরের সাথে তুলনা করলে ১৮৯৩ সালটি অক্সফোর্ডের জন্য অন্যতম ব্যর্থতার বছর ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় দলটি কোন খেলাতেই জয়লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। ব্যাটিং উপযোগী পরিবেশ থাকা স্বত্ত্বেও কোন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি। ২১.২৩ গড়ে ২৭৬ রান তুলে প্যালেরিট ব্যাটিং গড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। বোল্টন দল নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। ঐ বছর প্যালেরিটের অধিনায়কত্বে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় আরও শক্তিশালী দল গঠন করা যেতো।<ref name="Bolton1893">Bolton (1962), pp. 144–147.</ref> অন্যদিকে কেমব্রিজের ন্যায় শক্তিধর দলে পূর্ববর্তী বছরে অংশগ্রহণকারী আটজন খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও, [[Arthur Jones (cricketer)|আর্থার জোন্স]] ও কে. এস. রণজিতসিংজীকে অন্তর্ভূক্ত করে। অক্সফোর্ড খেলায় ২৬৬ রানে পরাজিত হয়। কেবলমাত্র প্যালেরিট ও ফ্রাই দলের চেয়ে ১২ রান বেশী করেছিলেন।<ref>Chesterton, Doggart (1989), p. 114.</ref>
অক্সফোর্ডে চার বছর অবস্থানকালে প্যালেরিট প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে ৩১বার অংশ নেন। ২৩.০৫ গড়ে ১,২৯১ রান তুলেন। নয়টি অর্ধ-শতকের ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিল [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৭৫ রান।<ref>{{
== শৌখিন ব্যাটসম্যান ==
ডব্লিউ. জি. গ্রেসের ভাষ্য মোতাবেক জানা যায়, পরবর্তী মৌসুমগুলোয় প্যালেরিট শৌখিন ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সম্মুখসারিতে অবস্থান করেছিলেন।<ref>{{
১৮৯৫ সালে জাতীয় ব্যাটিং গড়ে লিওনেল পালাইরেট চতুর্থ স্থানে অবস্থান করেছিলেন।{{efn|name="1000runs"|Amongst batsmen with over 1,000 first-class runs.}} ৪৬.৮৯ গড়ে ১,৩১৩ রান তুলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে অংশগ্রহণকারী অপর তিনজন ব্যাটসম্যান - [[আর্চি ম্যাকলারেন]], গ্রেস ও রণজিতসিংজীই কেবল তাঁর তুলনায় অধিক গড়ে রান তুলেছিলেন।<ref>{{
১৮৯৭ সালে খুব কমসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন পালাইরেট। মাত্র বারো খেলায় অংশ নিয়ে ৩০-এর কম গড়ে ৫৯৩ রান করেন। ১৮৯৫ থেকে ১৯০৬ সালের মধ্যে এটিই তাঁর সর্বনিম্ন গড় ছিল।<ref name="batbs"/> তাস্বত্ত্বেও সমারসেট কর্তৃপক্ষ তাঁর উপর বেশ আস্থা রেখেছিলেন। ১৮৯৭ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে কাউন্টি দলটির ব্যাটিং গড়ে তিনি শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন।<ref>{{
১৮৯৯ সালের পুরোটা সময় [[appendicitis|অ্যাপেন্ডিসাইটিসের]] কারণে খেলা থেকে দূরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।<ref name="bailys"/><ref>Foot (1986), p. 69.</ref> তবে, বেইলিজ ম্যাগাজিন অব স্পোর্টস এন্ড পাসটাইমসে উল্লেখ করা হয় য, ঐ গ্রীষ্মে তিনি হয়তোবা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলায় অংশ নিতে পারতেন।<ref name="bailys"/> ১৯০০ সালে খেলার জগতে ফিরে আসেন। ৩৫.০৭ গড়ে ৯৪৭ রান তুলেন।<ref name="batbs"/> হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ১৬১ রানের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন।<ref>{{
১৯০১ সালে দারুণ সময় অতিবাহিত করেন লিওনেল পালাইরেট। পরিসংখ্যানগতভাবে কেবলমাত্র ফ্রাই ও রণজিত সিংহের পরই জাতীয় ব্যাটিং গড়ে অবস্থান করেন।{{efn|name="1000runs"}} ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর ১৭৩ রানের ইনিংসটি সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হয়।<ref name="wisdenobit"/> ১৯০০ সালে ইয়র্কশায়ার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপাধারী দল ছিল। খেলাটি হেডিংলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ও ১৯০১ সালে দলের একমাত্র পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করে সমারসেটের কাছে।<ref>{{
== ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্তি ==
১৯০২ সালের ইংরেজ গ্রীষ্ম মৌসুমটি বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যাটিং করা বেশ দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছিল।<ref>Altham, Swanton (1938), p. 244.</ref> পুরো মৌসুম জুড়ে পালাইরেট কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি। তাস্বত্ত্বেও, সহস্রাধিক রান উঠানোয় সক্ষমতা দেখান। আবারও তিনি ইয়র্কশায়ারের পরাজয়ের প্রতীকী কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। [[Sir Home Gordon, 12th Baronet|স্যার হোম গর্ডন]] বৃষ্টি আক্রান্ত উইকেটে পালাইরেটের ২৫ ও ২৪ রানের পাশাপাশি উভয় ইনিংসে ব্রন্ডের দুই অঙ্কে স্পর্শের কথা তুলে ধরেন। উইজডেনের মতে, এ জুটির ব্যাটিং অবিশ্বাস্য ও সমারসেটের ৩৪ রানে জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখে যা বছরে দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয়বার জয় পায়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সমারসেটই একমাত্র দল হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে পরাজিত করেছিল।<ref>Green (1980), pp. 279–280.</ref>
১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর এক সপ্তাহ পূর্বে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ড্র হওয়া খেলায় তিনি ৩৯ ও ৪৪ রান তুলেন।<ref>{{
টেস্ট অভিষেকে পালাইরেট ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন ও ছয় রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যান। ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৪৫ মিনিটে [[জ্যাক সন্ডার্স]] ও [[হিউ ট্রাম্বল|হিউ ট্রাম্বলের]] বোলিং তোপে প্রথম পাঁচজন শিকারের অন্যতম ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও পুণরায় ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে নামেন পালাইরেট। এবার অন্য সঙ্গী হিসেবে ম্যাকলারেন [[ববি অ্যাবল|ববি অ্যাবলের]] পরিবর্তে উদ্বোধনে নামেন। এ জুটি ৪৪ রান তুলে। উইজডেন মন্তব্য করে যে, খেলতে যতোটা অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন, তারচেয়ে বেশী বোলিং আক্রমণ সামাল দিতে হয়েছে তাদেরকে। সন্ডার্সের বলে আউট হন পালাইরেট। ১২০ রানে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ও চার রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংরেজ দল।<ref name="Green2932"/>
সিরিজের পরবর্তী পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে পালাইরেটকে দলে রাখা হয়। হার্স্ট ও জেসপকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়।<ref name="Green3235">Green (1980), pp. 32–35.</ref> পুরোদিন সফরকারী দল ব্যাট করে ৩২৪ রান তুলে। রাতে বৃষ্টি নামলে ব্যাটিং করা বেশ দূরূহ হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ড ১৮৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ট্রাম্বলের বলে ২০ রানে পালাইরেট বিদায় নেন। অ্যাল্থাম তাঁর ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।<ref>Altham, Swanton (1938), pp. 246–247.</ref> অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ও খেলায় জয়ের জন্য ইংল্যান্ডেরে প্রয়োজন পড়ে ২৬৩ রান। পালাইরেট ছয় রানে আউট হন ও ইনিংসে ট্রাম্বলের তৃতীয় বোল্ড হন তিনি। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১০/৩ হয়। নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসপ ও হার্স্ট দলকে তুলে ধরেন ও ইংল্যান্ড এক উইকেটের নাটকীয় জয় পায়।<ref name="Green3235"/> ঐ গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমারসেটের সদস্যরূপে আরও একটি খেলায় অংশ নেন। টনটনে অনুষ্ঠিত ড্র হওয়া খেলাটিতে তিনি ৪৪ ও ৯০ রান তুলেছিলেন।<ref>{{
== শেষদিকের কাউন্টি ক্রিকেট ==
