সুসমাচার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
'''সুসমাচার''' বা '''গসপেল''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Gospel) হল [[নাজারেথ|নাজারেথের]] [[যিশু|যিশুর]] জীবন, মৃত্যু ও পুনরুজ্জীবনের বিবরণ। সুসমাচারের বহুল প্রচলিত উদাহরণ হল [[মথিলিখিত সুসমাচার|ম্যাথিউ]], [[মার্কলিখিত সুমাচার|মার্ক]], [[লূকলিখিত সুসমাচার|লুক]] ও [[যোহনলিখিত সুসমাচার|জনের]] লেখা [[নূতন নিয়ম|নূতন নিয়মের]] চারটি শাস্ত্রীয় সুসমাচার। তবে [[অপ্রামাণিক সুসমাচার]], [[#অশাস্ত্রীয় সুসমাচার|অশাস্ত্রীয় সুসমাচার]], [[ইহুদি-খ্রিস্টান সুসমাচার]] ও [[মরমি সুসমাচার|মরমি সুসমাচারগুলিকেও]] সুসমাচার বা গসপেল নামে অভিহিত করা হয়।
 
[[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টধর্মে]] শাস্ত্রীয় সুসমাচারগুলিরই মর্যাদা বেশি। এগুলিকে [[খ্রিস্টধর্মে ঈশ্বর|ঈশ্বর]]-কর্তৃক প্রকাশিত মনে করা হয়। এগুলি খ্রিস্টধর্মের ধর্মীয় ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু।<ref>Stott, John R.W. "Basic Christianity". Inter-Varsity Press, 1971. p. 12</ref> চারটি শাস্ত্রীয় সুসমাচারে প্রকাশিত খ্রিস্টের জীবনকথাই যথাযথ ও প্রামাণ্য বলে খ্রিস্টানদের বিশ্বাস।<ref>Keller, Timothy. "The Reason for God". Dutton, 2008. p. 100</ref> তবে অনেক গবেষকের মতে, এই চারটি সুসমাচারের সবকিছু ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।<ref name="TheMyth">The Myth about Jesus, Allvar Ellegard 1992,</ref><ref name="CraigEvans">Craig Evans, "Life-of-Jesus Research and the Eclipse of Mythology", Theological Studies 54 (1993) p. 5,</ref><ref name="Charles">Charles H. Talbert, What Is a Gospel? The Genre of Canonical Gospels pg 42 (Philadelphia: Fortress Press, 1977).</ref><ref name="TheHistorical">“The Historical Figure of Jesus", Sanders, E.P., Penguin Books: London, 1995, p., 3.</ref><ref name="Fireof">Fire of Mercy, Heart of the Word (Vol. II): Meditations on the Gospel According to St. Matthew – Dr Erasmo Leiva-Merikakis, Ignatius Press, Introduction</ref><ref name="religion-online">Grant, Robert M., "A Historical Introduction to the New Testament" (Harper and Row, 1963) http://www.religion-online.org/showchapter.asp?title=1116&C=1230</ref><ref name="church">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.church.org.uk/resources/csdetail.asp?csdate=01/04/2007 |titleশিরোনাম=Main Body |publisherপ্রকাশক=Church.org.uk |dateতারিখ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2012-12-25}}</ref>
 
[[ইসলাম]] ধর্মে ''[[ইঞ্জিল]]'' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: إنجيل) নামে একটি বইয়ের উল্লেখ আছে। ইসলাম মতে, এই বইটি ঈশ্বর যিশুর কাছে প্রকাশ করেছিলেন। ইঞ্জিল শব্দটি কোনো কোনো অনুবাদে 'গসপেল' অর্থাৎ সুসমাচার হয়েছে। ''[[কুরআন]]''-এ যে চারটি বইকে [[আল্লাহ্‌]]-কর্তৃক প্রকাশিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি তার একটি। তবে ইসলাম মতে, পরবর্তী যুগে ইঞ্জিলের কথা পালটে দেওয়া হয়েছিল। তাই ঈশ্বর নবী [[মুহাম্মদ (সাঃ) ]] 'কে পাঠিয়েছিলেন শেষ বই ''[[কুরআন]]'' প্রকাশ করার জন্য।<ref>''Historical Dictionary of Prophets in Islam and Judaism'', B.M. Wheeler, ''Injil''</ref>
 
