শ্রীমঙ্গল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৩৭ নং লাইন:
|government_footnotes =
|government_type = [[সংসদীয় আসন]]
|governing_body = [[মৌলভীবাজার-৪ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা)|
|leader_title =[[সংসদ সদস্য]]
|leader_name = [[মোঃ আব্দুস শহীদ]]
৬৯ নং লাইন:
|area_metro_sq_mi =
|population_as_of =২০১১
|population_footnotes =<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
|population_total =318025
|population_metro =
৯৬ নং লাইন:
|elevation_footnotes =
|elevation_m =
|elevation_ft =
|postal_code_type = [[পোস্ট কোড]]
১১৪ নং লাইন:
প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম থাকে। আর এ কারণে শ্রীমঙ্গলে গড়ে ওঠেছে [[পাঁচ তারকা হোটেল]] অনেক [[আবাসিক হোটেল]] ও [[রেস্তোরা]]। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে এ [[উপজেলা|উপজেলায়]] ৪০ টি চা বাগান।<ref name="k">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/page/32a2c138-0757-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF|শিরোনাম=ভাষা ও সংস্কৃতি|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-10|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="l">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/tourist_spot/38b8f6e0-0758-11e7-a6c5-286ed488c766|শিরোনাম=উলেস্নখযোগ্য স্থান বা স্থাপনা|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-10|ভাষা=বাংলা}}</ref>
তাছাড়াও [[রাবার]], [[লেবু]], [[পান]], [[আনারস]] ও মূল্যবান [[কাঠ]] ইত্যাদি নানা কারণে শ্রীমঙ্গলের উল্লেখযোগ্যতা রয়েছে ।<ref name="i"/><ref name="l"/><ref name="m">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://porjotonlipi.com/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2/|শিরোনাম=চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল|প্রকাশক=PORJOTONLIPI |সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-10|ভাষা=বাংলা}}</ref
এত বৃষ্টিপাতের পরেও শ্রীমঙ্গলে [[বন্যা]] না হওয়ার কারন কাছাকাছি অবস্থিত (২০ কিলোমিটার দূরে) বড় নদী [[মনু]] থেকে শ্রীমঙ্গলে আসার পথে অনেক [[নিচুভূমি]], শ্রীমঙ্গল শহরের গড় উচ্চতা আশেপাশে অবস্থিত অন্যান্য অঞ্চল থেকে বেশি এবং শ্রীমঙ্গল পাহাড় দিয়ে বেষ্টিত হওয়ায় অন্যান্য বড় নদীর পানি পাহাড় টপকে এ অঞ্চলে আসতে পারে না। শ্রীমঙ্গলে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। তারমধ্যে
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরে গ্যাসক্ষেত্র অন্যতম ।তাছাড়া শ্রীমঙ্গলের বালিতে খনিজ পর্দাথ জাতীয় সিলিকা বালি পাওয়া গেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/page/5182a3f0-0757-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A6|শিরোনাম=প্রাকৃতিক সম্পদ|প্রকাশক=বাংলাদেশ সরকার: শ্রীমঙ্গল উপজেলা|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> শ্রীমঙ্গলের আরেকটি বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র হলো মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন গভীর রাতে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে ড্রিলিংয়ের সময় অগ্নিবিস্ফোরণে আশপাশের খাসিয়াপুঞ্জি, চা বাগান, রেললাইন, সবুজ বনাঞ্চল সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই গ্যাসকূপটি এখন পরিত্যক্ত এবং সংরক্ষিত এলাকা। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে , এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ তেল ও গ্যাসের খনি ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/tourist_spot/38b8f6e0-0758-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8|শিরোনাম=দর্শনীয় স্থান|প্রকাশক=বাংলাদেশ সরকার: শ্রীমঙ্গল উপজেলা|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> এ গ্যাস কুপের পাশেই রয়েছে মার্কিন কোম্পানী সেভরনের জেরিন চা বাগান। তাছাড়া এ অঞ্চলে অনেক প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো হলো: নির্মাই শিববাড়ি (১৪৫৪), কালাপুর গ্রামে প্রাপ্ত একাদশ শতাব্দীর (১০০০-১১০০ খ্রিষ্টাব্দ) রাজা মরুন্ডনাথের তাম্রশাসন ও লামুয়া গ্রামের মাটির নিচ থেকে উদ্ধারকৃত অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ ইত্যাদি প্রাচীন যোগের নিদর্শন প্রাচীন শ্রীমঙ্গলের ধারণা পরিস্ফুটিত করতে অনেকটাই সক্ষম।<ref name="f"/><ref name="i"/><ref name="l"/><ref name="m"/><ref name="bb">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=শ্রীমঙ্গল উপজেলা