১৯০৩ সালে এগারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন লিওনেল পালাইরেট। এ মৌসুমে একটিমাত্র সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারের]] বিপক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রান তুলেন।<ref>{{
১৯০৭ সালে পালাইরেট কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সমারসেটের পক্ষে সবগুলো খেলাতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯০৭ সালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ক্লাবের সদস্যরূপে অংশ নেন। এক পর্যায়ে কিছু খেলায় ক্লাবটিতে যোগ্যতাসম্পন্ন এগারোজন খেলোয়াড়কে নিয়ে খেলতে হিমশিম খায়। ফলশ্রুতিতে, [[Ted Tyler|টেড টাইলরকে]] পুণরায় জোরপূর্বক দলে খেলতে বাধ্য করা হয়। টাইলর চার বছর ধরে সমারসেটের পক্ষে খেলেননি ও ১৯০০ সাল থেকে মাত্র পাঁচ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।<ref name="Foot8284"/><ref>{{
মৌসুম শেষে সমারসেট কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের পয়েন্ট তালিকায় ষোল দলের মধ্যে চৌদ্দতম স্থান দখল করে। এর পরপরই দলের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ্য খেলোয়াড়ের অভাব ও দলের উজ্জ্বীবনী শক্তির অভাবের কথা তুলে ধরেন লিওনেল পালাইরেট। <ref name="Foot8284"/> ১৯০৭ সালের পর তিনি আর মাত্র আটট প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯০৯ সালে টনটনে কেন্টেের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে এক রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিন রান তুলেছিলেন।<ref name="fcm"/><ref>{{
== ব্যক্তিগত জীবন ==
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত লিওনেল পালাইরেট ১৮৯৪ সালে উইল্টশায়ারের সুপরিচিত ক্রিকেট উপদেষ্টা উইলিয়াম হেনরি লেভারটনের কন্যা ক্যারোলিন মাবেল লেভারটনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুই সন্তান ছিল। ১৮৯৫ সালে এভলিন মাবেল হ্যামিল্টন ও পরের বছর হেনরি এডওয়ার্ড হ্যামিল্টন জন্মগ্রহণ করে।
পালাইরেটের ভাই রিচার্ড পালাইরেট ১৮৯১ থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত সমারসেটের পক্ষাবলম্বন করেন। তবে, যোগ্যতার মানদণ্ডে লিওনেলের তুলনায় কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।<ref>{{
ক্রিকেটের পাশাপাশি পালাইরেট অন্যান্য ক্রীড়ায়ও তাঁর আগ্রহ বজায় রেখেছিলেন। ১৯০১ সালে বেইলিজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত জীবন-বৃত্তান্তে খেঁকশিয়াল শিকারকে প্রধান খেলারূপে তুলে ধরা হয়েছিল।<ref name="bailys"/> ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর লিওনেল পালাইরেট দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রথিতযশা গল্ফার হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৯১১ সালে ডেভন কাউন্টি গল্ফ ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর তিনি প্রথম সভাপতির দায়িত্ব লাভের গৌরব অর্জন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে-পরে ১৯১৪ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত গল্ফে ডেভন দলের অধিনায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন। এছাড়াও, ১৯২৩ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।<ref>{{
২৭ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে এক্সমাউথ এলাকায় ৬২ বছর বয়সে দেহাবসান ঘটে লিওনেল পালাইরেটের।<ref name=timesobit/><ref name="wisdenobit"/>
১৩৭ নং লাইন:
== গ্রন্থপঞ্জী ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী}}
*{{
*{{
*{{
*{{
*{{
*{{
*{{
*{{
== বহিঃসংযোগ ==
১৬২ নং লাইন:
{{১৮৯৩ উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার}}
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:প্যালেরিট, লিওনেল}}▼
▲{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:প্যালেরিট, লিওনেল}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭০-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ মৃত্যু]]
|