== ব্যুৎপত্তি ==
{{Christianity|state=collapsed}}
{{Mainমূল নিবন্ধ|যিশু খ্রিস্টের বাণী}}
ইংরেজি "Gospel" শব্দটি এসেছে [[প্রাচীন ইংরেজি ভাষা|প্রাচীন ইংরেজি]] ''gōd-spell''<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.merriam-webster.com/dictionary/Gospel |titleশিরোনাম=Gospel - Definition and More from the Free Merriam-Webster Dictionary |publisherপ্রকাশক=Merriam-webster.com |dateতারিখ=2012-08-31 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2012-12-25}}</ref> (বা অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত ''godspel'') কথাটি থেকে। এর অর্থ "শুভ সংবাদ" বা "আনন্দ তরঙ্গ"। সুসমাচারকে [[মসিহা|মসিহার]] আসন্ন রাজ্যের "শুভ আগমনবার্তা" মনে করা হয়। এখানে খ্রিস্টানদের প্রধান মতবাদের কেন্দ্রবিন্দু যিশুর জীবন ও মৃত্যুর মাধ্যমে পাপমুক্তি ও শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।<ref name="ODCC self">"Gospel". Cross, F. L., ed. The Oxford dictionary of the Christian church. New York: Oxford University Press. 2005</ref>
 
"গসপেল" কথাটি হল গ্রিক "εὐαγγέλιον" বা "ইউয়ানজেলিয়ন" ("শুভ সংবাদ") অথবা আরামাইক "ܐܘܢܓܠܝܘܢ" বা "ইউয়াংএলিয়াওন" কথাটির আক্ষরিক অনুবাদ। গ্রিক "ইউয়ানজেলিয়ন" (এর এর [[লাতিন ভাষা|লাতিন]] প্রতিরূপ ''evangelium'' বা "ইভানগেলিয়াম") শব্দটি থেকে ইংরেজিতে "এভানজেলিস্ট" বা "[[ইভানজেলিজম]]"-এর উৎপত্তি। চারটি শাস্ত্রীয় খ্রিস্টান সুসমাচারের লেখকদের বলা হয় [[চার ইভানজেলিস্ট]]।
১৯ নং লাইন:
 
== প্রাথমিক বিবরণ ==
{{ Mainমূল নিবন্ধ|মৌখিক সুসমাচার }}
বাইবেল-বিশেষজ্ঞদের মতে, যিশু সম্পর্কে লোকমুখে প্রচলিত গল্প ও কয়েকটি বিবরণীর সংকলন শাস্ত্রীয় সুসমাচারগুলির আগেই রচিত হয়েছিল। [[লূকলিখিত সুসমাচার|লূকলিখিত সুসমাচারের]] উৎসর্গ পৃষ্ঠার ভূমিকাটি থেকে জানা যায়, উক্ত সুসমাচারটি রচনার আগেই যিশু সম্পর্কে অনেক গল্প রচিত হয়েছিল।<ref>Stanley E. Porter ''Reading the Gospels today'' p100</ref> লুক যে শব্দটি (διήγησις ''diēgēsis'') ব্যবহার করেন, সেটি একটি [[প্রাচীন গ্রিক ভাষা|প্রাচীন গ্রিক]] শব্দ। সেটি ব্যবহৃত হত ঐতিহাসিক আখ্যান অর্থে।<ref>Charles H. Talbert ''Reading Luke: a literary and theological commentary'' 2002 p2 "(3) What exactly is Luke? The prologue (1:1–4) says it is a diegesis (account). The second-century rhetorician Theon defines diegesis as "an expository account of things which happened or might have happened". Cicero (De Inv. 1.19.27)"</ref>
 
২৫ নং লাইন:
 
== ঐক্যমূলক সুসমাচার ==
{{mainমূল নিবন্ধ|ঐক্যমূলক সুসমাচার}}
ম্যাথিউ, মার্ক ও লুকের সুসমাচারগুলিকে [[ঐক্যমূলক সুসমাচার]] বা সাইনপটিক মনে করা হয়। কারণ, এগুলির মধ্যে কিছু কিছু মিল পাওয়া যায় যা জনের সুসমাচারের মধ্যে পাওয়া যায় না। "সাইনপটিক" বলতে বোঝানো হয়েছে যা একসঙ্গে দেখা বা পড়া হয়েছে, যার অর্থ এই তিন সুসমাচারে অনেক ঘটনার মিল আছে। ঐক্যমূলক সুসমাচারগুলি অনেক জনপ্রিয় গল্প, উপকথা ও উপদেশের উৎস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য [[যিশুর জন্ম]], [[যিশুর শৈলোপদেশ]], [[শেষ নৈশভোজ]] ইত্যাদি।