|প্রকাশক=বাংলাদেশ সরকার: বাংলাপিডিয়া|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-17|ভাষা=বাংলা}}</ref
== অবস্থান ও আয়তন ==
১২৫ ⟶ ১২৪ নং লাইন:
==নামকরণের ইতিহাস==
[[File:চা কন্যা.jpg|thumb|শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা-কন্যা স্থাপত্য]]
প্রাচীন শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মত ও জনশ্রুতি শোনা যায়। তবে সবথেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে-
[[প্রথমত]] :বাবু প্রকৃত রঞ্জন দত্ত ([[এডভোকেট]] [[হাই কোর্ট]] ডিভিশন [[সিলেট]]) বিরচিত ‘[[সাতগাঁও]] এর [[ইতিহাস]]’ নিবন্ধনে বিভিন্ন লেখকের মত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, [[সাতগাঁও]] এর পাহাড়ে অধিষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল চন্ডি মন্দিরকে কেন্দ্র করে এককালে মঙ্গল চন্ডির হাটের প্রতিষ্ঠা হয়। সেই মঙ্গল চন্ডির হাটই পরবর্তী কালে শ্রীমঙ্গল বাজারে রূপান্তরিত হওয়ার পর এ অঞ্চলে অধিক লোক সমাগম ঘটে এবং লোকমুখে শ্রীমঙ্গল বাজার হিসেবে এ অঞ্চল পরিচিতি লাভ করে। এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, শ্রীমঙ্গল চন্ডির মন্দিরের বিলুপ্ত প্রায় ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বর্তমান [[শ্রীমঙ্গল পৌরসভা]] হতে কয়েক [[ক্রোশ]] উত্তর পশ্চিমে।<ref name="c"/><ref name="r"/><ref name="s"/>
১৩৩ ⟶ ১৩২ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:বধ্যভূমি-৭১.png|thumb|400px|বধ্যভূমি-৭১]]
[[চিত্র:
শ্রীমঙ্গলের ইতিহাস কয়েকটি পর্বে ভাগ করা যেতে পারে; যেমন; [[প্রাচীন রাজ্য সমুহ]], [[আর্য]] [[যুগ]], [[মুসলিম]] শাসিত আমল, [[মোগল]] আমল, [[ব্রিটিশ]] আমল, পাকিস্তানে অর্ন্তভুক্তি, [[মুক্তিযুদ্ধ]] ও [[বাংলাদেশ]]।
বর্ণিত আছে যে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল , [[পৌরাণিক যুগ|পৌরাণিক যুগে]] প্রাচীন [[কামরূপ রাজ্য|কামরূপ রাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঐ যুগে সিলেটের লাউড় পর্বতে কামরূপ রাজ্যের উপরাজধানী ছিল বলে জানা যায়। ধারণা করা হয় প্রাচীনকালে [[দ্রাবিড়]] ও [[মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী]] এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। দশম শতাব্দিতে এ অঞ্চলের কিছু অংশ বিক্রমপুরের চন্দ্রবংশীয় রাজাদের দ্বারা শাসিত হয় বলে জানা যায়। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে [[ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি|ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির]] বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চল মুসলমানদের দ্বারা অধিকৃত হয় এবং ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে আউলিয়া [[শাহ জালাল (রহ:)]] দ্বারা গৌড় রাজ্য বিজিত হলে, দিল্লীর সুলতানদের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে [[মুসলিম শাসন]] প্রতিষ্ঠিত হয়। চতুর্দশ শতাব্দিতে [[বালিশিরা]] (শ্রীমঙ্গল) অঞ্চলের ত্রিপুরার মহারাজা রাজত্ব করতেন।<ref name="
অর্থাৎ ঐ সময় শ্রীমঙ্গল ছিলো [[ত্রিপুরা|ত্রিপুরার]] [[রাজধানী]]। প্রবল শক্তিশালী এ রাজার বিরুদ্ধে [[কুকি (জাতিগোষ্ঠী)|কুকি]] সামন্ত রাজা প্রায়ই বিদ্রোহ ঘোষণা করতেন। এরকম এক যুদ্ধে ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা পরগনার শংকরসেনা গ্রামে মহারাজের প্রধান সেনাপতি (মহারাজের দামান) নিহত হলে মহারাজের মেয়ে [[সতীদাহ|সতীদাহে]] রাজি না হয়ে আরাধনা শুরু করেন। ঐ যুদ্ধের স্থানেই নিম্মাই শিববাড়ি নির্মিত হয়।<ref name="
