সুশীলাসুন্দরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{ তথ্যছক ব্যক্তি
{{ Infobox person
| name = সুশীলাসুন্দরী
| image = Sushila Sundari.jpg
২৭ নং লাইন:
| death_date = [[১৯২৪]]
}}
'''সুশীলাসুন্দরী''' (১৮৭৯-১৯২৪) একজন ভারতীয় জিমন্যাস্ট, ট্রাপিজ খেলোয়াড় এবং সার্কাসের দলে খেলা দেখানো প্রথম ভারতীয় মহিলা। তিনি [[প্রিয়নাথ বসু|প্রিয়নাথ বসুর]] [[সার্কাস|গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসে]] [[বাঘ|বাঘের]] খেলা দেখাতেন। [[ইংলিশম্যান (পত্রিকা)|ইংলিশম্যান]] পত্রিকাতে তাঁর খেলার প্রশংসা ছাপানো হয়েছিল।<ref name="samsad">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি |editor1সম্পাদক১-lastশেষাংশ=সেনগুপ্ত |editor1সম্পাদক১-firstপ্রথমাংশ=সুবোধচন্দ্র |editor2সম্পাদক২-lastশেষাংশ=বসু |editor2সম্পাদক২-firstপ্রথমাংশ= অঞ্জলি |encyclopediaবিশ্বকোষ=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান |titleশিরোনাম=সুশীলাসুন্দরী |editionসংস্করণ=চতুর্থ সংস্করণ |dateতারিখ=জানুয়ারি ২০০২ |publisherপ্রকাশক=শিশু সাহিত্য সংসদ |volumeখণ্ড=প্রথম খণ্ড |locationঅবস্থান=কলকাতা |isbnআইএসবিএন=81-85626-65-0 |pagesপাতাসমূহ=601}}</ref>
 
==প্রথম জীবন==
৩৩ নং লাইন:
 
==কর্মজীবন==
সুশীলাসুন্দরী ছিলেন [[প্রিয়নাথ বসু|প্রিয়নাথ বসুর]] ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ এর একজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়। তিনি একাধারে একজন জিমন্যাস্ট ও ট্রাপিজ খেলোয়াড়ও ছিলেন। সাধারণতঃ সার্কাসে প্রদর্শনীর শুরুতেই তিনি এবং তাঁর বোন কুমুদিনী ঘোড়ায় চড়ে মঞ্চে উপস্থিত হতেন। পশ্চিম ভারতে সফর কালে ১৮৯৬ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ [[রেওয়া রাজ্য|রেওয়া]] নামক একটি দেশীয় রাজ্যের রাজদরবারে ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ তাদের কলাকৌশল প্রদর্শন করে। সার্কাসের প্রদর্শনীতে [[রেওয়া রাজ্য|রেওয়ার]] রাজা এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি দলটিকে একজোড়া বাঘ উপহার দেন। বেঙ্গল সার্কাস দলটির মধ্যে এই বাঘজোড়াটিকে নিয়ে একটা সংস্কার প্রচলিত ছিল। তাঁরা মনে করতেন এই বাঘদু’টি তাদের দলের পক্ষে সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। তাই তারা এই বাঘ দু’টিকে হিন্দু দেব-দেবী লক্ষ্মী ও নারায়ণের নামে নামকরণ করেন। সুশীলাসুন্দরী পরবর্তীকালে বাঘ পোষ মানানের কৌশলও শিখেছিলেন। ১৯০১ সাল নাগাদ সুশীলাসুন্দরী বাঘ দু’টিকে নিয়ে সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করেন। তিনি অবলীলায় বাঘের খাঁচায় ঢুকে তাদের নিজের কথামত দাঁড় করাতেন, বসাতেন, গর্জন করাতেন। এমনকি তিনি তাদের সাথে বাহুযুদ্ধও করতেন<ref name="sengupta16112014">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/home/sunday-times/deep-focus/Swadeshi-girls-in-the-ring/articleshow/45163801.cms|titleশিরোনাম=Swadeshi girls in the ring|lastশেষাংশ=Sengupta|firstপ্রথমাংশ=Nandini|dateতারিখ=16 November 2014|workকর্ম=The Times of India|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref>, তাদের বিস্তৃত চোয়াল জনসমক্ষে দেখাতেন। এরপর এসব খেলা দেখানোর পর তিনি তাদের উপর হেলান দিয়ে দাঁড়াতেন ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। যখন এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাঘ দু’টির মধ্যে একটির মৃত্যু ঘটে তখন সুশীলাসুন্দরী ফরচুন নামক অন্য একটি অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাঘকে নিয়ে খেলা দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমেখেলা দেখানোর সময় বাঘটি সুশীলাসুন্দরীকে মারাত্মকভাবে জখম করে। যার ফলে তিনি বাকি জীবনটা পঙ্গু হয়ে কাটাতে বাধ্য হন।<ref name="samsad"/> অবশেষে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 
== তথ্যসূত্র ==