রমিজ উদ্দীন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
|name= শহিদ রমিজ উদ্দীন বীরবিক্রম
| image = পুরুষ
৩৬ নং লাইন:
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
শহীদ রমিজ উদ্দীনের জন্ম [[হবিগঞ্জ জেলা]]র [[শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা]]র জগন্নাথপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম পানাউল্যাহ এবং মায়ের নাম হাজেরা খাতুন। তাঁর স্ত্রীর নাম জোবেদা খাতুন। তাঁর এক ছেলে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ |lastশেষাংশ= |firstপ্রথমাংশ= |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |yearবছর=জুন ২০১২ |publisherপ্রকাশক= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |locationঅবস্থান= |isbnআইএসবিএন= 9789843351449|pageপাতা=৩০২|pagesপাতাসমূহ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= |urlইউআরএল=}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
[[১৯৭১]] সালে কৃষিকাজ করতেন রমিজ উদ্দীন। তবে তাঁর মুজাহিদ ট্রেনিং নেওয়া ছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে তিনি সংযুক্ত ছিলেন। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে যুদ্ধে যোগ দেন। তখন তাঁর স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার বছর খানেক আগে তিনি বিয়ে করেন।
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[১৯৭১]] সালের [[১৬ মে]] [[হবিগঞ্জ জেলা]]র [[চুনারুঘাট উপজেলা]]র অন্তর্গত বালুমারা ফরেস্ট এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। হবিগঞ্জ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর [[১ মে|১]] বা [[২ মে]] শায়েস্তাগঞ্জের খোয়াই নদীর তীরে রেললাইনের পাশে একটি ক্যাম্প স্থাপন করার পরও বালুমারা ফরেস্ট অফিসসহ আশপাশের কিছু এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে ছিল। ফরেস্ট অফিসে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এলাকা। এদিকে পাকিস্তানি সেনারা বালুমারা এলাকায় তখনো আক্রমণ না চালালেও মুক্ত এলাকার তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। মুক্ত এলাকায় নিয়মিত চর পাঠাতে থাকে। পাকিস্তানিদের এক সহযোগীর নাম ছিল তমাই মহালদার। সে মুক্ত এলাকায় গোপনে এসে তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানিদের কাছে পৌঁছে দিত। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে একদিন আটক করে এবং প্রাণদণ্ড দেয়। মুক্ত এলাকায় ছিলেন রমিজ উদ্দীনসহ ২২ জনের একদল মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে মুক্ত এলাকার সীমান্তে প্রতিরক্ষা অবস্থান নিয়ে থাকতেন। মুক্ত এলাকার সীমান্তে টহল দিচ্ছেন রমিজ উদ্দীনসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা। হঠাৎ তাঁদের আক্রমণ করল একদল পাকিস্তানি সেনা। মুক্তিযোদ্ধারা দেখলেন, পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের চারদিক থেকে ঘেরাও করছে। রমিজ উদ্দীন বিচলিত না হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের মোকাবিলা করতে থাকলেন। তাঁর মাথায় তখন শুধু একটাই চিন্তা, সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে হবে। কিন্তু বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারলেন না। শত শত গুলি ছুটে আসছে তাঁর দিকে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল তাঁর শরীর। সেদিন রমিজ উদ্দীন দুজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে মুক্ত এলাকার যে স্থানে টহলে ছিলেন, সেই স্থান দিয়ে পাকিস্তানি সেনারা প্রবেশ করে তাঁদের ঘেরাও করে। আকস্মিক অ্যামবুশে পড়ে রমিজ উদ্দীনের দুই সহযোদ্ধা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তাঁরা পশ্চাদপসরণের চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু রমিজ উদ্দীন বিচলিত না হয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন। তিনি একাই লড়াই করে দুই সহযোদ্ধা ও পেছনে মূল শিবিরে থাকা সহযোদ্ধাদের পশ্চাদপসরণ করার সুযোগ করে দেন। তাঁর সাহসিকতা ও বীরত্বে রক্ষা পায় ২১ জন সহযোদ্ধার প্রাণ। কিন্তু তিনি পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|lastশেষাংশ= |firstপ্রথমাংশ= |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |yearবছর=এপ্রিল ২০১২ |publisherপ্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |locationঅবস্থান= |isbnআইএসবিএন= 9789843338884|pageপাতা= ২৩১|pagesপাতাসমূহ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= |urlইউআরএল=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==