উল্লেখ্য বর্তমানে নিম্মাই শিববাড়ি শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা পরগনার শংকরসেনা গ্রামে রয়েছে। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভাগ্যচন্দ্রের শাসনামলে মনিপুর রাজপুরুষ মোয়ারাংথেম গোবিন্দের নেত্বত্বে একদল মণিপুরী মণিপুর রাজ্য ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের খাসপুরে এসে আবাস গড়েন। এই খাসপুরে রয়েছে মোয়ারাংথেম গোবিন্দের স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ ।<ref name="
১৮৫৪ সালে সিলেট শহরের মালনিছড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম [[চা-বাগান]]।<ref name="i"/> এরপর শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমানে [[চা-বাগান]] প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বৃহত্তর [[সিলেট]] ও [[চট্রগ্রাম]] এলাকায় বিস্তৃত হয় চায়ের ভূবন। [[বৃটিশ]] আমলের প্রথম দিকে বৃহত্তর [[সিলেট জেলা]] সহ শ্রীমঙ্গল [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অধীনে ছিল। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চল [[ভারত|ভারতের]] [[আসাম]] [[প্রদেশ|প্রদেশের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর শ্রীমঙ্গলসহ বৃহত্তর [[সিলেট জেলা|সিলেট জেলাকে]] আবার [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অধীনে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯১১ সালে [[বঙ্গভঙ্গ]] রদের পর পুনরায় বৃহত্তর সিলেটসহ শ্রীমঙ্গল আসামের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। অর্থাৎ টানা দুইবার ঢাকা বিভাগ ও দুইবার আসামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৮২ সালে মৌলভীবাজারকে সাউথ সিলেট মহকুমা ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালে শ্রীমঙ্গলকে থানা ঘোষণা করা হয়।<ref name="r"/> ১৯১৫ সালে [[আসাম]] সরকারের এক নির্দেশে লোকাল বোর্ড চালু হলে শ্রীমঙ্গলকে [[মৌলভীবাজার]] লোকাল বোর্ড এর অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। এই এলাকায় চা-চাষের উপযোগী ভূমি থাকায় এখানে চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। চা-পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই অঞ্চলে [[রেল]] লাইন স্থাপিত হয়। প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল ষ্টেশনের গোড়াপত্তন করা হয়। শ্রীমঙ্গল রেল ষ্টেশন প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে থানা সদর দপ্তর শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তরিত হয়।১৯২৯ সালে শ্রীমঙ্গল [[বাজার]] এলাকাকে [[আরবান এলাকা]] হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৩৫ সালের ১ লা অক্টোবর, ১৯২৩ এর [[আসাম]] মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধান মূলে ১৯২৯ সালে ঘোষিত আরবান এলাকা নিয়ে ‘শ্রীমঙ্গল স্মল টাউন কমিটি’ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আত্নপ্রকাশ ঘটে। ১৯৬০ সালে এটি ‘মিউনিসিপ্যালিটিতে’ রূপান্তরিত হয়। <ref name="r"/>
১৬৫ ⟶ ১৬৪ নং লাইন:
এদের মধ্যে রয়েছে [[ল্যাঞ্জা হাঁস]], [[বেগুনি কালেম]], [[পাতি সরালি]] ইত্যাদি।<ref name="surma"/>
[[চিত্র:শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অতিথি পাখি.jpeg|thumb|350px|শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অতিথি পাখি]]
[[চিত্র:
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত আরহাওয়ার রেকর্ড রয়েছে।<ref name="banglat">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatelegraph.com/article/66482|শিরোনাম= সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড: জেনে নিন আজকের তাপমাত্রা কোথায় কত|প্রকাশক=বাংলা টেলিগ্রাফ |সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> তারমধ্যে ২০১৮ সালে [[পঞ্চগড়|পঞ্চগড়ের]] [[তেঁতুলিয়া|তেঁতুলিয়ায়]] ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।<ref name="
যদিও বাংলাদেশে বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সংঘটিত হয় বর্ষা মৌসুমে ([[জুন]] থেকে [[অক্টোবর]])।<ref name="bb"/> তবে শ্রীমঙ্গলে [[মার্চ]] এর মাঝামাঝি থেকে [[অক্টোবর]] পর্যন্ত অর্থাৎ শীতকাল বাদে সারাবছরই বৃষ্টিপাত হয়। তবে [[জুন]] থেকে [[অক্টোবর]] মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকে। এ মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের মূল কারণ [[বঙ্গোপসাগর|বঙ্গোপসাগরে]] সৃষ্ট দুর্বল নিম্নচাপসমূহ এবং [[সমুদ্র]] থেকে বাংলাদেশের ভূখন্ড অভিমুখী আর্দ্র [[মৌসুমি বায়ু]]। [[বর্ষা]] মৌসুমেও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (শ্রীমঙ্গল এই অবস্থানে) অধিক মাত্রায় বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে [[মেঘালয়]] পর্বতের প্রভাব রয়েছে। সাধারণত মধ্য অক্টোবরের পর আর্দ্র মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ স্তিমিত হয়ে গেলে দ্রুত বৃষ্টিপাত হ্রাস পেতে থাকে।<ref name="bb"/>
২০১৭ এর এপ্রিল মাসে যখন বাংলাদেশে ১১৯.৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল তখন শ্রীমঙ্গলে অস্বাভাবিক ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়।<ref name="n"/><ref name="bd">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1325097?|শিরোনাম= ৩৫ বছরের মধ্যে বৃষ্টিবহুল এপ্রিল|প্রকাশক=bdnews24.com |সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref
{{আবহাওয়া বাক্স|location = শ্রীমঙ্গল
২১৯ ⟶ ২১৮ নং লাইন:
== প্রশাসনিক এলাকা ==
[[চিত্র:Srimangal Station.jpg|thumb|শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশন]]
৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১ টি [[পৌরসভা]], ৯ টি [[ইউনিয়ন]], ১১০ টি [[মৌজা]], ২০৫ টি [[গ্রাম]] নিয়ে এই উপজেলা গঠিত।<ref name="f"/><ref name="r">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/page/34209b4a-0757-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE|শিরোনাম=এক নজরে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-11|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="s">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sreemangal.moulvibazar.gov.bd/site/page/32a2378a-0757-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2|শিরোনাম=এক নজরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-11|ভাষা=বাংলা}}</ref
১৯৩৫ সালের ১ অক্টোবর, ১৯২৩ এর [[আসাম]] মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধান মূলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আত্নপ্রকাশ ঘটে। ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার রূপসপুর ও সুইনগড় মৌজার সমন্বয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা গঠিত হয়। স্বাধীনতা লাভ করার পর পৌরসভা শ্রেনী বিন্যাস করনে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভায় রূপান্তর হয়।<ref name="r"/> পরবর্তীকালে ১ লা জুলাই ১৯৯৪ তে ‘খ’ শ্রেনীতে ও ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০০২ এ ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নীত হয়।<ref name="r"/> শ্রীমঙ্গল পৌরসভা এলাকার উত্তরে রয়েছে [[শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন]], দক্ষিনে [[আশিদ্রোন ইউনিয়ন]], পূর্বে [[কালীঘাট ইউনিয়ন]]। শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকায় কোন নদী নেই তবে শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকা [[চা বাগান]] দ্বারা আচ্ছাদিত। শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকার ২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যদিয়ে ঢাকা - সিলেট [[রেল]] লাইনএবং ৭ নং এবং ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্যদিয়ে ঢাকা - সিলেট [[মহাসড়ক]] অতিক্রম করেছে । বাংলাদেশের চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গল বিখ্যাত। এ অঞ্চলে [[প্রাকৃতিক দুর্যোগ]]([[বন্যা]], [[খরা]]) সচরাচর পরিলক্ষিত হয় না তবে [[পাহাড়]] দ্বারা ঘেরার কারণে [[অতিবৃষ্টি]], প্রচন্ডশীতও পরিলক্ষিত হয়।<ref name="r"/>
২৬৮ ⟶ ২৬৭ নং লাইন:
ট্রেড লাইসেন্স:১৮১৩ টি
|
|}
২৮৫ ⟶ ২৮২ নং লাইন:
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
[[চিত্র:শ্রীমঙ্গল চা পাতা.jpeg|thumb|400px|শ্রীমঙ্গলের বাগানে চা পাতা উত্তোলনের দৃশ্য।]]
শ্রীমঙ্গলের অধিবাসী জনগোষ্ঠী মিশ্র প্রকৃতির।<ref name="
[[চিত্র:শ্রীমঙ্গলে আগত বিদেশি পর্যটক.jpeg|thumb|left|400px|শ্রীমঙ্গলে আগত বিদেশি পর্যটক।]]
[[চিত্র:শ্রীমঙ্গল বাজারের এক বৃদ্ধ লেবু বিক্রেতা.jpeg|thumb|left|400px|শ্রীমঙ্গল বাজারের এক বৃদ্ধ লেবু বিক্রেতা।]]
২০০১ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ২৭৮৩২৩ জন। যার মধ্যে ১৪৩০৩৩ জন পুরুষ ও ১৩৫১৯৯ জন নারী।<ref>[http://www.bbs.gov.bd/dataindex/census/ce_uzila.pdf Bangladesh Bureau of Statistics, 2001]</ref>
শ্রীমঙ্গলের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। এই সকল চা বাগানে শ্রীমঙ্গলের জনসংখ্যার বিরাট একটা অংশ কাজ করছে। তবে চা বাগানের কর্মচারীদের বেশিরভাগই অবাঙালি। বৃটিশ আমলে চা উৎপাদনের জন্য তাদেরকে মধ্য ভারত থেকে বাংলার ভূখণ্ডে আনা হয়েছিল। বাংলাদেশের চা বাগানে ৩,০০,০০০ অধিক বাগানি কর্মরত আছে। যার ৭৫% নারী।<ref name="bangladesh1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত স্বতন্ত্র স্বত্বার উপজাতি জনগোষ্ঠী খাসিয়া, মণিপুরী, টিপরা ও গারোদের জীবনাচার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সাধারণ বাঙালীর থেকে ভিন্ন।
আবার ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভাগ্যচন্দ্রের শাসনামলে মনিপুর রাজপুরুষ মোয়রাং থেম গোবিন্দের নেতৃত্বে একদল মনিপুরী মনিপুর রাজ্য ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের খাসগাওয়ের রামনগরে এসে আবাস গড়েন।<ref name="
==শিক্ষা==
[[চিত্র:বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ.jpeg|thumb|left|400px|বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর উদ্বোধনি অনুষ্ঠান]]
শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীমঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত হয় ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।<ref name="bnlapedia"/> ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়। তারপর ১৯২৪ সালে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।<ref name="bnlapedia"/>
কিন্তু কয়েক দশক যাবৎ শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার হার বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিলো।<ref name="shoto">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://m.dainikshiksha.com/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4/75855/|শিরোনাম= শ্রীমঙ্গলে স্কুলগামী ছাত্রের সংখ্যা প্রায় শতভাগ|প্রকাশক=dainikshiksha.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> এর প্রধান কারণ শ্রীমঙ্গলের ভু-খন্ডের অর্ধেকই [[চা]] [[বাগান]] অধ্যুষিত অন্যদিকে হাওর পাড়ে বিশাল এক জনগোষ্ঠী বরাবরই ছিল অবহেলিত।<ref name="shoto"/> তাদের প্রধান অন্তরায় ছিল বিদ্যালয় সংকট, অনুন্নত রাস্তাঘাট। বংশ পরম্পরায় তারা ছিল শিক্ষাবঞ্চিত।<ref name="shoto"/> তবে চা বাগানের অপর পাড়ের দৃশ্য ভিন্ন। শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ও অন্যান্য ইউনিয়নে বিরাজ করছে শিক্ষার উচ্চহার। ২০০১ সালে চা বাগান ও [[হাওর]] অঞ্চলের জনগনসহ শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার হার ছিলো ৩৯.৬%; পুরুষ ৪৪.৩%, মহিলা ৩৪.৬%।<ref name="bnlapedia"/> শ্রীমঙ্গলে [[কলেজ]] সংখ্যা ৪ টি, মাধ্যমিক [[বিদ্যালয়]] ২০ টি, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১ টি ও মাদ্রাসা ৭ টি ছিলো।<ref name="bnlapedia"/>
[[চিত্র:শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ আনন্দ শোভাযাত্রা.jpeg|thumb|400px|সল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উন্নয়নশীল দেশে উওরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপনের লক্ষে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকের আনন্দ শোভাযাত্রা]]
৩১৩ ⟶ ৩১০ নং লাইন:
চায়ের [[রাজধানী]] হিসেবে শ্রীমঙ্গলের অর্থনীতির বড় একটা অংশ হলো [[চা]] [[শিল্প]]। বাংলাদেশের ১৬৩ টি চা বাগানের মধ্যে ৪০ টি চা বাগানই শ্রীমঙ্গলে রয়েছে। [[ফিনলে]], [[ইস্পাহানী]], [[জাকছড়া]] চা বাগানসহ ৪০ টি চা বাগান থেকে বার্ষিক চা উৎপাদন হয় ৩,২০,৫১,৫০০ কেজি।<ref name="cha">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.patakuri.net/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2/|শিরোনাম= চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল, চা শিল্প, চা শ্রমিক ও শিক্ষা|প্রকাশক=সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> এই উৎপাদিত চা বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা হয় এবং বিশ্বের ২৫টি দেশে চা রপ্তানী করা হয়। তাই চা শিল্পই শ্রীমঙ্গলের অর্থনীতির সবথেকে বড় স্থান দখল করে আছে। শ্রীমঙ্গলের অর্থনীতিতে [[চা]] এর পরেই [[লেবু|লেবুর]] অবস্থান। শ্রীমঙ্গল ও আশপাশের এলাকায় ২ হাজারেরও বেশি [[লেবু]] বাগানের উৎপাদিত কাগজীলেবু শ্রীমঙ্গলের বাজারে বেচা-কেনা হয়।<ref name="k lebu">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://surmanews24.com/2016/07/17359|শিরোনাম= শ্রীমঙ্গলের কোটি টাকার লেবু বাজার|প্রকাশক=সুরমা নিউজ ২৪ ডট কম|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="300k lebu"/> বর্তমানে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৩০ হাজার হেক্টর পাহাড়ী ভূমিতে [[লেবু]] চাষ করা হচ্ছে, তবে প্রতি বছর [[লেবু]] বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের লেবুর চাহিদার ৭৫ শতাংশ উৎপাদন হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন লেবুর বাগান থেকে।<ref name="k lebu"/><ref name="300k lebu"/> এখানকার উৎপাদিত [[লেবু]] [[ঢাকা]], [[চট্টগ্রাম]] সহ বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের যায়।
শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত লেবুর জাতের মধ্যে রয়েছে কাগজী লেবু, উন্নত মানের [[চায়না]], [[জারা]], [[এলাচি]], [[সিডলেস লেবু]], [[আদা লেবু]] উৎপাদন হয়। প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকার লেবু বিক্রি করা হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের হাটে।<ref name="k lebu"/><ref name="300k lebu"/> বছরে ৩‘শ কোটি টাকার অধিক মূল্যের কাগজী লেবু দেশের অভ্যন্তর ও বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।<ref name="k lebu"/><ref name="300k lebu">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/31152-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A9%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2|শিরোনাম= বছরে ৩‘শ কোটি টাকার কাগজী লেবু বিক্রি কাগজী লেবুর হাট শ্রীমঙ্গল|প্রকাশক=dailysangram.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> গত দুই দশক ধরে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন বাগান থেকে সংগৃহীত [[এলাচি লেবু]], [[আদা লেবু]], [[কাগজি লেবু]], [[জারা লেবু]] সহ [[লেবু]] জাতীয় নানারকম ফল যুক্তরাজ্যসহ মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে।<ref name="
কিন্তু ২০০৮ সালে জুলাই মাসে [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ডিপার্টমেন্ট অফ এনভারয়নমেন্ট ফুড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডেফরা) হিথ্রো বিমানবন্দরে লেবু জাতীয় ফলের কোটি টাকার চালান আটকে দেয়। তাদের দাবি আমদানিকৃত ফলে ‘ক্যাংকার্স’ নামক ভাইরাস আছে।
[[চিত্র:গ্র্যান্ড সুলতান টি এন্ড গোল্ফ রিসোর্ট.jpeg|thumb|400px|২২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত,"world luxurious resort 2014" খেতাবধারী গ্র্যান্ড সুলতান টি এন্ড গোল্ফ রিসোর্ট এর সম্মুখ প্রান্ত]]
[[চিত্র:মাধবপূর লেক.png|thumb|400px|শ্রীমঙ্গলের মাধবপুর লেক]]
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে [[যুক্তরাজ্য]] নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।<ref name="
তাছাড়া [[কমলা]], [[আনারস]], [[রাবার]] ও [[পর্যটন শিল্প]] শ্রীমঙ্গলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাজেরাবাদ, বিষামণি, হোসেনাবাদ, [[বালিশিরা]], ডলুছড়া, [[সাতগাঁও]], নন্দরানী ও মাইজদীর পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৩০৪ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে।<ref name="anarosh3"/><ref name="joltupi"/><ref name="anarosh2"/><ref name="anarosh"/> এখানকার [[জলঢুপি আনারস]] সারা বাংলাদেশেই আনারস প্রীয়দের কাছে প্রসিদ্ধ।<ref name="anarosh3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ais.gov.bd/site/view/krishi_kotha_details/%E0%A7%A7%E0%A7%AA%E0%A7%A8%E0%A7%AA/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%88%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0/%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%20%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8|শিরোনাম=রসে মধুর আনারস|প্রকাশক=কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="joltupi">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/national/news/bd/578363.details|শিরোনাম= জিভে জল আনে ‘জলঢুপি’ আনারস|প্রকাশক=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="anarosh2">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/54566-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87|শিরোনাম= শ্রীমঙ্গলে আনারস ও কাঁঠালের বাজার জমে উঠেছে|প্রকাশক=dailysangram.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref><ref name="anarosh">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailydinkal.net/2018/06/02/45256.php|শিরোনাম= শ্রীমঙ্গলে আনারসের মৌসুম|প্রকাশক=দৈনিক দিনকাল|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> শ্রীমঙ্গলসহ বৃহত্তর [[সিলেট]] বিভাগে বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ কমলার চাষ হয়।<ref name="komla">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.businesstimes24.com/?p=4063|শিরোনাম= মোট কমলা উৎপাদনের দুই তৃতীয়াংশ হয় সিলেটে|প্রকাশক=বিজনেসটাইমস২৪.কম|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref>
বাংলাদেশের ১৭ টি [[রাবার]] বাগানের মধ্যে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁওএ ১৭৪৪.০০ একর জায়গা নিয়ে ১ টি রাবার বাগান রয়েছে যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ কেজি [[কষ]] আহরণ করা হয়ে থাকে।<ref name="রাবার">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bfidc.gov.bd/site/page/2b8741fb-4373-4a49-8616-7466673e5acc/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9|শিরোনাম= বাগানসমুহ|প্রকাশক=বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref>
আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান হিসেবে শ্রীমঙ্গলে প্রতিদিনই অনেক দেশি বিদেশি [[পর্যটক]] জোটে।<ref name="lalmati">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlive24.com/details/191817/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0+%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D%E0%A7%87+%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87+%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87+%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8+%27%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF+%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%27|শিরোনাম= প্রকৃতির মাঝে হারাতে ঘুরে আসুন 'শ্রীমঙ্গলের লালমাটি টিলা'|প্রকাশক=bdlive24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> তাই পর্যটন শ্রীমঙ্গলের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।<ref name="porjoton">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sokalersongbad.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2/|শিরোনাম= পর্যটন শিল্পের বিকাশ বদলে দিতে পারে শ্রীমঙ্গলের অর্থনীতি|প্রকাশক=সকালের সংবাদ|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-22|ভাষা=বাংলা}}</ref> পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বেসরকারি উদ্যােগে এখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক [[হোটেল]], [[রিসোর্ট]], [[বাংলো]] ও [[কটেজ]]। যা এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে পাঁচ তারকা মানের হোটেল [[গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ রিসোর্ট]] গড়ে উঠেছে।<ref name="porjoton"/> বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটা অংশ বৃহত্তর সিলেটের [[রেমিটেন্স]] এর মাধ্যমে আসে। শ্রীমঙ্গলও সিলেট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এর বড় একটা অংশ প্রবাসী। যাদের রেমিটেন্সের টাকা এ অঞ্চলের অর্থনীতি সহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
== অন্যান্য তথ্য ==
|